১. বাংগালীর আর যাই থাক, কোনো কিছুতেই পেশাদারীত্ব নেই, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে । প্রফেশনাল এ্যটিচুট কি জিনিস বাংগাল তা জানেনা, তা আয়ত্তকরার কোনো ইচ্ছাও তাদের নেই; সবকিছুতেই কেমন যেন ইজি-ঢিলেঢালা গা-ছাড়া একটা মনোভাব। নতুন জয়েন করা কলিগের ওরিয়েন্টেশনে আমার নিকট তার প্রথম প্রশ্ন-“বাই, আপনার দ্যাশের বাড়ি কই”।
২. টিভি চ্যানেলগুলোর দিন শেষ, বাংলা সিনেমা হলের মতো অচিরেই তা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রযুক্তির কল্যাণে দর্শকের কাছে পৌছানো এখন পান্তাভাত- লালুর ভাই ভুলুরও এখন ডেডিকেটেড দর্শক আছে এবং হিরো আলমও এখন ভিনদেশী ভাষার গায়েন। তা এক হিসেবে ভালোই, বিনোদন যার যার, তার তার।
৩. ঢাকার উঠতি ছেলেপুলেরা চানাচুরের মতো কেমন যেন মচ্মচে একটা ভাষায় কথা বলে- না শুদ্ধ, না অশুদ্ধ ,বেশিক্ষণ শুনলে মাথা ধরে যায়; বিরক্ত লাগে। আমার কাছে সব’চে ভালো লাগে বরিশাইল্যা ভাষা। সবাই যেতে চায় ইউরোপ-আমেরিকা আর আমি যেতে চাই বরিশাল। ওখানে কোনো আত্নীয়-বন্ধু না থাকায় যাওয়া হয়নি এখনো।
৪. মাস্ক পরাতে প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রলীগকেও মাঠে নামানো উচিত। এত বিশাল একটা ফোর্স কাজে লাগানো যেতে পারে। আইন হতে পারে, যথাযথ ভাবে মাস্ক না পরলে পাছায় ৩টা বেতের বাড়ি ( ময়লানা হলে ৫টা ) এবং মাস্ক না থাকলে প্রতি পিছ ৫০ টাকা করে বিক্রি- বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
৫. পুরুষ একটি বোকাসোকা প্রজাতির নাম। নিজের খেয়ে বনেরমোষ তাড়ানো তাদের হবি-প্যাশন-ফ্যাশন -প্রফেশন। সহ্য শক্তি বেশি থাকায় কোনোকিছু তেমন একটা গায়ে মাখেনা এবং ছেলেমানুষী তাদের কোনদিনও যায়না। ঘাড়ত্যাড়া পুরুষকে দিয়ে কিছু করাতে চাও তো ঘাড় ধরে ঘরের বাইরে বের করে একটা উদ্ভাবনী-চ্যালেন্জ ছুড়ে দাও- ওদের বুদ্ধি খোলে ঘরের বাইরে। এবং মুখে যতই না না করুক, পুরুষ সব সময়ই (বিশ্ব) প্রেমিক।
৬. গান শোনার সময় মনে-মনে কিছু একটা কল্পনা না করলে গান শুনে মজা লাগেনা আমার। আমার কল্পনায় আমি হয়ে যাই অন্য কেউ; কিন্তু আমার পাশে যে, তার “ নাম বললে চাকরি থাকবে না ”। আপনাদের কি-বস্তা?