
ভার্সিটিতে একটি গুজব ছড়িয়েছে। গুজব শব্দটি শুনলে কেমন যেন সিক্রেট কিছু মনে হয়। গুজব শব্দের আভিধানিক ইংরেজি হচ্ছে রিউমার। রিউমার শব্দটার সাথে টিউমার শব্দটার দারুন মিল। টিউমার শরীরের কোন অংশে ছোট আকারে শুরু হয়ে যেমন ধীরে ধীরে বড় এবং শেষে ক্যান্সারে রূপ নেয়, তেমনি রিউমার একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে শেষে ভয়াবহ রূপ নেয়। তবে টিউমার যথেষ্ট সময় নিলেও রিউমার ভীষণ অধৈর্য, অল্প সময়ে ব্যাপক ছড়িয়ে যায়। এই যেমন ধরা যায় প্রধান মন্ত্রীর পি এস সাহেব ফার্মেসীতে যেয়ে বলবেন যে প্রধান মন্ত্রীর কষা, ডোজ লাগবে। দেখা যাবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে শহরে ছড়িয়ে পরেছে প্রধান মন্ত্রীর এই ঘটনা। কোন কোন পত্রিকা বড় করে শিরোনাম লিখে ফেলবে,”মৃত্যু পথযাত্রী প্রধানমন্ত্রী......” টেলিভিশনের রিপোর্টার একটি জরিপ দেখিয়ে বলে দেবেন তামাম দুনিয়ার কয়জন প্রধানমন্ত্রী বাথরুম কষা হওয়ার কারনে মারা গেছেন। শহরের অলি গলি রাজপথে এই বাথরুম কষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়ে যাবে। বিরোধী দলের প্রধান বিশ্বস্ত সুত্রে থানায় খবর নিবেন যে এই কষা হওয়ার জন্য দায়ী করে তাদের নামে থানায় মামলা এসেছে কি না। দেশের বিজ্ঞানী শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীরা গবেষণা শুরু করবেন এই কষা প্রাকৃতিক নাকি কৃত্তিম, এমন কি তারা মলমুত্রের স্যাম্পল চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর দরখাস্ত করে বসবেন। হুমায়ুন স্যার এই টপিক পেয়ে একটি বই লিখে ফেলতে পারেন যার নাম হবে,”প্রধানমন্ত্রীর কষা এবং মিসির আলির পায়জামা” যদিও পাঠক এই ঘটনায় মিসির আলির মত রহস্য সমাধানদাতার ভূমিকা কি তা লেখায় বুঝতে পারবেন না। জাফর স্যারও আমাদের হতাশ করবেন না নিশ্চয়ই, এই নিয়ে সায়েন্টেফিক কিছু অবশ্যই আমরা আশা করতে পারি।
অনেক হয়েছে, এবার আসল ঘটনায় যাই। ভার্সিটিতে গুজব ছড়িয়েছে যে আমি নাকি ক্লাসের জ্বালাময়ী সুন্দরী নাহ জ্বালাময়ী শব্দটা অশ্লীল শোনায়, আমি নাকি ক্লাসের সবথেকে রূপবতী এবং বড়লোক বাপের কন্যা নীনার সাথে প্রেম করছি। কেউ কেউ নাকি এর প্রমান দিতে পারবে বলে দাবী করছে। ক্লাসের সফিক হারামজাদা দাবী করছে আমাকে আর নীনাকে নাকি সে লিটনের ফ্ল্যাটেও যেতে দেখেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচার না হলে আমার একহাত দেখে নেবে বলে নাকি নীনার মজনুরা হুমকিও দিচ্ছে। কিন্তু এতকিছু ঘটে গেছে সেটা আমি নিজেও জানি না। চারদিন ক্লাসে আসিনি, আজ এসে নিজের গার্লফ্রেন্ড মিমির কাছে এসব শুনছি। মিমির প্রেমিকের নামে এত কিছু ছড়াচ্ছে আর এই মেয়ে এসব আমাকে বলছে আর হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে আমার উপরে। পৃথিবীর রহস্যময় চরিত্রগুলোর মধ্যে মিমি একটি। সে নীনার মতই অত্যাধিক সুন্দরী হলেও আমার কাছে একটু বেশী। নীনার থেকে কোন অংশেই কম নয় মিমি। বিয়ের সময় মেয়ে দেখতে গেলে বলে হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হয় না, একদিক থেকে না একদিক থেকে ঘাটতি থাকে। কিন্তু মিমির বেলায় পাঁচটি আঙ্গুল সমান, সে দেখতে যেমন সুন্দরী, তেমনি তাদের অবস্থা অন্যসব দিকও দারুন। মিমি আমার দুই ইয়ারের জুনিয়র। মিমির সাথে প্রথম পরিচয়ের পর্বটা বলি,
