মানুষ ঘর তোলে, পাখির ঘর,
কুয়াশা দিয়ে মোড়া জলকাদায়;
মানুষ আছে বেশ পদ্মা-পার
রাস্তা-ঘর-মাঠ নিরাশ্রয়৷
নগরীর-নিউরনে জ্বালায় হাড়,
বেহায়া ভাল-থাকা পালিয়ে যায়৷
চিবিয়ে ঘাস তাই ভুলতে চাই
দাদরা-ঝুমুরের ত্রি-রোশনাই৷
সঙ্গীটিও বেশ, আমার-প্রায়,
যুগের চাপে পড়ে চুবানি খায়_
যুগের টেরাকোটা দগ্ধ মুখ,
চিকিত্সার জলে নিরুত্সুক৷
পুঁজির পুঁজ চেটে দিবসরাত
চলছে আমাদের নাশ্তা-জল,
চলছে পারাপার অচিনপুর
সেখানে চাষবাস রাত্রিভর৷
তবুও চোখ রাখি সবুজ মেঘ_
হায়রে জুলাইয়ের বর্ষা-ঢল!
সাথীকে চুমে বলে, 'বেলাজ তুই,
বাদল-বরষার কবিতা পড়৷'
নতুন খোয়ারের নতুন নাম,
খুনী এ-সময়ের বদলা চাই৷
কষ্টে গাঁথা হোক নতুন গান,
বৃষ্টি-দরগায় নাম লেখাই৷
(পূর্ব প্রকাশিত)