রাত পৌনে দুটো প্রায়! অথচ' রবিনের সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। একটা কল সেন্টারে চাকরি করে রবিন। গত দু বছর বেশ খাটা খাটনির পর এটলিস্ট প্রমোশন টা পেয়েছে আজ! কলিগরা সেইরকম জব্দ করেই ধরেছিল পার্টি টা দেওয়ার জন্য। প্রমোশন বলে কথা! পার্টি ছাড়া কি পোষাবে ওদের? তাই রাত আট টা থেকেই জমকালো পার্টি চলছে।
রবিন একের পর এক ড্রিংস করেই চলেছে। কোন হুঁশ জ্ঞান নাই। মাল গিলতে গিলতে সময়ের খবর হারিয়ে ফেলেছে। ঝাঁজালো কিছু মিউজিক চলছে ক্লাবে, আর তাঁর সাথে সাথে মাথা হেলে দুলে নাচছে রবিন।
পেছন থেকে সোহেল বলে উঠলো,
-কিরে রবিন তুই কি আজ বাসায় ফিরবি না? রাত তো অনেক হলো রে।
-কেন? তোর আবার কি হয়েছে? হঠাৎ বাসায় যাওয়ার কথা বলছিস যে?
-কটা বাজে খেয়াল আছে তোর? পৌনে দুটো বাজে।
-কি বলিস! দুটো বেজে গেছে? সোহেল তুই আমার সাথে ফাজলামো করছিস? ১০ টা বাজে বল?
রবিন ঠিক মতো কথাও বলতে পারছে না। পুরাই হ্যাং ওভার! অতিরিক্ত ড্রিংস নেবার ফল।
-না সত্যি দোস্ত, অনেক রাত হয়ে গেছে। তুই ড্রিংস করতে করতে হয়তো সময়ের কথা ভুলে গেছিস।.
-উম, ও, হ্যাঁ, হ্যাঁ। দোস্ত, হবে হয়তো বা.. আমি তাহলে উঠি।
এই বলেই হেলে দুলে হাটা শুরু করলো রবিন।
-একা যেতে পারবি? না আমি আসবো সাথে?
-ধুর কি যে বলিস, এতটা টাল হয়নি! একাই যেতে পারবো। আর আমার সাথে কার আছে নাহ! আমি আর আমার 'কার' আজকে লং ড্রাইভে...
বুঝছিস?
-তুই তো ঠিক মত দাড়াতেও পারছিস না,
যাবি কি করে?
-আরে ওইসব চিন্তা বাদ দে, ঠিকই যেতে পারবো।
শাহিন আর ফুয়াদ কোথায়? ওরা কি চলে গেছে?..
-ওরা তো সেই কখন চলে গেছে,
যাওয়ার আগে তোকে তো বলে গেলো ভুলে গেছিস?
-উম, বলেছে? হ্যাঁ, বলতেও পারে। হুম, খেয়াল নাই। যাই দোস্ত, কাল দেখা হবে বাই...
-সাবধানে যাস কিন্ত।
বার থেকে ঢুলতে ঢুলতে রাস্তায় বের হলো রবিন,
পকেট থেকে রিমোট বের করে টিপ দিলো। হলুদ আলো জ্বলে উঠলো।
-হুম, ওইতো আমার গাড়ী...
কিছুদিন আগে টয়োটা প্রিমিও কিনেছে রবিন। এখনো চক চক করছে, ব্রান্ড নিউ কার। খুব শখের গাড়ী রবিনের। গাড়ীর দরজা খুলতে খুলতে মুখে আরেকটা সিগারেট ধরালো রবিন। সিগারেট মুখে নিয়ে একটা জোরালো টান দিলো। মুখ থেকে ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে গাড়িতে চেপে বসলো। গাড়ী স্টার্ট করে পার্কিং জোন থেকে বেরিয়ে সোজা রাস্তায় নামালো। কুয়াশায় ঘেরা চারিদিক, ফাকা রাস্তা গাড়ীর স্পীড ৯০ থেকে একশতর কাছাকাছি। গভীর রাত প্রায়। চারিদিকে কোন মানুষের সন্ধান নেই। শুধু ফাকা আর ফাকা। এক হাত দিয়ে সিগারেট টানছে আর এক হাত দিয়ে গাড়ী ড্রাইভ করছে। স্লো সাউন্ডে মিউজিক অন করে দিয়েছে।
রাস্তার চারিদিকের গাছপালা ঢেউ খেলছে রবিনের চোখের সামনে দিয়ে।
বাতাসের বেগে কুয়াশা ডিঙিয়ে গাড়ি নিয়ে ছুটছে রবিন। হঠাৎ সামনে দেখতে পেলো, রাস্তার এক প্রান্তে একটা লোক হাত উঁচু করে লিফট চাচ্ছে। রবিন কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না। এতো রাতে অপরিচিত কাউকে দেখে গাড়ি থামানো কি ঠিক হবে? যদি ছিনতাইকারী হয়! ডাকাত দলের কেউও তো হতে পারে? আজকাল গভীর রাতে হাইওয়ে তে এভাবেই অভিনব কায়দায় চুরি, ডাকাতি হয়ে থাকে! প্রথমে কেউ একজন লিফট চাই, গাড়ি থামানোর পর পাশ থেকে সাত আট জনের একটি পরিকল্পিত দল হুমড়ি খেয়ে গাড়ির উপর এসে পড়ে।
রবিন বেশী গভীরতার মাঝে যাবার সিচুয়েশনে নাই। সে কি মনে করে গাড়ী স্লো করে থামালো। অপর প্রান্তে দাড়িয়ে থাকা লোকটা এগিয়ে এলো। জানালার কাছে মুখ নিয়ে লোকটি গ্লাসে টোকা দিল। রবিন গ্লাস নামিয়ে জিজ্ঞেস করলো লোকটিকে,
-কি চাই?