একদিন মিমির গাড়ির চাকা দেবে গেছে। আমি মধ্যবিত্ত বাবার ছেলে, তাই রিকশাই সম্বল। রিকশা নিয়ে বাড়ি যাব তখনি রাস্তায় একটি মেয়ে ডেকে উঠলো,”এই যে ভাইয়া শুনুন প্লিজ, একটু হেল্প লাগবে”
সুন্দরী মেয়েদের মুখে ভাইয়া ডাক শুনলে গা জ্বলে তবুও রিকশা চালককে থামাতে বললাম। নেমে মিমির সামনে দাড়ালাম। মিমি বললো,”আমার গাড়ির চাকা দেবে গেছে, আমি কি রিকশাটা নিয়ে যেতে পারি?” এই বেলায় এই এলাকাতে রিকশা তো দূরে থাক ঠেলাগাড়িও পাওয়া যাবে না। তাই মিমিকে বললাম,”আমি কি সাথে আসতে পারি? এখন রিকশা পাওয়া যাবে না, তাছারা আমার একটু তাড়া আছে।“ মিমি রিকশায় উঠে বললো,”স্যরি ভাইয়া, আমি পুরুষের ঘামের গন্ধ সহ্য করতে পারি না, আপনার গা থেকে গন্ধ আসছে। এই রিকশা তুমি যাও।“ রিকশা চলে গেলো আর আমি হকচকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। এই প্রথম কেউ বললো আমার গা থেকে ঘামের গন্ধ আসছে, অপমান করলো নাকি? কোন মেয়ের এতখানি স্পর্ধা নেই আমাকে এসব বলবে। কিন্তু এই মেয়ে অবলীলায় বলে চলে গেলো? গা থেকে তো ফরাসি সৌরভের ঘ্রান আসছে, ডেনিমের একটা সুগন্ধি পাঠিয়েছে এক বন্ধু।
পরদিন ক্লাসের শেষে ছাতিম গাছের নীচে বসে ভাবছিলাম পড়াশোনা শেষে বাবার ছোট ব্যাবসায় হাত দেব নাকি চাকরি বাকরি সন্ধান করবো। এমন সময়ে মিমি সামনে এসে বললো,”হা করে বসে আছেন কেন? ক্ষুধা লেগেছে?” বলেই খিল খিল করে হেসে ফেললো। এত হাসির কি আছে বুঝতে পারলাম না। কিন্তু এই মেয়ের হাসি সুন্দর। হাসলে দুই গালে টোল পড়ে। যেসব মেয়েদের গালে টোল পড়ে তারা মানুষকে দেখিয়ে হাসে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসি প্রাকটিস করে কারন তারা জানে হাসলে তাদের সুন্দর দেখায়। “কি কাল আপনাকে চমকে দিয়েছিলাম না? আসলে আপনার গা থেকে ঘামের গন্ধ আসেনি, আপনাকে বোকা বানানোর জন্যে এসব করেছি।“ বলেই আবার হাসতে লাগলো। মেয়েটি খুব চঞ্চল তাছারা হাসির রোগ আছে। দেখতেও সুন্দরী। সুন্দরী মেয়ে দেখলে আমার বুকে ব্যাথা করে, এই মেয়েকে দেখে বুকে ব্যাথা করছে, সুতরাং সে সুন্দরী। যাইহোক, এভাবেই আমাদের প্রেমের শুরু।
আমি মিমিকে বললাম,”আচ্ছা ভার্সিটিতে সবাই এসব বলাবলি করছে, তোমার কি একটুও জ্বলে না?”
“কেন? তোমার কি সত্যি সত্যি জ্বালাময়ী রূপবতী নীনা আপুর সাথে প্রেম হয়েছে নাকি?” আবারো হাসতে শুরু করলো ও, হাসতে হাসতে হেচকি তোলার উপক্রম।
“শোন মিমি, তুমি ভালো করেই জান আমি খুব সহজে রাগী না, আর তুমি আমাকে রাগানোর জন্য এসব বলছো তাও আমি জানি। শোন, ঐ নীনার নাম শুনলে আমার গ্রান্ডমাদার টাইপ মনে হয়। নীনা উল্টালে হয় নানী। ভীষণ হাস্যকর, তুমি কি করে ভাবলে ঐ গ্রান্ডমাদারের সাথে আমি প্রেম করবো?”
