তোকে নিয়ে কোন কবিতাই লিখবোনা আর,
যতসব বস্তাপঁচা, মেয়াদোত্তীর্ন, অখাদ্য কবিতা আমার।
জ্যান্ত কবিতার মানে বুঝিস? একেবারে খাঁটি ক্লোরোফিলে খাসা কবিতা,
তুই হাসলে জ্যান্ত হয়, কাগজ মোড়ালেই আধমরা।
তোর ঠোটে ঠোট রেখে বদ্ধ নিঃশ্বাস গুলো গিলবোনা আর,
আমার ঠোটে মিশে থাকে চায়ের কাপে লেগে থাকা শ্রমিক-মজুর, অফিস-কেরাণীদের ঠোটের ছোঁয়া।
তুই ঘামালে তোর ভেজা দেহে খোজবনা আর কোন অপার্থিব কবিতা,
নিষিদ্ধ কবিতারা বয়ঃসন্ধি পেড়োবার আগেই হয় ডায়েরি চাপা।
অপ্রাপ্তবয়স্ক রাতে তোর অনুপস্থিতি নিয়ে লিখবনা আর কোনো ট্রাজেডি,
কবিতায় লিখা যায়না তোর আমার কাল্পনিক পৈশাচিক সঙ্গমজনিত স্মৃতি।
তোর স্নানে ভেজা কাপড়ে আমি আর খোজবনা গোলাপী রোদের ভালবাসা,
আঁশটে আবহাওয়ায় বেনামী কবিতাগুলো গুজবো ডায়েরীর পাতায়।
তোর নগ্ন পিঠে মৃদু শীতে চাইবনা আর কোন উষ্ণতা,
পূরনো মদের কয়েক পেগে মেটাবো যাবতীয় চাহিদা।
কবিতায় হবেনা তোর অস্তিত্বের লেশ মাত্র চিহ্ন ঠাসা,
শেষ লাইনে হারিয়ে যাওয়া ছন্দে থাকবে শুধু তোর চুলের কাঠগোলাপের ছোঁয়া।
তোকে নিয়ে কোন কবিতাই লিখবনা আর,
যতসব অপার্থিব, আঠারোর্ধ, আনসেন্সর্ড কবিতা আমার।
জ্যান্ত কবিতার মানে বুঝিস? একেবারে নিষিক্ত ভ্রুনকোষের মত টসটসে কবিতা,
তোকে নিয়ে লিখা প্রতিটি কবিতা আমার সাথে কথা বলে আমার আপ্রাপ্তবয়ষ্ক রাতে।
তোকে নিয়ে কবিতা লিখি আমি মানুষ নই বলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