আজকাল আমাদের মানসিকতা কেমন যেন নেগেটিভ হয়ে গেছে। কোন কিছুতেই পজেটিভ কিছু খুজে পাই না। এটা কি এক ধরনের রোগ ? হতে পারে !
আসুন একটু চেষ্টা করে দেখি, বিভিন্ন ঘটনাকে পজেটিভলি দেখা যায় কিনা ! একটু পজেটিভলি দেখুন না !
১। আমার আবাস রাজশাহীতে। রাজশাহী শহর পদ্মা নদীর তীরে। আমাদের চোখের সামনে পদ্মা নদীটা মরে গেল। ভারতের ফারাক্কা ফাদে পরে পদ্মার বুকে এক বিশাল চর। পানি ! সে শুধু বর্ষায়। বাকী সময় ধু-ধু বালু চর। কিন্তু এতে কিছু উপকারও আছে। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে অনেকেই দেখি ধান, বাদাম, তরমুজ এসবের চাষ করছে। কাজেই কৃষি উৎপাদন বাড়ছে। তাছাড়া, পানি না থাকায় নৌকা ডুবি হচ্ছেনা। কেউ মারাও যাচ্ছে না। বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য কিছু জায়গা বেড়েছে। আরও কত !
২। রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তা ঘাটে পানি জমে যায়। আমি শান্তি নগরে একটা টিউশনি করতাম। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে হাটু পানি জমে যায়। তবে, এই রাস্তা ঘাটে পানি জমলেও এর কিছু উপকার আছে। পানি থাকার কারনে বাতাসে ধুলোবালি কমে যায়। যেটা পরিবেশের জন্য খুব ভাল। তাছাড়া, ১০ টাকার রিকশা ভাড়া হয়ে যায় ২০টাকা। ৫০ টাকার CNG বেড়ে হয় ১৫০ টাকা! এই ভাড়া বাড়ায় কারনে গরীব রিকশাওয়ালা, CNG ড্রাইভার এরা বাড়তি দু-পয়সা আয় করতে পারে। এতে ধনী গরীবের ব্যাবধান কমে !
৩। সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজ ডুবেছে। এতে চারিদিকে ভয়াবহ আকারে তেল ছড়িয়ে পরেছে। সবাই মহা আতঙ্কে আছে, এই ঘটনায় কতটা ক্ষতি হয়। পরিবেশ প্রতিবেশের কি হবে সেই নিয়ে আতঙ্ক। বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের পশুর, শ্যালা, রূপসা ও বলেশ্বর নদের ৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়েছে। নদীতীরবর্তী এলাকার চাঁদপাই, জয়মনি, তাম্বুলবুনিয়া, হরিণটানা এলাকায় প্রায় তিন ধরনের বনজীবী বসবাস করেন। বন থেকে মাছ ও রেণু পোনা ধরা, মধু ও গোলপাতা আহরণ তাঁদের প্রধান জীবিকা। বনে তেল ছড়িয়ে পড়ার ফলে এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে।
ডঃ সামসুদ্দোহা খন্দকার, চেয়ারম্যান, BIWTA, একটা পজেটিভ মানুষ। তিনি কিন্তু এই ঘটনাতে একটা পজেটিভ দিক পেয়েছেন। এই যে তেল ছড়িয়ে পড়ল, সেটা এলাকার মানুষ সংগ্রহ করছে। তাতে তাদের বাড়তি একটা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে !!
সত্যিই আমাদের positive মানসিকতা থাকটা খুব দরকার !