মনে হয় কোনওকিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, মন্ত্রী সাংসদরা শুধু কথার তুবড়ি ছোটাচ্ছেন। কথা বা মুখের জোরের সুবিধা হচ্ছে এতে যুক্তির প্রয়োজন হয় না। যুক্তির মাথায় ডাঙ্গশ মেরে কথার জোরে অনেক কিছুই প্রতিষ্ঠা করা যায়। এমনকি হয়কে নয়ও করা চলে। সে হিসাবে বলা চলে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা প্রত্যেকেই বাচ্যার্থে কথাশিল্পী। তাদের কথায় শ্লেষ আছে, পরিহাস আছে, হুমকি আছে, আছে হামবড়া ভাবও। কোনওকিছুরই কমতি নেই। শুনেছি কথায় চিঁড়া ভেজে, তবে মন্ত্রীদের কথায় অনেক সময় চিঁড়া ভেজার বদলে মানুষ রাগে জ্বলে ওঠে। লোক ধরে এনে এর প্রমাণ দেওয়া কষ্টসাধ্য, তবে এমনটি ঘটছে।
টিভির নব ঘোরালেই দেখা যায় বিভিন্ন চ্যানেলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা রকমারি কথাবার্তা বলছেন। নিজের মন্ত্রণালয়ের কথা বাদ দিয়ে অন্য মন্ত্রণালয় নিয়ে টানাটানি করছেন। তাদের কথা শুনে মনে হতে পারে সরকারের সবকিছুই তারা জানেন, অর্থাৎ সবজান্তা। এত কিছু তারা জানেন, জানেন না শুধু পাতের নিচে ভাজা মাছটির কথা, মানুষের দুর্ভোগের কথা।
ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা হঠাৎ পাম ও সয়াবিনের দাম বাড়িয়ে দিল, লিটারে আট টাকা। মানুষ প্রমাদ গুনল। এক লাফে আট টাকা! এ নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সভা হলো।
সভাশেষে বলা হলো, বিদেশে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে গেছে। সেজন্য দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। ফল? পাম ও সয়াবিনের দাম লিটারে ছয় থেকে আট টাকা বৃদ্ধি স্থায়ী হয়ে গেল। মাননীয় মন্ত্রী আমদানিকারকদের জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করেননি, বিদেশে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশেও কেন দাম বাড়াতে হবে? জানতে চাননি দেশে পুরনো তেলের কত স্টক আছে এবং সেই স্টকে কতদিন চলবে। আর নয়া তেল আমদানি হয়ে দেশে আসার আগে কেন দাম বাড়াতে হবে তাও তিনি জানা বাহুল্য মনে করেছেন।
ফলটা হলো এই, আমদানিকারকরা বৈঠকে বসেই কয়েক কোটি টাকার বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিলেন। আর আমরা পেলাম মন্ত্রীর স্মিতহাসি। কথার জোরে ও তোড়ে তিনি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন সিদ্ধান্তটি খুবই যৌক্তিক হয়েছে। আমদানিকারকদের তিনি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলেও সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন সহজেই।
দিনদুপুরে মানুষ খুন। সকাল বেলায় ফ্ল্যাটের কড়া নেড়ে দরজা খোলানোর পর ডাকাতি। সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মলম পার্টি। এদের হাতে মানুষ সবকিছু খোয়াচ্ছে। বাড়ছে ছিনতাই, সন্ত্রাস। চলছে দখলবাজি। সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নির্বিকার। তারা দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না। কোনওকিছুতেই তাদের গা নেই। রিকশাযাত্রী মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ বা অলংকার ছিনতাই হয়ে গেল, তো তারা কী করবে? দায়টা যেন নিজের, আপনি বুঝেশুনে পথ চলছেন না কেন? রাতবিরাতে রাস্তাঘাটে বেরোনোর দরকার কী? পত্রপত্রিকায় এসব ঘটনা নিয়ে প্রতিদিনই রিপোর্ট বের হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠল। সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানিয়ে দিল, মহানগরীতে খুনজখমের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। তারা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন। ব্যস, কর্তব্য শেষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানতে চাইলেন না আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কেন অবনতি ঘটল আর তা রোধের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তিনি মানুষের এই দুর্গতি ও অসুবিধার কথা না ভেবে আকুল হলেন ছাত্রলীগের মারামারি নিয়ে। তিনি বলে বসলেন যে, কারা এসব করছে তা তিনি জানেন। তার মতে, এরা হচ্ছে ছাত্রদল ও শিবিরের ছেলে, ছাত্রলীগে ঢুকে তারা মারামারি বাধাচ্ছে। তিনি এত কিছু জানেন, শুধু জানেন না পুলিশ বিভাগ কেন চোর, ছেঁচড়, সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী ধরছে না। এ নিয়ে তার মাথাব্যথা আছে বলেও মনে হয় না। নেক নজর ও কথার জোরেই তিনি ধরে রেখেছেন মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুতের অভাবে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। প্রচ- গরমে অসি'র। ফ্যান ঘোরে না, কলে