“মিমি নামটাও একটু চেঞ্জ করে দিলে মামী হয়ে যায়। কিছুদিন পরে তো তুমি আমাকে আন্টি টাইপ বলতে শুরু করবে।“ বলেই আবারো বাচ্চাদের মত হাসতে শুরু করলো মিমি। মাঝে মাঝে মনে হয় এই মেয়ে মরা বাড়িতে গেলে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যায়, আর মুর্দা খাটিয়া থেকে উঠে কাফনের কাপড় ফাক করে বলে,”এই মেয়ে হাসছো কেন? দেখছো না আমি মারা গেছি। কাঁদো বেয়াদব মেয়ে”
উঠে ক্লাসের দিকে রওনা দিলাম। নীনার সাথে কথা বলা দরকার। এই মেয়ে যে ইচ্ছে করে এমন করেছে সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। বছর খানেক আগে ক্লাস ভর্তি স্টুডেন্ট এর সামনে একদিন প্রোপজ করে ফেললো। আমি কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলাম ক্লাস থেকে। সেই থেকেই এই মেয়ে অদ্ভুত সব কান্ড করে বেড়াচ্ছে। একবার আমাদের বাড়িতে যেয়ে আম্মার কাছে বললো,”আন্টি আপনার ছেলে আমাকে বিয়ে করে ফেলছে।“
আম্মা মাথা ঘুরে পরে গেলো। এই মেয়ে নিজেই আম্মার মাথায় পানি ঢেলে ঠিক করে আসার সময় আম্মাকে বলে এসেছে,”আন্টি দুষ্টামি করলাম, দেখলাম আপনার মেন্টাল স্ট্রেন্থ কতখানি।“ সেদিন থেকে আম্মা বলে দিয়েছেন,”তুই আমার সন্তান হয়ে থাকলে ঐ ডাইনীর ধারে কাছেও যাবি না”
ক্যাফেটেরিয়ায় দেখা হয়ে গেলো ডাইনী নীনার সাথে। দেশের কসমেটিকস ব্যাবসার প্রসারের পেছনে ডাইনী নীনার বড় রকমের অবদান আছে। পড়ালেখা শেষ করে যদি একটা কসমেটিকস এর দোকান খুলে বসি আর নীনার মত যদি দুই থেকে তিনটা “বান্ধা কাস্টমার” থাকে তাহলে দিব্যি সংসার খরচ উঠে যাবে। ডাইনী নীনা আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড। তাই ওর সকল অত্যাচার চোখ, মুখ, নাক, কান সব বুজে সহ্য করতে হয়। একটা কফি সামনে নিয়ে সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ডাইনী নীনা। সামনে যেয়ে বিরক্তি নিয়ে বললাম,”কিরে ডাইনী, কাহিনী কি?”
“তোকে না বলছি আমাকে ডাইনী বলবি না”
“কিছু করার নাই, মায়ের আদেশ”
“আন্টি আমাকে এই নামে ডাকতে বলছে?”
“আরে নাহ, আম্মা বলছে ডাইনী নীনার আশেপাশেও যাবি না”
“তাহলে তুই আসছিস কেন? যা মায়ের আচল ধইরা বইসা থাক গাধার বাচ্চা।“
গাধার বাচ্চা হচ্ছে নীনার ট্রেডিশনাল গালি। ফোন ধরার পরে ওপাশ থেকে কেউ যদি বলে “গাধার বাচ্চা” তাহলে বুঝে নিতে হবে নীনা আর যদি বলে “জানু” তাহলে বুঝে নিতে হবে মিমি আর কেউ যদি বলে “হারামির বাচ্চা” কিংবা “ইবলিসের বাচ্চা” তাহলে নির্ঘাত আম্মা আর যদি বলে “মাই লিটল ইয়াংম্যান” তাহলে তিনি আমার পরম পিতা মহীশুর। তাকে আমি আদি রাজাদের নামে মহীশুর উপাধি দিয়েছি। আমার সব থেকে ভালো বন্ধু এই “হারামি” অথবা “ইবলিস” আব্বু। সব ফ্যামিলিতে কর্তা থাকে বাবা আর আমাদের ফ্যামিলিতে আম্মা, আম্মার আচরন এমন যে আব্বু তার বড় ছেলে আর আমি ছোট, আম্মাজান রাজনীতিতে গেলে ভালো নাম করতেন, রাজপথে ভালো ফাইট করতে পারতেন। আর আমার বাবা হচ্ছেন সংসারের টাকা কামানোর মেশিন। মেশিনের পকেট থেকে টাকা বের হচ্ছে আর মেশিন চুপচাপ দেখে যাচ্ছে।
নীনার দিকে তাকিয়ে বললাম,”তোর সাথে জরুরী কথা আছে”
“এখন বলবি?”
