আল্লাহ যাহা করেন তাহা ভালোর জন্যই করেন। এশিয়া কাপে এত ভালো খেলে ফাইনালে যাওয়ার পরে অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ান হতে না পেরে মনটা খুবই খারাপ হয়েছিলো। বলা যায় এতটা আপসেট আমি কোন খেলা দেখে আগে হইনি। তারপর মাঠের সেই কান্নাকাটি আর ফেইসবুকে শোকপ্রকাশ ইত্যাদি মিলিয়ে কয়েকদিন খুব আচ্ছন্ন ছিলাম।
কিন্তু এক জায়গায় তো আর আটকে থাকা যাবে না। সবকিছুই পজিটিভলি নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এশিয়া কাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভেবে দেখলাম এই এশিয়া কাপের ফাইনালে ভালো খেলে হেরে যাওয়ার কিছু ভালো দিক আছে।
বড়দলগুলোকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে টাইগাররা রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছে কিন্তু ফাইনালে হেরে কাপ জয়ের ক্ষুধাটা রয়ে গেছে, আর এই ক্ষুধা মেটানোর উপযুক্ত জায়গা হলো বিশ্বকাপ। হাতে কয়েক বছর সময় আছে প্রস্তুতি নেওয়ার। সুতরাং আমরা এখন আরো বেশি পরিশ্রম করে বিশ্বকাপ জয় করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে পারি।
তাছাড়া আগের এক্সপেরিয়েন্স বলে যে বাংলাদেশ কোথাও ভালো খেললে তারপর কিছুদিন ঘুমায়া থাকে। এশিয়া কাপ জিতে টাইগারদের আয়েশ করার থেকে ফাইনালে হারার জ্বালাটা কিভাবে সামনের বিশ্বকাপ জয় করার মধ্যমে মিটানো যায় সেই চেষ্টা করা উচিত। আমি জানি যে এখনকার টিমের সেই আত্মবিশ্বাস আর যোগ্যতা আছে। দরকার শুধু টার্গেট সেট করে সেই লক্ষ্যে ঘাম ঝারানো শুরু করা যাতে দুর্বলতাগুলো দুর করে একটা পর্ফেক্ট টিম হওয়া যায়।
তাই এখন এশিয়া কাপ নিয়া কচলাকচলি বাদ দিয়ে সামনে তাকানো উচিত। কেমনে ধারাবাহিক ভাবে আরো ভালো করা যায় আর বড় আসরে চ্যাম্পিয়ান হওয়া যায় সেই কাজ শুর করা দরকার।