স্থান ও ছবি: গিলি মেনো।
গিলি মেনো পৌছাতে পৌছাতে দুপুর ১২:০০ টা বেজে গেল। আমাদের মেইন বোট থেকে আরেকটা শাটল বোটে তুলে দেয়া হয়। সেই শাটল বোট করে দ্বীপের হার্বারে নেমেই গুগল ম্যাপে হোটল লোকেশন দেখে নিলাম। দেখলাম ১০ মিনিটের রাস্তা। আমরা জোশে পরিপূর্ণ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম ঘোড়ার গাড়ি না নিয়ে হেটেঁ হেটেঁ চলে যাব। কিছুদূর যাওয়ার পর আমাদের সব জোশ চুপসানো বেলুনের মত হয়ে গেল।কারণ গুগল ম্যাপ তো দূরত্ব দেখিয়েছে কিন্তু রাস্তা যে বালির সেটা তো দেখায় নাই।ঢাকায় বসে যখন হোটেল বুকিং করি তখন দেখিয়েছে সী বীচের পাশে, হার্বার থেকে বেশী দূরে না।আর বাস্তব হলো হার্বার হলো পূর্ব দিকে আর আমাদের হোটেল হলো পশ্চিম দিকে। বালির রাস্তায় হাটতে হাটতে আমাদের সব জোশ ফুস। কিছু রাস্তা অর্ধপাকা, কিছু ইট বিছানো আর পুরো দ্বীপের অধিকাংশ বালির রাস্তা। বালির রাস্তায় চাকা লাগানো ট্রলি ব্যাগ টানা যে কী কষ্টের। শেষ পর্যন্ত সেই ভারী ব্যাগগুলো হাত দিয়ে তুলে হাটা লাগছে। সব মন্দের একটা ভাল দিক আছে। ভাল দিক হলো এই ভাবে হার্বার থেকে হোটেল পর্যন্ত হেটেঁ যেতে যেতে আমরা পুরো দ্বীপের এক চতুর্থাংশ দেখে ফেললাম। কিছুদূর হাটি, রেস্ট নেই আর দৌড় দিয়ে সমুদ্রের কাছে চলে যাই। এত স্বচ্ছ সবুজ নীল পানি আর সাদা বালি আমি জীবনেও দেখি নাই। “ওশেন ব্লু” কথাটার মিনিং আমি আজকে বুঝতে পারলাম। অবশেষে ৩০ মিনিট পর আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছালাম। আমাদের গন্তব্যের নাম টু ব্রাদারর্স বাংলো। প্রসঙ্গত, ০৩টি দ্বীপের মধ্যে ২ কি:মি: দৈঘ্য এবং ১ কি:মি: প্রস্থের গিলি আইল্যান্ডটি সবচেয়ে ছোট এবং স্বাভাবিক হাটায় ১.৫ ঘন্টার মধ্যে পুরো দ্বীপের অলিগলি সহ আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন। এই আইল্যান্ডের পূর্বদিকে গিলি টি আর পশ্চিম দিকে গিলি এয়ার অবস্থিত। এই দ্বীপের অনেকগুলো নাম আছে। গিলি টি আর গিলি এয়ারের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় গিলি মেনোকে বলা হয় স্যান্ডউইচ আইল্যান্ড। সুনসান নির্জনতা, স্বচ্ছ সমুদ্র আর চকচকে সাদা বালির জন্য অনেকে ‘এসকেপ/রবিনসন ক্রশো আইল্যান্ড, হানিমুন আইল্যান্ড’ও বলে। যারা হাউ কাউ একদম পছন্দ করে না তাদের জন্য এই আইল্যান্ড পারফেক্ট। গিলি মেনো মোটর ভাহিকল ফ্রী দ্বীপ, আসলে ৩টি দ্বীপই মোটর ভাহিকল ফ্রী।স্থানীয় লোকজন ছাড়া আর কেউ মোটর বাইক ব্যবহার করতে পারে না। ট্যুরিস্টদের জন্য সাইকেল আর ঘোড়ার গাড়ী।
টু ব্রাদারর্স বাংলো একেবারে বীচ সাইড বাংলো। রুম থেকে উসাইন বোল্টের মত দৌড় দিলে ১ সেকেন্ড আর কচ্ছপের মত হাটঁলে ১ মিনিট লাগে বীচে যেতে। এই হোটেল দ্বীপের পশ্চিম সাইডে হওয়ায় ঠিক এখান থেকেই সূর্যাস্ত দেখা যায়। যা সানসেট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। এখানে বিকেল বেলা অনেক ট্যুরিস্ট আসে সানসেট দেখতে দেখতে খাওয়া দাওয়া করতে। প্রায় ০১:৩০ টার দিকে আমরা হোটেলে পৌছালাম। ওয়েলকাম ড্রিংকস খেতে খেতে অন্যান্য ফরম্যালিটি শেষ করে রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আমরা হোটেলেই দুপুরের খাবার খেলাম আর খাওয়ার সাথে তো ফ্রী সমুদ্র দর্শন আছেই। আমাদের রুম ছিল বীচ ভিউ বারান্দা সহ বাংলো। পার ডে ভাড়া প্রায় ৫,৩০০/ টাকা ইনক্লুডিং ব্রেকফার্স্ট। । গিলি মেনোতে আমার অবজারভেশন হচ্ছে, থাকার জন্য এসি ওয়ালা বীচ ভিউ বাংলো/ সী সাইড হোটল রুম যাই হোক না কেন এসবের কোন দরকার নাই। তার বদলে একটু ভিতরের দিকের হোটেলে থাকা ভাল। কারণ ১। তাতে খরচ কম হয় এবং ২। যত ভিতরেই থাকুন না কেন সী বীচে আসতে আপনার সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১০ মিনিট। এর এক মিনিটও বেশী না। আসলে এসব জায়গায় রেস্ট নেয়া ছাড়া রুম আপনার আর কোন কাজে লাগবে না। ট্রপিক্যাল ওয়েদার হওয়াতে গরম হলেও বাংলাদেশের মত প্যাচপ্যাচা গরম না। রোদে আপনি পুড়ে যাবেন কিন্তু ঘাম হবে না। তারপর একটা ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া করে পুরো দ্বীপ ঘুরতে বের হলাম। ভাড়া ছিল ২,০০,০০০ IDR। সব মিলিয়ে সময় লাগলো ৩০ মিনিট। দ্বীপের মাঝখানে লেকসহ একটা মানগ্রোভ বন আছে। আগে লেকের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় যাওয়ার জন্য একটা ব্রীজ ছিল। এখন ব্রীজটা একদম ভাঙ্গা। এই লেকের পাশেই দ্বীপের একমাত্র গ্রাম অবস্থিত যেখানে স্থানীয়রা বাস করে, তবে বেশীরভাগ লোকই লম্বক থেকে এখানে আসে কাজের উদ্দেশ্যে। গিলি মেনো মুসলিম অধ্যুষিত দ্বীপ। সকাল থেকে রাত ০৮:০০ টা পর্যন্ত মসজিদ হতে কোরআন তেলাওয়াতের আওয়াজ শুনেছি,কিন্তু কোন স্কুল এই দ্বীপে নাই। পুরো দ্বীপের ইকনোমি ট্যুরিস্ট নির্ভর। আমরা ঘুরাঘুরি শেষ করে আবার রুমে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে সূর্যাস্ত দেখার জন্য বাইরে এসে পুরো হায় হায় অবস্থা।দুপুরে যে সমুদ্র ছিল উত্তাল এখন বিকাল বেলা সেই সমুদ্রে এক ফোটাঁ পানি নেই।সমস্ত পানি যেন কেউ নিমিষে শুষে ফেলেছে। স্থানীয় পিচ্চিরা খেলার মাঠের মত দৌড়াদৌড়ি করছে। পুরুষ মহিলারা হেটে হেটে চলে যাচ্ছে। বোটগুলো অলসভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে বুঝলাম এখন ভাটার সময় আর পশ্চিম দিকের আমাদের বাংলোসহ আশেপাশের বেশ কিছু জায়গায় এই ভাটার কারণে সমুদ্রে পানি থাকে না।আমার জামাই তো খুব খুশী। তার কথা হচ্ছে-এতদিন তো শুধু সমুদ্র দেখছি, এখন সমুদ্রের তলায় কি থাকে তাও দেখবো। আমরা হেটে হেটে ঘুরতে লাগলাম। কত কিছু যে দেখলাম। গিলি মেনো কোরাল সমৃদ্ধ দ্বীপ। কোটি কোটি কোরাল এই দ্বীপে যা এখনও অক্ষত আছে। সমুদ্রের ঢেউ-এর সাথে সাথে প্রচুর কোরাল বীচে পড়ে থাকে। বিভিন্ন রঙ্গের প্রচুর কোরাল দেখলাম। কিছু কিছু গর্তমতন জায়গায় পানি জমে ছিল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের নাম না জানা মাছ, ছোট ছোট প্রানী চুপ করে বসে ছিল। সমুদ্র দূরে সরে যাওয়াতে মানুষ হেটে হেটে তীরে আসছে। আসলে এগুলো ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আস্তে আস্তে সুর্যাস্তের সময় ঘনিয়ে এল। বাংলোর স্টাফরা ততক্ষণে সমুদ্রের পাশের খোলা জায়গায় বার-বি কিউ করা শুরু করে দিয়েছে । মেনুতে ছিল রেড স্ন্যাপার, ব্ল্যাক স্ন্যাপার, মাহে মাহে, লবস্টার ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছ আর মুরগী। এক এক করে আরো অনেক ট্যুরিস্ট সুর্যাস্ত দেখতে চলে এল। তারা মেনু দেখে খাবার অর্ডার করছে, স্টাফদের সাথে হাসাহাসি করতে করতে তাদের সাহায্য করছে। গিলি মোনোর স্থানীয় প্রত্যেক হোটেল/রেস্টুরেন্ট মালিকরা একটি অলিখিত নিয়ম মেনে চলে। তা হলো আপনি ফাইভ স্টার থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের হোটেল/রেস্টুরেন্টের সামনে পেতে রাখা চেয়ার/টেবিল/বেঞ্চ/হ্যামক/ছাতার নীচে যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ বসে, শুয়ে, ঘুমাতে পারবেন। কেউ আপনাকে কিছুই বলবে না এমনকী হোটেল/রেস্টুরেন্টের স্টাফরাও না। কেউ জিজ্ঞাসাও করবে না-আপনি এই হোটেলের কিনা, না হলে বসছেন কেন, এই রেন্টুরেন্টের সামনে বসলেই খাবার খাইতে হবে, এই ছাতার নীচে বসে সমুদ্রের ভিউ দেখতে চাইলে বসার জন্য টাকা দিতে হবে ইত্যাদি প্যানপ্যানানি, অভদ্র আচরণ ভুলেও কেউ আপনার সাথে করবে না। প্রত্যেক হোটেলের সাথে আলাদা টয়লেট/ গোসলখানা আছে যাতে যে কেউ সমুদ্রে নামার পর ড্রেস চেন্জ করা অথবা টয়লেট লাগলে টয়লেট করতে পারে। তবে সী সাইড রেন্টুরেন্টের খাবারের দাম, ভিতরের দিকের রেন্টুরেন্টের খাবারের দাম থেকে একটু বেশী। লোকেশনের একটা ব্যাপার আছে না। আরেকটা বিষয় হলো ট্যুরিস্টদের কাউকেই আমি কোক, পেপসি এগুলো খেতে দেখি নাই। এরা খায় বিনটাং নামক বিয়ার। বিয়ার শুনেই লাফ দেয়ার কিছু নাই। এতে ০% অ্যালকোহল থাকে। স্বাদ ও দেখতে আমাদের দেশের মাউন্টেন ডিউের মত। পানির বদলে মোটামুটি সবাই এটা খায়। সন্ধ্যা হওয়ার পর আমরা হেটে হেটে পূর্ব দিকের হার্বারে চলে গেলাম। ঐখানে এই দ্বীপের ৫ স্টার হোটেল কার্মা রীফের সামনে বসে বসে সমুদ্র দেখা আর বাতাস খাওয়া চলতে লাগল। রাত প্রায় ০৮:৩০ দিকে আমরা আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে হাটা দিলাম। হার্বার থেকে আমাদের হোটেলে আসতে ১০ মিনিটের মত সময় লাগে। পুরো দ্বীপের যেখানে যেখানে হোটেল/স্থানীয়রা থাকে শুধু সেখানে কারেন্ট আছে। বাকি দ্বীপ ঘুটঘুটা অন্ধকার। এই অন্ধকারের মধ্যে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে আমরা হেটে আসছি, হঠাৎ মনে হলো কে যেন পিছন পিছন আসছে। আমরা একটু থেমে আবার হাটা দিলাম। আবার ও একই কাহিনী। চারদিকে ঘুটঘুটা অন্ধকার, ডানপাশে জঙ্গল আর বাঁপাশে সমুদ্রের গর্জন শুনতে পারছি। আমাদের সাথে পাসপোর্ট, টাকা। কেউ ছিনতাই করে নিয়ে গেলে অথবা গলা কেটে জঙ্গলে পুতেঁ ফেললে বা সমুদ্রে ভাসিয়ে দিলেও কেউ আমাদের খোজঁ পাবে না। আমরা দুইজনই ভয়ে দিলাম দৌড়। দৌড়ে ৫মিনিটের মধ্যে হোটেলে হাজির। আমাদের দেখে হোটেলের স্টাফরা জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে। আমরা ঘটনা বললাম। তখন তারা বলল, দেখ এই দ্বীপে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নাই। তুমি যত রাতই কর না কেন কোন ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবে না। আর রাতে দ্বীপ আরো নির্জন থাকে বিধায় বাতাসের শন শন শব্দ বেশী শুনা যায়, তাই হাটঁতে গেলে মনে হয় কে যেন পিছন পিছন আসছে। আর শুনো আমাদের পুরো দ্বীপের জীবিকা তোমাদের মত ট্যুরিস্টদের উপর নির্ভরশীল, আমরা এমন কিছু করবো না যেটাতে আমাদেরই সমস্যা হয়। আমরাও একটু সুস্থমত বসে বরফঠান্ডা বিনটাং খেতে খেতে চিন্তা করলাম, আসলেই তো।পুরো দ্বীপে আমরা ছাড়া বাকি সবাই দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের বাসিন্দা। এদের মুভমেন্ট দেখলেই বোঝা যায় এর আগে অনেকবার এরা এখানে এসেছে। দিন রাত কোন সময়েই এদের চলাফেরা বা নিরাপত্তার কোন সমস্যা হয় নাই। আর আমাদের হোটেল তো একবারে ফ্রন্ট সাইটে। আর অধিকাংশ ট্যুরিস্ট তো একেবারে ভিতরে থাকে। ওখান থেকে আমাদের হোটেল পর্যন্ত আসতেই তো ১৫ মিনিট লাগে। তারপরও তারা বিনা ভয়ে লম্বা লম্বা ঠ্যাং ফেলে হেটে চলে যাচ্ছে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন এই আইল্যান্ডগুলোর তুলনায় কোন অংশে কম নয়। কিন্তু নিরাপত্তার দিক থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রী উলটা। রাতের বেলা যে ঘুটঘুটা অন্ধকার রাস্তা দিয়ে হেটে এসেছি, বাংলাদেশে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারিনা। আর এদের মানসিকতাটা পুরোপুরি ট্যুরিস্টবান্ধব। “পাইছি ট্যুরিস্ট কামাইয়া লই” টাইপের মনোভাব এদের কারো মধ্যে দেখি নাই। আমরা একটু ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য সাসাক ক্যাফে নামের একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। যাওয়ার পথে আবারও সেই ঘুটঘুটা অন্ধকার। এবার আর তেমন ভয় লাগলো না। আগে সাসাস ক্যাফে একেবারে বীচ সাইডে ছিল কিন্তু গর্ভমেন্টের আপত্তির কারণে পাশের গলিতে নতুন করে ওপেন করছে এদের বীচের পাশে ড্রিংকস্ কর্ণারও আছে। আমরা পেটভরে রাতের খাবার খেলাম। ধীরে সুস্থে বাংলোতে এসে দেখি টিভিতে বিশ্বকাপ খেলা দেখতে স্থানীয়দের সাথে সাথে ট্যুরিস্টরাও আসছে। তখন বিশ্বকাপের ১ম রাউন্ডের খেলা চলতেছিল। আমরা কিছুক্ষণ খেলা দেখে ঘুমাতে গেলাম। কারণ আগামীকালের প্রোগ্রাম হচ্ছে স্কুবা ডাইভিং করা। সকাল ৯:০০ টায় হাজির থাকতে হবে। সকাল সকাল উঠার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম।
.............. চলবে...............
১। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গাতে নিজে ময়লা ফেলুন এবং বাচ্চাদেরও নির্দিষ্ট জায়গাতে ময়লা ফেলতে উৎসাহিত করুন।
২। জীবনের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহার করুন।
২য় দিন- ১ম ভাগ: Click This Link
ফেসবুকে পড়তে- Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