-ভাই অনেক বিপদে পরেছি একটু লিফট দেওয়া যাবে?
-এত রাতে, আপনাকে চিনি না জানি না লিফট দেই কি করে?
-প্লিজ ভাই কোথাও কিছু পাচ্ছি না, একটু সামনে যাবো প্লিজ ভাই, নিন না...
রবিন সিগারেটে একটা টান দিয়ে দরজা খুলে দিলো।
-হুম.. আসুন।
-ধন্যবাদ ভাই, সত্যি অনেক উপকার করলেন।
-ইটস ওকে, অলরাইট। তা কোথায় যাবেন আপনি?
-এইতো ভাই, সামনেই নেমে যাবো।
কিছুদুর যাওয়ার পর, সামনে চেক পোস্ট দেখতে পেলো রবিন।
একটা পুলিশ গাড়ি টা দেখে এগিয়ে এলো,
-স্টপ স্টপ... গাড়ী থামান,
গ্লাস নামিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ কে জিজ্ঞেস করলো রবিন,
-কি সমস্যা ব্রাদার?
-গাড়ী নিয়ে সামনে যাওয়া যাবে না, সামনে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে।
-এক্সিডেন্ট? কিসের এক্সিডেন্ট?
-ঘন কুয়াশা আর ঝড়ো হাওয়ার কারনে একটা গাছ বিদ্যুতের তারের পরে পড়ে ল্যাম্প পোস্ট সহ রাস্তায় পড়েছে। এখন সেখানে রাস্তার পানিও কারেন্ট হয়ে গেছে। একটা লোক মারাও গেছে।
আপনার অন্য কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। গাড়ী ব্যাকে নিন।
রবিন গাড়ী ব্যাকে নিয়ে আবার আগের রোড ধরে চলা শুরু করেছে। বাড়ি যাওয়ার রোড তো ওই একটাই। এখন কিভাবে যাবে? পাশের লোকটি বলে উঠলো,
-সমস্যা নাই ভাই..আমি শর্ট কার্ট রাস্তা জানি। আপনি সামনের ওই বাগানের রাস্তা ধরেন। ওইখান থেকে শর্টকার্টে বেরনো যাবে।
-শিওর আপনি?
-হ্যাঁ শিওর...
গাড়ী ঘুরিয়ে পাশের জঙ্গলের রাস্তা ধরলো রবিন। চারিদিকে ঘন কালো অন্ধকার! সামনে ঠিক মত সব কিছু স্পষ্ট না। সামনে দুটো মোড় দেখে রবিন,
-হুম, এখন কোনদিকে?
-হ্যাঁ ডান দিয়ে যান..ভাইজান ভয় নাই আপনার, আমার সব রোড ঘাট মুখস্ত। আরে ভাই আমি তো এই হানেরই পোলা।
কিছুদুর চলতে চলতে
গাড়ী হঠাৎ একটা জায়গায় আটকে গেলো। আর উঠছে না। বড়সড় গর্তে পড়েছে গাড়ির চাকা। টা এক প্রকার নিশ্চিত!
গাড়ী থেকে নামা লাগলো রবিনের।
লোকটিও নেমে পড়লো। গাড়ীর চাকা আটকে আছে গর্তে, এখান থেকে উঠানো মুশকিল। রবিন আবার গাড়িতে গিয়ে বসলো আর বলল,
-আমি গাড়ী স্টার্ট দিচ্ছি আপনি পিছে জোরে ঠ্যালা দেন।
রবিন গাড়ী স্টার্ট দিলো, লোকটিও প্রান পনে চেষ্টা করলো কিন্ত কোন কাজ হলো না। রবিন গাড়ী থেকে নেমে পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করলো। সিগারেট ধরাতে ধরাতে লোকটিকে বলল,
-আজকে রাতটা হয়তো এই জঙ্গলে কাটিয়ে দিতে হবে। লোকটি বলল,
-ইস আর কিছুদুর গেলেই তো আমার বাসায় পৌঁছে যেতে পারতাম। এখন এই অন্ধকার জঙ্গলে কি করে থাকবো?
