আনু স্যারকে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ এখবরটা পড়ার পর আমার যা অনুভুতি হল সেটা হল যে গ্যাস লুটেরাদের পায়ে কুড়াল মনে হয় পড়লো। আওয়ামীলীগ সরকারের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে এরা মনে হয় আর গ্যাস লুটতে পারবেনা। কারন আমরা দেশপ্রেমিক সৎ মানুষ চিনতে ভুল করিনা। যদিও আমরা বস্তা পচা আওয়ামী, বিএনপি রাজনীতিতে বিভক্ত, যদিও আমি নিজে এই বিভাজনে নিজেকে সবসময় আওয়ামীলীগের পক্ষেই দেখি কিন্তু আমি তো জানি এসব আসলে সাজানো ছেলে খেলা। সত্যকার ইস্যুগুলো থেকে আমাদের দৃষ্টি সরিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যান্জাম, বিভাজন তৈরী করা হয়। বাংগালী/বাংলাদেশী, ঘোষক আরো কত কি? আমরাও এসব ঠুলি পরে ছুটতে থাকি গাধার মত, এভাবে থেকে থেকে আমরা অন্ধ হয়ে গেলেও আমরা জানি আনু স্যারের মত কেউ কেউ অতন্দ্র প্রহরী হয়ে আছেন। কোন দ্বিধা থাকেনা যখন আনু স্যাররা বলেন যে এরা তেল গ্যাস লুটতে এসেছে। কারন আমি জানি স্যার সব বুঝে শুনে বিশ্লেষন করে আমার ও বাংলার আপামর জনতার স্বার্থের পক্ষেই ওকালতি করছেন। আমি এটাও জানি তাকে কিনতে পারেনি ঐ মহাপরাক্রমশালী পশ্চিমা আর তাদের পদলেহী দুর্নীতিবাজ দালালরা কোন কিছুর বিনিময়েই। সুতরাং আমরা বোধ হয় দ্বিধা দন্দ্ব ছাড়াই তার ডাকে সাড়া দিতে পারি।
তেলগ্যাস রক্ষা করতে গিয়ে উনি আহত হয়েছেন শুনে আমি ব্যাক্তিগতভাবে দুঃখ পেয়েছি কারন আমি তার ছাত্র। আমি বিক্ষুব্ধ হয়েছি সরকারের প্রতি চরমভাবে। আসলে আমাদের আরেকটি ফুলবাড়ী দরকার রাজপথে। ফুলবাড়ী সৃষ্টি করতে হবে তেলগ্যাস লুটেরাদের ভাগাতে, টিপাই সহ যেকোন নদীর উজানে বাঁধ উড়িয়ে দিতে এবং এশিয়ান হাইওয়ের একটি ছাড়া অন্য যেকোন বাস্তবায়ন রুখে দিতে। ফুলবাড়ী তৈরী করলে আর কোন সরকার বিদেশীদের দালালী করে সম্পদ তুলে দিতে পারবেনা।আর যদি তা করে আমাদের মন্দের ভালো আওয়ামী লীগকেও আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলতে আমরা দ্বিধা করবোনা। দরকার নাই আমাদের এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার আর ডিজিটাল দিনবদলের। সব বিদেশী লুটেরাদের এশিয়ান এনার্জীর মত বিতাড়িত করার আগে থামা যাবেনা। আর আমরা যদি তা করতে পারি তবে আনু স্যার আজ আহত বলে কোন দুঃখ থাকবে না। আসলে এই ঘটনাকে তখন শাপে বর বলেই মনে হবে। চলুন তবে মাতম ফেলে কাজে ঝাপিয়ে পড়ি। টার্গেট আরেকটি ফুলবাড়ী।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫১