মহানগর প্রভাতী খুব একটা প্রভাত বেলার পাখি নয়। হাতে সময় আধা ঘন্টা। আব্বুর সাথে আমি ট্রেনের প্ল্যাটফরমে। গিয়ে দেখলাম টেলি-মুজাহিদ তার পিতাজীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছে!(হাতে অবশ্যই মুঠোফোন)! তারপর মাহিন, তারপর শহিদুল। মাহিনের আব্বু হঠাৎ আমাদের ছবি তুলতে শশব্যস্ত হয়ে উঠলেন! আমরা শুকনো মুখ করে পোজ দিলাম।(বিতর্ক করতে সুদূর ঢাকা পাড়ি দিচ্ছি কাজেই ভাবের একটা বিষয় আছে!!) এদিকে আকিব ঘুম থেকে উঠেই আমাদের কষ্ট বাড়িয়ে দিতে চলে আসলো।
এরই মাঝে আমি ফোন দিলাম কবিগুরু মাইকেলকে। তিনি আমাকে জানালেন তিনি আসতে পারছেন না! নেহাত সামনে আব্বু; নইলে টুট...টুট...টুট। এদিকে হঠাৎ মাহিন কর বিভাগের কর্মকর্তার মতো আমাদের থেকে টাকা আদায় করা শুরু করলো। আমরাও দেশের আদর্শ নাগরিক। সমানে কর দিতে লাগলাম। আর কর প্রদানের ফাঁকে এসেই সৌম্য ওভারব্রিজ থেকে নেমে ঘোষণা দিলো “আমার আব্বা আমারে এই বাজারের ব্যাগ ধরায় দিসে; ব্যাগে মশারি আর বেডশিট”! আমি তার দুঃখে কাতর হয়ে যেই রসালো মন্তব্য করতে যাবো সেসময় পিছনে ফিরে দেখি আব্বু দাঁড়িয়ে আছে।আমরা দু’জনেই মুহূর্তে সামলে নিলাম!
ওহ! সৌম্যের সাথে আমাদের কবি ভাই। আমাকে বোকা বানাতে পেরে তার মুখে ভুবনমোহিনী হাসি! এরই মাঝে কর বিভাগের ন্যায়পরায়ণ অফিসার মাহিন সরকারের বিভাগীয় কালেক্টর শহিদুলের বাবার হাতে টাকা তুলে দিলো। আমরা ট্রেনে উঠে পড়লাম। ট্রেন লোহার চাকার নূপুর বাজিয়ে দিলো।
আমরা উঠতেই বিপত্তি। চারজনের সীট একসাথে আর বাকি দুইজনের আলাদা। তাদের সাথে এক লইয়ার আন্টি আর উনার ক্লায়েন্ট। কেউই সেখানে যেতে রাজি না। আমি, শহিদুল, সৌম্য, কবি ভাই ঝোপ বুঝে কোপ মেরে একসাথে বসে পড়লাম। টেলি সাহেব আর মাহিন ব্যাজার মুখে বাকি দুইটাতে।
এবার তো আড্ডা শুরু করা ফরজ। কাজেই আমরা দুই পা তুলে নানা ভঙ্গিতে আলাপ শুরু করলাম। কিন্তু শহিদুল ভ্রাতার মুখ শুকনো; জিজ্ঞেস করতেই জানালো সে প্রোব্যাবিলিটির অঙ্ক করছে। আমরা সবাই তার দিকে হতাশ দৃষ্টি ফেলে তাকে ধন্য করলাম।
কবি ভাইয়ের স্টেশানে পৌঁছার কাহিনী এখানে বলে রাখা ভালো। ঘটনা অনেকটা এরকমঃ তিনি রাত চারটায় তার নানুর বাড়ি থেকে লুঙ্গি এবং স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় কাঁধে তার ক্যামেল ইন মাউন্টেন ব্যাগ ঝুলিয়ে বাসে করে রওনা দেন এবং সকালে মুরাদপুর পৌঁছে ব্যাগে জিনিসপত্র নিয়ে সৌম্যের সাথে স্টেশানে আর ফাঁকতালে আমার সাথে একটুখানি “ছলনা”! একটু একটু সময় যায় আর আমরা সবাই বাইরে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হই। স্বাভাবিক ঘটনা।
সৌম্য আমার গায়ের উপর পা দিয়ে বসার এক নতুন স্টাইল আবিষ্কার করে ফেললো। আমিও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তার গায়ের উপর পা তুলে দিলাম। এরই মধ্যে আমি শহিদুলের সাথে ছবি তুলে পরস্পর ধন্য হলাম!!
শহিদুলের আম্মু তাকে দুই প্যাকেট বিরিয়ানি দিয়েছেন এবং শহিদুল প্রোব্যাবিলিটির অঙ্কের বদৌলতেই হয়তো উদারচেতা হয়ে আমাদের মাঝে তা বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিলো। আমরাও নিজ নিজ দায়িত্বে শহিদুলকে দায়মুক্ত করলাম!
মাথায় রোখ চাপলো গণ-সেলফি তুলবো। তখনো সেলফি এরকম আকাশে-বাতাসে ভাসতো না। আমি সেলফির সব সংবিধান অমান্য করে মাহিনের স্যামসাং ক্যামেরা উলটো করে ধরে সেলফি তুলে ফেললাম। মাঝখানে কে যেন হঠাত করে হাত ঘুরাতেই আমার হাতও নড়ে গেলো ফলে ঝাপসা হয়ে গেলো। তবে ঝাপসা হওয়াতেই ছবির সৌন্দর্য বেড়ে গেল। আমরা ছবি দেখে আহা-উঁহু করতে লাগলাম। আর তারপরই সে ছবিকে এডিট করার হিড়িক লাগলো। যাই হোক আমরা এরই মধ্যে বেশ অনেকগুলো ছবিই তুলে ফেললাম আর কবি ভাই আমাদের তার ছবি তোলার প্রতিভা দেখিয়ে ধন্য করলেন।
১১-১২ টা’র দিকে আমাদের ওয়াশরুমে যাওয়ার হিড়িক পড়লো সাথে সাথে আবারও সীটের অদল-বদল। ফলে আমি নির্বাসনে গেলাম। ফাঁকে দিয়ে মাহিনের ওয়ালটন ইশমার্ট ফোন আদায় করে আমি ফ্রুট নিনজায় মজে গেলাম। অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলাম তার ফোনে সেলেনা গোমেজের ডিসকোগ্রাফি। অতঃপর নীলদাঁত অন করে লোডিং-আনলোডিং শুরু হলো। মাহিন তখনো জানতো না তার ফোন নিয়ে তাকে কোন প্যাড়াটা খেতে হবে! আড্ডায় হঠাত ভাটার টান। কাজেই আমি জ্ঞানগর্ভ আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। নিজের বিখ্যাত “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীঃ অতীত এবং বর্তমান” শিরোনামে আলোচনা শুরু করলাম। শহিদুল একে থিসিস পেপার বলে সম্মান জানালে আমি বিনয়ে গদগদ হয়ে পড়লাম।
তারপর আবার আড্ডা। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আগে থেকেই ছিলো; সাথে আমাদের আড্ডা; সবার ঝুলিতে কত গল্প, কত আনন্দ-বেদনা এই ছোট্ট বয়সে। আমরা শুরু করলাম।
টেলি মুজাহিদ যাবতীয় কথা-বার্তা ফোনে সারতেই পছন্দ করে তবে সে মোক্ষম সুযোগে আমাদের তার হেডস্যারের রুমে যাওয়ার কাহিনী শুনিয়ে দিলো। আবারো, টিনের চালে কাক দেখে আমরা নগদে অবাক হয়ে গেলাম।
মাঝে দিয়ে আবারো কবি-ভাই-উপাখ্যান। আন্টি তাকে ফোন করাতে কবি ভাই আন্টিকে ব্যথিত চিত্তে জানালো তার বন্ধু রাফির দাদী পাঁচতলা থেকে সাততলায়(আসলেই পাঁচতলা থেকে সাততলায় ) পড়ে অবস্থা করুণ! কাজেই তিনি বন্ধুকে স্বান্তনা দিতে আপাতত চকরিয়ার পথে। বন্ধুর দাদী বলে কথা। রাফি ভাইয়াও নাকি প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়েছেন। অতএব, কবি ভাইয়ের চকরিয়া যাওয়া আবশ্যক। আমরা কবি ভাইয়ের ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হলাম। সৌম্য উক্তি করলো, “কইব্বা তার মা’রে এমন প্যাড়া দেয়!!!”