পানি নেই। অথচ সরকারের এ নিয়ে কোনও বিকার নেই। একঝাঁক মন্ত্রী এই বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য গত জোট সরকারকে দায়ী করলেন। এক মেগাওয়াট বাড়তি উৎপাদনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাদের তুলাধোনা করলেন। কিন্তু বললেন না কী করে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অথবা এজন্য তারা কী পদড়্গেপ নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন, সুনামির মতোই বিদ্যুতের ওপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। নিয়ন্ত্রণই যদি তিনি প্রতিষ্ঠা না করতে পারেন তবে এই মন্ত্রণালয় আঁকড়ে পড়ে থাকলে সাধারণ মানুষের কী লাভ হবে? আর মুখের কথায় তো আর মানুষের চাঁদি ঠান্ডা হবে না বা ঘুরবে না ফ্যান।
বিদ্যুতের সঙ্গে সঙ্গে পানিরও অভাব। ওয়াসা পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছে না। ওয়াসার পানি ময়লা, দুর্গন্ধ, খাওয়ার অনুপযুক্ত। কিন্তু ওয়াসা নির্বিকার। তাদের কর্মকর্তাদের ঘুম ভাঙছে না। পত্রপত্রিকার খোঁচাখুঁচি, সাংসদদের গরম গরম বক্তৃতার পর তাদের ঘুম ভেঙেছে। ওয়াসাপ্রধান বলে খালাস হলেন, বিদ্যুৎ পেলে তিনি ঢাকা মহানগরী পানিতে ভাসিয়ে দেবেন। রাজধানীর মানুষ ওয়াসার পানিতে কবে ভাসবে তা আজও জানা যায়নি। পানিসম্পদ মন্ত্রীও গা করছেন না।
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের গ্রুপে গ্রুপে মারামারি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি উচ্চারণ করার পরও এই মারামারি কমেনি। সাংগঠনিক সভানেত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার পরও পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি। প্রভাব বিস্তার, চাঁদা ও টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে এসব সংঘর্ষ এখনও চলছে। সরকার এদের বাগে আনতে পারছে না। মোদ্দাকথা, ছাত্রলীগের ওপর এখন প্রশাসন ও সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। উল্টো তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে অনেক কিছু। মন্ত্রী ও নেতারা শুধু কথার পর কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনও কিছুই ছাত্রদের কানে যাচ্ছে না।
ঝুট ব্যবসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র সংঘাত ও মারামারি হচ্ছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ঠিকাদার ও টেন্ডারবাজদের বিভিন্ন গ্রম্নপ প্রকাশ্যে এসব কর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের দাপটে সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার বাক্সে একটি টেন্ডারও জমা পড়েনি- এমন ঘটনা নিশ্চয়ই প্রশংসাযোগ্য নয়। সরকার ও প্রশাসন এসব দেখেও দেখে না, কেন দেখে না বা দেখতে পায় না, সেটাই এক বিস্ময়। অথচ আশ্চর্য এই সরকারই ডিজিটাল বাংলাদেশ, সুখী স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চায়। সেটা কীভাবে সম্ভব মানুষ আজও তা বুঝে উঠতে পারছে না।
বালুমহাল ও চরদখল নিয়ে সরকারি দলের সমর্থকদের মধ্যেই লাঠালাঠি হচ্ছে। সরকারদলীয় লোকজন বিপক্ষ দলের বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে, ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করছে। অথচ প্রশাসনে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এসব অপকর্ম বন্ধের জন্য সরকারের কোনও কঠোর নির্দেশও নেই। অনেকেই এখন ভাবতে শুরু করেছেন, বিগত জোট সরকার আমলের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। তখন তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত, এখন এরা করবে। তফাত শুধু এটুকুই।
গফরগাঁওয়ের কোনও সাংসদ যখন মোটর সাইকেল অধিরূঢ় চ্যালা-চামুন্ডা পরিবৃত হয়ে পথ পরিক্রমা করেন এবং তার অনুগত চামচা সগর্বে ঘোষণা দেয়, নেতা বলেছেন সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না, তিনিই সব দেখবেন, তখন কি মনে হয় দেশে আইনের শাসন চলছে? দরিদ্র মায়েদের প্রসূতিকালীন ভাতা বিতরণের জন্য পিরোজপুরের এক সাংসদ যখন মহিলা বিষয়ক এক জেলা কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন এবং জানতে চান তাকে না জানিয়ে কেন তালিকা ও ভাতা বিতরণ করা হলো, তখন কী মনে হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নির্ভয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন? এর একটাই জবাব সেটি না-বাচক। আমন্ত্রণপত্রে সাংসদ নাছিমুল আনাম চৌধুরীর নাম না থাকার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ অনুষ্ঠান যদি স'গিত হয়ে যায় তবে করণীয় কী! এসব সাংসদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে অথবা সরকারিভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তো শোনা যায়নি।
যদি তাই হয়ে থাকে তবে কি আমরা ধরে নেব ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ বা মন্ত্রী হলে তিনি যা খুশি তাই বলার ও করার অধিকার সংরক্ষণ করেন? কেউ তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না, তিনি ইমমিউন। যেমন রোম সম্রাট সিজার এক সময় সদর্পে বলেছিলেন ইগো সম্, ইমপেরাতোর রোমানোরুম্ এত সু্প্রা গ্রামাতিক। অর্থাৎ আমি হচ্ছি রোম সাম্রাজ্যের হুকুমের হাকিম এবং আমিই সবচেয়ে সেরা বৈয়াকরণ। মোট কথা আমি যা বলব তাই শুদ্ধ বলে সবাইকে মেনে নিতে হবে। তবে এই হুকুমের হাকিমের পাশে কিন্তু তার উস্কে দেওয়া বন্ধু ব্রুটাসও ছিল।
মন্ত্রী ও সাংসদদের বলা-কওয়ায় সরগরম হওয়া ভালো। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সাধারণ মানুষও কৌতুক বোধ করে। পিলখানায় নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ার পর এক মন্ত্রী বললেন, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিরা জড়িত। পরে সম্ভবত বিশেষ কোনও মহলের চাপে পড়ে তিনি কথার সুর ঘুরিয়ে বললেন, এটি কোনও সরকারি বক্তব্য নয়, এটি তার ব্যক্তিগত ধারণা। এ ধরনের সস্তা বুলি আওড়ে জনগণকে খুশি করা যায় না, এতে নিজের অজ্ঞতাই প্রকাশ পায়। মাঝখান থেকে মলিন হয় সরকারের ইমেজ। জাগে সন্দেহ। হত্যাকান্ডের পর কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলো, কমিটিপ্রধান রদবদল হলো, কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন ধার্য করে দেওয়া হলো। কিন্তু কোথায় কী। কমিটির রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখল না, তদন্ত চলছেই, রিপোর্ট জমা দেওয়ার তারিখও কদিন পরপর বদলাচ্ছে। এসব দেখেশুনে কি মনে হয় পুরো ঘটনাটির ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ আছে? তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বের হয়নি, অথচ ইদানীং দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু পত্রিকায় পিলখানা হত্যাকান্ডের খুঁটিনাটি নানা বিষয় বেরোচ্ছে। বিষয়টি কি পরস্পরবিরোধী নয়? এতে তো অনেকেরই মনে হতে পারে, এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ নয়। সরকারের কাছে কি এর কোনও ব্যাখ্যা আছে? নাকি এটাও তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে?
ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ। এই দলেরই মহাসচিব (এখন তিনি ঠুঁটো জগন্নাথ) সংবাদ সম্মেলন করে সিনিয়র কিছু নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন যে, তারা একটি বিশেষ সংস্থার ‘পেইড’ লোক। তিনি হুমকি দিয়েছেন, সময় এলে আরও তথ্য ফাঁস করবেন। দলের ভেতর অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকলে এমন কথা কেউ বলতেই পারেন। এসব কথা প্রমাণ করার দায় যিনি বলেছেন তার। এই ব্যক্তি সম্পর্কেও বাজারে নানা কথা চালু আছে। তিনি রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে আবার দলের ক্ষীর খেতে চাইছেন, শেখ হাসিনাকে তিনি গণতন্ত্রবিরোধী ঠাউরেছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন অন্যখানে। প্রধান যে দলটি ক্ষমতায় আসীন সেই দলের মধ্যেই যদি এমন খেয়োখেয়ি চলতে থাকে তবে তারা দেশ চালাবে কীভাবে? নির্বাচনের সময় ঘোষিত লক্ষ্য পূরণের জন্য কর্মসূচিই বা নেবে কখন? দলের সবাই এখন কথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন। মনে হয় এই বলে যাওয়াতেই তাদের আনন্দ। এর অর্থ থাক বা না থাক। বিষয়টির ওপর তার নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই সেটা বড় কথা নয়, জরম্নরি হচ্ছে তার কথা বলার হক। এ ধরনের বাগাড়ম্বরের মাধ্যমেই তারা আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে চান, নিজের ব্যর্থতা ঢাকার প্রয়াস পান। সবচেয়ে বড় কথা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন। এ লক্ষণ শুভ নয়।
কই, মালয়েশিয়া ঘুরে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো আশ্বস্ত করেছিলেন শ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যার আশ্বাস পাওয়া গেছে, অচিরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীও একই ধরনের আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু আদতেই কি কিছু হয়েছে? এখনও তো একজন শ্রমিকও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। নাকি কোনও কিছুই তারা নিয়ন্ত্রণের বা পরিচালনার ক্ষমতা রাখেন না, তাদের সম্বল শুধু কথামালা।
Click This Link