somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বনানী ১১ নং রোডের মাথায় ব্রিজের গোড়ায়...

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উক্ত ব্রিজে আমি দাড়ানো ছিলাম বিকাল ৫:৩০ টার দিকে। একটা ইফতার পার্টির দাওয়াত ছিলো তাই ওদিকে যাওয়া, হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকায়, ভাবলাম আগেভাগে গিয়ে বসে থাকার চাইতে এখানে একা একা কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকি। দাড়িয়ে-দাড়িয়ে লোকজনের আসা-যাওয়া, চলা-ফেরা, কাজকারবার দেখি। আমার অনতিদুরেই এক ছিন্নমূল লোক বসা তার পাশেই আমার মেয়ের বয়সী এক মেয়ে; বয়স ৫-৬ হবে। তাদের ভাব-সাব দেখে মনে হচ্ছে তারা বাপ-বেটি। লোকটার গায়ে কম্বল জড়ানো, খুব শ্যালো-শটকার্ট একটা চেহারা; যেমনটা চেহারা সব বাস্তুহারা-ফুটপাতবাসী লোকজনের হয়ে থাকে- চেহারায় কোনো মায়া-মমতা নেই, কোনো ভাল-মানুষী নেই, নেই কোনো শান্ত-স্থিরতাপুর্ণ অবয়ব। তবে বালিকাটির চেহারা খানিকটা আমার মেয়ের মতো, এবং এখনো তার চেহারা হতে শিশুত্বের ঝিকিমিকি ভাবটি বিলিন হয়ে যায়নি। রাস্তার পাশে এই দাড়িয়ে থাকা আমাকে ক্লান্ত করেনা। আমাকে ভাবায়। বিজ্রের নিচে দেখি ছোটোমোটো একটা ফুলবাগান, তাতে আবার বেশ ফুলও ফুটেছে।
এদিকে কোথায় যেন নায়িকা পরীমনি'র বাসা, আমি চিনিনা। আমাদের ড্রাইভারকে কতোবার বলেছি যে ওই বাসার সামনে দিয়ে একদিন আমারে নিয়ে যাবার জন্য, ও-বেটা যায়না, খালি মিচকি মিচকি হাসে। ওই বেটা ওই হাসির কি হইলো, পরীমনি হইলো এদেশের সব'চে সেরা সুন্দরী ।
ক্ষুধার্ত অবস্থায় দুটি কাজ করতে হয়না- ১. বাজার করা এবং ২. ঝগড়া করা। পাচতারকা হোটেলের ইফতার পার্টিতে আমরা প্রথম কাজটির মতো একটা কাজ করলাম বলতে গেলে সবাই। খাবারে সবার প্লেট উপচে-উপচে পড়ছে, হাজারো পদের-নানা রকমের খাবার। লোকজন যা
প্লেটে নিয়েছিলো তার সিকি ভাগও খায়নি, সব ফেলনা যাবে...আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যা নিয়েছে তার সবটুকু খেতে। এজন্যই বোধহয় আল্লাহ বলেছেন "তোমরা খাও-পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করোনা"। আর আজ আমরা যা করলাম তা অপচয়ের চুড়ান্ত।

বৃষ্টিভেজা পথ মাড়িয়ে আমরা যখন এসির বাতাস খেতে গন্ত্যবে রওয়ানা হলাম, তখনো আনমনে রাস্তায় আমার মেয়ের মতো দেখতে মেয়েটিকে খুজছিলাম; হয়তো সন্ধ্যায় শিশুটি তেমন কিছু খায়নি, আর আমরা কিছুই নষ্ট করতে বাদ রাখিনি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এনসিপিকে আমাদের দেশের তরুণ-যুবা'রা ক্ষমতায় দেখতে চায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে পাড়া-মহল্লায় জনতার আদালত গঠনের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি তথা এনসিপি। দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' তথা চর মোনাইয়ের পীর সাহেবের দল এনসিপিকে আগে থেকেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাতৃ ভাণ্ডার

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:২৬



আমাদের দেশে মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া বিরল ব্যাপার। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে যারা যাতায়াত করেন মাতৃ ভাণ্ডারের সাথে পরিচিত নন এমন মানুষও মনে হয় খুব বেশি নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপি জামায়াতের শাখা, এই ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

প্রিয় রাজীব ভাই,
আপনি আমার আগের পোস্টে কমেন্ট করেছেন যে, এনসিপি জামায়াতের শাখা। আপনার এনালাইসিস ভুল! ওরা জামায়াতের শাখা নয়। এনসিপি-কে বুঝতে হলে, আপনাকে জামায়াতকে জানতে হবে। আমি একটু বিস্তারিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৩ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ছবি কৃতজ্ঞতা এআই।

ভূমিকা

নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা ইতিহাসের এক দীর্ঘ অধ্যায়। পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন শুরু হয় ১৮শ শতকের শেষভাগে, যার ফলশ্রুতিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি স্মার্ট জাতির অন্তঃসারশূন্য আত্মজৈবনিক !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪


একটা সময় ছিল, যখন জাতির ভবিষ্যৎ বলতে বোঝানো হতো এমন এক শ্রেণিকে, যারা বই পড়ে, প্রশ্ন তোলে, বিতর্কে অংশ নেয়, আর চিন্তা করে। এখন জাতির ভবিষ্যৎ মানে—ইনফ্লুয়েন্সার। তারা সকাল ১০টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×