এরপর কমলাপুর স্টেশান। হিয়ার উই কাম যাকে বলে। মহা-আনন্দে আমরা নেমে গেলাম। প্ল্যাটফরম থেকে বের হয়ে যেই খাবার কিনতে যাবো সৌম্যের মনে পড়লো সে তার পিতৃপ্রদত্ত বাজারের ব্যাগ ট্রেনে ফেলে এসেছে। বুলেটগতির দৌড়। সাথে কবি ভাই, পিছনে আমি। আমাদের দৌড় দেখে ঢাকাবাসী ধাক্কার মতো খেলো। কিন্তু কি আর করা!! মশারী আর বেডশীটের মতো অমূল্য জিনিস সেখানে। কিন্তু ট্রেনে ফেলে আসা জিনিস কি আর পাওয়া যায় রে পাগলা!! তবু অবুঝ মন! Hope is Spring বলে কথা। এ আঙ্কেল-সে আঙ্কেল করে আমরা আশার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলাম।
তারপর সাত-সাতখানা স্যান্ডউইচ কিনে আমরা মাহিনের আব্বুর পাঠানো পাজেরোতে উঠে বসলাম। সৌম্য আর কবি ভাই পিছনে আরাম করে বসতে যাবে, আমি বাগড়া দিলাম। তারা আমার বংশ পরিচয় টানাটানি করে উঠতে দিলো। সবার সামনে মাহিন, পিছনে শহিদুল আর টেলি; আর তারও পিছনে আমি, কবি ভাই, সৌম্য। ঢাকা শহর পৌঁছে মানুষের আশা ফুরায়, কিন্তু টেলি মুজাহিদের গায়ে বাতাস লাগলো। সে রুই মাছের মত মুখ হা করার চেষ্টা করে বাইরে খালি তাকিয়ে থাকে। আমরা তার আজাইরাগিরিতে প্রবল বিরক্ত হলাম। সৌম্য শার্টের বোতাম দুইটা খুলে, ভূড়ি বের করে তাতে হাত বুলাতে লাগলো; যথারীতি আমার গায়ে অর্ধেক ভার, কবি ভাইয়ের অবস্থাও তথৈবচ। বাইরের মানুষ আমাদের দেখে অবাক। এরই মধ্যে রূপসী বাংলা হোটেলের টাই পরা ড্রাইভার দেখে আমরা তার চেয়ে অবাক!!
আবারো সেলফি পর্ব। এবারে সেলফির নায়ক কবি ভাই। তিনি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে সেলফি তুলে তার ফটোগ্রাফিক দক্ষতা প্রকাশ করে আবারো ধন্য করলেন। কবি ভাইয়ের পরামর্শমত আমাদের যাত্রা গাবতলী না থেমে সরাসরি জাহাঙ্গীরনগর যাওয়া স্থির হলো।
অতঃপর জাবি :
ডেইরি গেইট দিয়ে ঢুকেই আক্কেল গুড়ুম। সোজা একটা রোড সামনে; এক পাশে বিশাল মাঠ আর আরেকদিকে মোটামুটি খোলা জায়গা। বুঝলাম, কবি ভাইকে না আনলে অকূল পাথারেই পড়তাম। সুযোগ পেয়ে কবি ভাই সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাদের বাহবা কুড়িয়ে নিয়ে ধন্য হলেন। তবে আমরা কি তখনো জানতাম এই কবি ভাই-ই পরে আফগান ফেরত মুজাহিদের মতো ফতোয়া জারি করতে থাকবেন!!
কবি ভাই তখন পুরাই ভাবে। কাজকারবার এমন যেন তাকে কিছু দুধের মাসুম বাচ্চার দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হলো। তার পিছন পিছন জহির রায়হান মিলনায়তন পর্যন্ত গেলাম। গিয়ে ডেস্কে জানালাম আমরা চট্টগ্রামবাসী বিতার্কিক!! কবি ভাইয়ের আবার ব্যাপক জানাশোনা। এক ভাইয়া আরেকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার রুমে উঠানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু আমাদের ঘাড়ে নিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে কবি ভাই “অল ইজ ওয়েল” টাইপের মুখ করে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালালেন। অবশেষে এক মহানুভব ভাইয়ার দেখা পেলাম। স্বপ্নীল ভাই। তার ঘাড়েই আমরা চেপে বসলাম সিন্দাবাদের ভূতের মতো। পরে জানলাম, ভাগ্য ভালো থাকলে ডরমেটরি ম্যানেজ হয়ে যেতে পারে। এ সংবাদে আনন্দিত হয়ে আমরা স্বপ্নীল ভাইয়ার সাথে রওনা দিলাম তার রুমের দিকে। মাওলানা ভাসানী হল। রুম নাম্বার ১৪৫।
সবাই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেয়ার নিয়্যতে গোসল করতে ঢুকলাম এবং সবাই পর্যায়ক্রমে জাহাঙ্গীরনগরের হাম্মামখানার পানির উপর ক্রাশ খেয়ে গেলাম!! এতো ঠাণ্ডা পানি মাইরি!!
