কল্পনার রঙ্গশালায়
একখানা ভ্রান্ত শাদা মেঘ দেখেছি
শুষ্ক, রুক্ষ, বাষ্পহীন।
জলকণা তার খুব অপছন্দ
বর্ষা হয়ে নামা তার কাছে অর্থহীন।
সূর্যের সান্নিধ্য তার খুব প্রিয়
প্রেম, ভালোবাসা, স্বপ্ন, কল্পনা
সবকিছুই তার সূর্যকে ঘিরে।
হঠাৎ চৈত্রের এক প্রখর দুপুরে
প্রচন্ড সূর্যতাপে
শূন্যে বিলীন হয়ে যায় মেঘখানা
ভ্রান্ত শাদা মেঘখানা।
তারপর-
তারপর আমি ফিরে আসি জীবনের রঙ্গশালায়
দেখা পাই চব্বিশ বছরের তরুনীর।
তরুনী নয়, বালিকা।
না, বালিকাও নয়, নাবালিকা।
প্রেম, কামগন্ধময় ভালোবাসা,
অগ্নিগিরি, লাভা, দেহ জ্যামিতি
সবকিছুই তার অজানা।
এক বসন্তে-
শিমুলের অগ্নিঝরা সৌন্দর্য নজর কাড়ে তার।
চড়ে শিমুল ডালে।
কাটায় রক্তাক্ত হয় সে
তার উরুদেশ, শাদা বক্ষ, তুলতুলে গালখানা।
তারপর-
তারপর সীতা, ভ্রান্ত শাদা মেঘ
আর চব্বিশ বছরের নাবালিকা
এ তিনের আর কোনো তফাৎ থাকেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৮