-কেন আপনার কি ভুতের ভয়, টয় আছে নাকি?
লোকটি বলল,
-ভুতের ভয় কার না আছে...
-আমার কিন্ত ভুতের ভয় নেই।
-কি বলেন ভাই আপনার ভুতের ভয় নাই?
রবিন হেসে উত্তর দিল,
-এইসব আজাইরা ভয় আমার নাই।
তাছাড়া ভুত, প্রেত বলতে পৃথিবীতে কিছুই নাই। সব ফালতু।
তা আপনার নামটা জানা হলো না, আপনার নাম কি ব্রো?
-আমার নাম "মকবুল জমাদ্দার। দুই ছেলে মেয়ে আছে। এইতো পাশেই আমার বাসা।
আজকে আপনি আমার জন্য কি বিপদেই না পরলেন ভাই...
-আরে কিসের বিপদ, এটা কোন ব্যাপার না। এরকম হতেই পারে যেকোনো মুহূর্তে। আর আপনার জন্য কেন বিপদে পড়বো? কপালে ছিল তাই হয়েছে। হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রবিন বলল,
এখন তিনটা বাজে। আর বেশিক্ষন নাই। একটু পরেই তো সকাল হয়ে যাবে তখন একটা ব্যাবস্তা করা যাবে। আসেন গাড়ীর ভেতরে ঢুকে বসি। -না ভাই আপনি ভেতরে বসেন আমি বাইরেই থাকি সমস্যা নাই। কি বলেন? একা একা বাইরে নিরাপদ নয়, গভীর রাত আর জঙ্গলের মধ্যে
কোন জীব, জন্তুও তো আক্রমন করতে পারে। ভেতরে আসেন।
-না আপনি বসেন আমি বাইরেই থাকি।
-ওকে আপনি যা ভালো মনে করেন। রবিন গাড়িতে ঢুকে একটা গান ছেড়ে দিলো স্লো সাউণ্ডে। লোকটির গলার স্বর শুনতে পেলো রবিন।
-রবিন ভাই! আপনি বসে বসে গান শুনতে লাগেন, আমি একটু সামনে গিয়ে দেখে আসি কিছু পাওয়া যায় কিনা।
-কোন বাবস্থা হলে তো ভালোই।
কিন্ত আপনি অন্ধকারে একলা যাবেন কি করে?
-সমস্যা নাই, সামনেই রাস্তা। আমার এই পথ ভালো করেই চেনা আছে। কোন সমস্যা হবে না।
আপনি গান শুনতে লাগেন আমি আসছি।
আর হ্যাঁ, জানালার গ্লাসটা ভালো করে লাগিয়ে দিয়ে তাই বসুন, আমি এসে টাক দিলে তাই খুইলেন।
-ওকে ব্রো...
মকবুল যাওয়ার পর জানালা বন্ধ করে দিয়ে গান শুনছে আবারো রবিন। আর একের পর এক ধুম্রশলাকা জ্বালিয়ে চলেছে সে। প্রায় আধ ঘণ্টা পার হয়ে গেলো, মকবুল এখনো ফেরেনি।
রবিনের চক্ষু বুজে আসছে গভীর ঘুমে!
আবার চিন্তা করছে মকবুল আসলে যদি টের না পাই? বেচারা তাহলে তো বাইরেই দাড়িয়ে থাকবে। এসব চিন্তা করতে করতে কখন যে রবিন ঘুমিয়ে পড়লো ঠিক পেলো না।
জানালার টক টক শব্দে ঘুম ভাঙল রবিনের। চোখ ডোলতে ডোলতে গাড়ীর দরজা খুলল রবিন।
-কিরে তুই এখানে কি করিস?
-গাড়ী থেকে বাইরে বের হ...
রবিন দেখতে পেলো, এতো মকবুল নয়, এতো ওর বন্ধু সোহেল। আর বাইরে আলো ফুটে গেছে অনেক আগেই। আর সোহেলই বা কি করে এই জঙ্গলে এলো?
রবিন গাড়ী থেকে বাইরে বের হলো, আর সাথে সাথে মাথাটা একটা চক্কর দিয়ে উঠলো।
সরবনাশ!
গাড়ী কোন জঙ্গলে নয়! গাড়ী সেই পার্কিং জোনেই পড়ে আছে!
শরীরের মধ্যে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে উঠলো রবিনের।
-তুই কি সারা রাত গাড়িতেই ছিলি?