এরপরই প্রকাশ পেলো কবি ভাইয়ের নির্মম রূপ। ফতোয়াবাজরূপে আবির্ভূত তিনি। নানারকম আইন তিনি জারি করলেন, হাফ প্যান্ট পরে বের হওয়া যাবে না, থ্রি কোয়ার্টারও চলবে না। একসাথে হাঁটতে হবে- একসাথে না হাঁটলে পিছন থেকে গুঁতা মারে, হাঁটাহাঁটির সময় হাসাহাসি করা যাবে না, অশ্রাব্য কথাবার্তা বললে পিছন থেকে গাঁট্টা দেয়। আমরা তার অত্যাচারে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠলাম। তবে সত্যি কথা হলো, আমরা কবি ভাই ছাড়া অচল। মোটামুটি তিনি আমাদের ম্যানেজার এবং অতীব কঠোর। এরপর আমরা আবার মিলনায়তনের দিকে গেলাম। গিয়ে দেখি ভাইয়ারা মিটিং করছেন আর আমরা ফাঁকতালে স্বপ্নীল ভাইয়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে চম্পট দিলাম সেই বড় মাঠে।
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো আর সেটা হলো, জাহাঙ্গীরনগরে তখন নবীনবরণ চলছে আর ফলে নতুন ছাত্র ভেবে মানুষজন র্যাগ ধরায় দেওয়ার একটা আশঙ্কা চারদিকে। আমাদের জাঁদরেল লিঁয়াজো অফিসারও গতবার র্যা গ খেয়ে ইয়ে হয়ে গিয়েছিলেন। সবাই অন্ধকারে গোল করে বসলাম। কিছুক্ষণ আড্ডা। হাতে সিগ্রেট। মাহিন আর সৌম্য তো পুরাই জোশে। আমি শহিদুল আর টেলি মুজাহিদকে সঙ্গে নিয়ে অ্যান্টি টেররিজম অ্যালায়েন্সের মতো গড়ে তুললাম “অ্যান্টি স্মোকিং অ্যালায়েন্স”। এরই মধ্যে কয়েকজন ভাইয়া হয়তো নতুন র্যাাগ দেয়ার পাবলিক মনে করে উশখুশ করছিলো; মহান কবি ভাইয়ের নির্দেশ মোতাবেক আমরা সে স্থান পরিত্যাগ করলাম।
তারপর স্বপ্নীল ভাইয়ার সাথে বের হলাম খাওয়ার জন্য। বটতলায়। গিয়ে আমাদের জাঁদরেল ম্যানেজার হোসে মরিনহো বড়সড় রকমের বাঁশ খেলেন এবং আমরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলাম ম্যানেজারের নাজেহাল হওয়া। খাওয়া শেষ করে আমাদের অ্যান্টি স্মোকিং অ্যালায়্যন্স বসলাম বটতলার অন্ধকারে কোণার দিকে। আলাপের বিষয়বস্তু গুরুতর। বললে মানুষজন বাঁশ দিয়ে রাখবে না! অতএব সে আলোচনা থাক। আর মাহিন, সৌম্য এবং ম্যানেজার গেলো রসদ সরবরাহ করতে। ইউ নো হোয়াট আই মীন!!
তারপর গভীর রাতে ভাইয়াদের অনুমতি নিয়ে কার্ড খেলতে বসলাম। শহিদুল আমাদের গুরু। সে জানালো ধনঞ্জয় ভাই তাকে কার্ড খেলা শিখিয়েছে এবং আমরা তার এহেন প্রাপ্তিতে টাশকি খেয়ে তব্দা মেরে গেলাম। যাই হোক শিখছিলাম কলব্রিজ। কবি ভাই তার বিগিনার্স লাক দিয়ে দাঁও মারতে লাগলো আর মাঝখানে আমি মারা খেলুম।
বাই দ্য ওয়ে রুমের বাকি দুইজন ভাইয়ার নাম সাখিদার ভাই এবং জুয়েল ভাই। আমাদের অত্যাচার কিংবা জুড়ে বসা যারা হজম করেছেন। তারপর আমি আর মাহিন জায়গা না হওয়াতে তিনতলায় আরেক ভাইয়ার রুমে ঘুমাতে গেলাম। যাওয়ার আগে ঠিক হলো ডিবেটে যাওয়ার আগে এক নজর স্মৃতিসৌধ ঘুরে আসবো। সাভার এসেছি আর স্মৃতিসৌধ দেখবো না তা কি হয়?
“তব নিকুঞ্জের মঞ্জরি যত
আমারই অঙ্গে বিকাশে,
আজি যত তারা তব আকাশে”।।
প্রথম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২