সবাইকে অনেক অনেক ঈদ মোবারক।
আমি অবশ্য দুই দিন আগেই ঈদ করে ফেলেছি।
দেশের বাইরে আসার পর প্রথমে পেলাম রোজার ঈদ। তখনো দেশি কারো সাথে পরিচয় হয় নাই। তো এক মুসলমান ছেলে খবর দিল কালকে ঈদ। আবার আরেকজন বলল তার পরের দিন ঈদ। আমি কনফিউজড! প্রথম দিনেই ঈদ করাটাই ভালো হবে চিন্তা করে ঐদিন গেলাম ঈদের নামাজ পড়তে। ইউনিভার্সিটির মসজিদে পড়লাম কিন্তু ইমাম সাহেব কোন দেশি কে জানে! অতিরিক্ত তাকবীর মনে হয় দিলো বারোটা বা দশটা। যা আছে কপালে আমিও হাত উঠাইলাম নামাইলাম। নামাজের পরে দেখি খুতবাও নাই! যাইহোক নামাজ পরে রুমে এসে দেশে বাসায় কথা বললাম তারপর নাস্তা খেয়ে দিলাম ঘুম। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকলাম, তারপর নেটে গুতাগুতি করে টাইম পাস করলাম অন্য সব দিনের মত। কোরবানীর ঈদেও সেইম কাহিনী। তারপরের রোজার ঈদে কিছু বাঙ্গালির সাথে পরিচয় হল, দেশি একটা মসজিদের খবর পেলাম কিন্তু বেটারা ঈদ পালন করবে একদিন পরে তাই আবারো ঐ আগের মসজিদে গেলাম। এইবার দেখি খুতবা দিল, মুনাজাতও হইল! তারপর এক দেশি বন্ধুর বাসায় খাওয়া দাওয়া করে আগের বছরের দুঃখ কিছুটা কমালাম!
এই বছরে গেলাম চাঁন রাতের মেলায়! এতো সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখে মাথা আউট পুরা! কেনার মত কিছুই নাই, খালি মেয়েদের কাপড় চোপড়, তো আমরা মেয়ে দেখেই টাইম পাস করলাম। এইবারো ঐ বাংলাদেশি মসজিদে ইফতারের পর বিশাল ঝগড়াঝাটি নাকি হইছে কবে ঈদের নামাজ হবে! তো চিল্লাচিল্লি করে ওরা ডিসিশন নিলো অন্য সবার সাথেই এইবার একদিনে ঈদ পালন করবে। সুখবর!দেশি স্টাইলে নামাজ আদায় করলাম। কিন্তু শুক্রবার দেখে নামাজ পরেই ডিপার্টমেন্টে দৌড় দিলাম কামলা খাটতে। সন্ধ্যার সময়টা পার করলাম এক সিনিয়র ভাইয়ের বাসায় যেয়ে খাওয়া দাওয়া করে। তারপর শনিবার ছিল অয়ান ডিশ পার্টি ঐ ভাইয়ের বাসায়। আমার ভাগে পড়ছিল চিকেন ফ্রাই। সোজা জিনিষ, ওভেনে গ্রিল করে হাজির হলাম খাইতে।
সবাইকে আবারো ঈদ মোবারক।
--------------
মানবী আপাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখার আইডিয়া দেবার জন্য।