“হুম এক্ষুনি”
“আমি এখন তোর জরুরী কথা শুনতে পারবো না, আগে কফি শেষ হোক”
আমি কফি শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে রইলাম। নিনা কচ্ছপের মত ধীরে ধীরে কফি খাচ্ছে, দেখে ইচ্ছে করছে ওর মাথায় গরম কফি ঢেলে দিতে। ঠিক পনের মিনিট পরে নীনা কফি শেষ করে বললো, “ কি বলতে চাস বলে ফেল, তোর চেহারা দেখে মনে হচ্ছে আমার মাথায় গরম কফি ঢালার ইচ্ছে করছে তোর”
“তুই বুঝলি কিভাবে?”
“আমি তোমার মাইন্ড রিড করতে পারি জানু”
“জানু? খবরদার তুই আমাকে জানু ডাকবি না, এইটা শুধু মিমির জন্যে”
“আচ্ছা সমস্যা নাই, মন, পরান, পাখি এগুলা ডাকবো, জানু আজকাল ক্ষেত টাইপ হয়ে গেছে। তুই যেন কি বলবি বলেছিলি? তারাতারি বল, আজ খাটাশের ক্লাস আছে”
“খাটাশ আবার কে?”
“রহমত আলী স্যার। তার নতুন নাম দেয়া হয়েছে খাটাশ, এখনো এফিডেবিট করে নামটা রাখা হয়নি, তবে এই নামটা ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। খাটাশ কি খায় জানিস?”
“না, জানার ইচ্ছেও নেই, এখন বল তুই এসব কি শুরু করেছিস”
“তেমন কিছু না, ইন্ডিয়া থেকে আমার এক খালু মুলতানি মাটি নিয়ে আসছে, এগুলা মেখে রাতে ভূত হয়ে বসে থাকি দুই ঘণ্টা, তারপরে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলি”
“তুই আমাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করছিস? আমি বলছি তুই এসব কি কথা ছড়াইছিস? আমি নাকি তোরে নিয়া লিটনের ফ্ল্যাট না সবুজের ফ্ল্যাটে গিয়েছি? সফিক নাকি আবার প্রমান দিতে পারবে, এগুলা কি?”
“তুই বেক্কেলের মত কথা বলছিস কেন? একটি অবলা মেয়ে কি পারে তার সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে?”
“আমি ভালো করেই জানি তুই এসব করছিস। আমার সাথে মিমির রিলেশন জেনেও তুই এসব করছিস কেন? তুই কি আমার ভালো চাস না? এরপরে এমন করলে তোর সাথে বন্ধুত্বের রিলেশনও থাকবে না, তুই ভালো কোন সাইকিয়াট্রিস্ট’র সাথে যোগাযোগ কর।”
“আমার কান্না পাচ্ছে, আমি কি কাঁদবো?”
“তোর যা ইচ্ছে তা কর, আমাকে আর বিরক্ত করিস না, তোর ঠ্যাং দুইটা দে ধরে মাফ চাই”
নীনা সত্যিই পা এগিয়ে দিয়ে মিটিমিটি হাসছে। এই পাগলের সামনে বেশিক্ষন থাকলে ক্যাফেটেরিয়ার সবাই দেখবে একটি স্মার্ট যুবক ছেলে একটি ডাইনীর পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করছে। তাই বেড়িয়ে পড়লাম। খাটাশ, স্যরি রহমত আলী স্যারের ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না আজ। ইমনের কাছে যেতে হবে। ইমন আমার ছোট ফুপ্পির একমাত্র ছেলে। লাইফের ষোল নাম্বার ছ্যাকা খেয়ে দুই দিন থেকে দরজা আটকে ঘরে বসে আছে। গুলশানারা ফুপ্পি ইমিডিয়েট ফোন করেছে কারন ও আমার কথা ছারা কারো কথা শুনে না। আমার ছোট ফুপা সোলাইমান শেখ খচ্চর টাইপের লোক। দুইটা দুই নাম্বারি ব্যাবসা চালায়। সোসাইটিতে দেখায় সে খুব দানশীল ভদ্রলোক। প্রথম জীবনে চর্মকার ছিলেন। চর্মকার বলে বাংলা কোন শব্দ আছে কি না জানি না, তবে যারা কর্ম করে তাদের কর্মকার বলে। তিনি প্রথমে চামড়ার দালালি করতেন, তাই তাকে চর্মকার উপাধি দেয়া যায়। যাইহোক, খচ্ছরের বাচ্চাটা নির্ঘাত দরজা আটকে গাঁজা টানতেছে। আমি না যাওয়ার আগে ঠিক হবে না।
(চারপর্বে ১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে -তে সমাপ্ত হবে। পরবর্তী পর্ব থাকছে আগামিকাল)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৩