ইলিশ পেতে পেতে নাকি এখন পুকুরেও পাওয়া গেছে, মার বদিআলম (চিটাগাংয়ের একটা পাব্লিক ডায়লগ)। আজকের পত্রিকাতেও এসেছে “নদীতে বেড়েছে ইলিশের ঘনত্ব”, আর সাগরে তো কথাই নাই। সব’ই তো বুঝলাম, কিন্তু তাতে কি পাব্লিকের কিছু আসে যায়? হাদারাম পাব্লিক কি ইলিশ খরিদ করবার লেগে এডিকোয়েট কনফিডেন্স নিয়ে ইলিশ বিক্রেতার সামনে দাড়াতে পেরেছে? বাজারে গেলে দেখা যায় ইলিশ বিক্রেতারা চট দিয়ে মোড়া একটা ঝুড়িতে বিশেষ কায়দায় লাইট সেট করে জাতীয় মাছটির মাথা নিচের দিকে আর পাছা উপর দিকে দিয়ে সাজিয়ে রাখে; তা রাখুক, সারা বাজার ঘুরে তো ২ ডজন ইলিশও এট এ টাইম পাওয়া যায়না। আসলে এটা একটা বিক্রয় কৌশল, বেশি মাল একসাথে বের করলে সস্তা সস্তা একটা ভাব এসে ক্রেতার মনের সাহস বেড়ে যেতে পারে। সো ঢাল বরফ, কর স্টক আনটিল কেয়ামত, এন্ড মার বদিআলম- পুজিবাদের জয়জয়কার।
হাউএভার পাব্লিক ইলিশ খেতে পারেনা, কারণ চাল ৬০+/কেজি, তেল ১৫৮+/কেজি…… আর ইলিশ = বালিশে কল্লা রেখে ড্রিমিং + মজুতদারের জুলুম। গত তরমুজের সিজনে, প্রসাশনকে মাঠে নামতে হয়েছিলো আামাদের তরমুজ খিলানোর জন্য। এবার ইলিশের জন্য পুলিশি অভিযান চালানো হোক, মজুদদারের বরফে ওই শুয়োরদেরই জিইয়ে রাখা হোক, বেশ কয়েক বছর যারা একবারের জন্যও ইলিশ খেতে পারেনি, ইলিশের ঘনত্ব বৃদ্ধি তাদের কাজে লাগুক।