সোহেলকে কি জবাব দেবে রবিন বুঝে উঠতে পারলো না। কি বলবে রাতের যে সব ঘটনা ওর সাথে ঘটেছে সেগুলো কি বিশ্বাস করবে সোহেল? এটা কি করে সম্ভব? কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না ওর নিজেরই। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লো রবিন,
-আচ্ছা তুই কোথায় ছিলি? আর আমি যে এখানে তা তুই কি করে টের পেলি?
রবিনের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সোহেল।
-শোন রাতে তুই বেরিয়ে যাওয়ার পর, আমিও ও বের হয়েছিলাম। কিছুদুর যাওয়ার পর দেখি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। সেখান থেকে বলল, সামনে যাওয়া যাবে না। একটা ল্যাম্প পোস্ট ভেঙ্গে পড়েছে নাকি, আর একটা লোক মারাও গেছে। পানিতেও বিদ্যুৎ ছড়িয়ে আছে। এগুলি শোনার পর আমি পাশেই এক রেস্ট হাউজে রাত কাটায়। সকালে যখন বের হবো তখন তোর বাসা থেকে ফোন আসে তুই নাকি রাত্রে বাসায় পৌছাস নাই। এজন্য তোকে খোঁজ করতে করতে এই পর্যন্ত।
সোহেলের কথা শোনা মাত্রই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো রবিনের।
-কি বলছিস তুই? আর আমিও তো ওই চেক পোস্ট পর্যন্ত...
বাকি কথা শেষ করলো না রবিন।
তা তুই আমাকে ফোন দিতে তো পারতিস? ফোন দিস নাই কেন?
-তোর কাছে ফোন থাকলে তো ফোন দিবো। রাতে তুই ক্লাবেই ফোন রেখে চলে গেছিলি। সকালে ক্লাবে খোঁজ নিতে এসে তোর ফোন পাই।
এখন চল, তোকে নিয়ে আগে বাসায় যাই। তোকে বাসায় রেখে তারপর আমি আমার বাসায় যাবো।
-তোর গাড়ী নিবি না?
-ওটা পরে নেয়া যাবে তুই আগে চল। তুই সর আমি ড্রাইভ করছি।
রবিন কে সরিয়ে দিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো সোহেল।
রবিন পাশের সিটে বসে চিন্তা করছে, রাতে যা ঘটলো তা কি সব মিথ্যা? কি করে সম্ভব? মাথা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন নাকি বাস্তব গুলিয়ে ফেলছে। আর স্বপ্নই যদি হবে তাহলে সোহেলের প্রতিটা কথার সাথে মিল কেন পাওয়া যাবে? সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখলো রাতে যে কইটা সিগারেট বের করেছে, সেই
কইটাই কম আছে প্যাকেটে। অবাক! সেই চেক পোস্টের একটু সামনে গিয়ে অনেক মানুষজন দেখতে পেলো রবিন। সোহেলকে গাড়ী স্লো করতে বলল,
জানালার বাইরে হাত বাড়িয়ে একজন লোককে ডাক দিলো রবিন।
-এই যে ভাই একটু শুনুন তো?
লোকটা এগিয়ে এসে,
-জী ভাই বলেন?
-আচ্ছা এখানে যে লোকটা মারা গেছে তার নাম কি?
লোকটি বলল,
-তার নাম মকবুল...
নামটা শোনার পর ভয়ে শরীরটা জমে গেলো রবিনের।
-আচ্ছা ওনার কি কোন ছেলে মেয়ে আছে?
-হ্যাঁ..মকবুলের দুই ছেলে মেয়ে।
-ধন্যবাদ ভাই।
গাড়ির গ্লাস টেনে দিয়ে সোহেল কে গাড়ি স্টার্ট করতে বলল রবিন।
-কি হয়েছে কোন সমস্যা? এই গুলো জিজ্ঞেস করলি কেন?
সোহেল রবিনকে জিজ্ঞেস করলো।
-না এমনি। তুই গাড়ী চালা...
রবিনের মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইলুশনে ভুগছে। কাঁপা কাঁপা হাতে সিগারেট ধরালো রবিন।এসব কি হলো? একটি রাত, যার কোন ব্যাখ্যাই
নেই রবিনের কাছে। বুকের মধ্যে ধুক ধুক করছে। হঠাৎ মাথায় এলো মকবুল যখন চলে গেলো, যাওয়ার আগে যে বলেছিল, রবিন ভাই আমি এসে গ্লাসে টোকা দিলে তাই খুলবেন...
কিন্ত আমি তো ওকে আমার নাম পর্যন্ত বলিনি! তাহলে সে আমার নাম কিভাবে জানলো!!
আর গাড়িটাই বা জঙ্গল থেকে পার্কিং এ কিভাবে এলো?
কয়েকটা প্রশ্নের সমাধান কিছুতেই মিলছে না রবিনের।
--------