এ বছর শাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত ও সুশীল সমাজের বাধার ধাতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। সবাই জানে এ বছর ৭ টি বিভাগে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করার পেছনে ছিল চুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিচিস্ট দেসপ্রেমিক জাফর ইকবাল নামে শাবির এক শিক্ষক। কিন্তু শাহজালালের পুণ্যভূমি সিলেটের জনতা যখন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দাবী না মানা হলে ভর্তি পরীক্ষার দিন সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণায় পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং সিলেট সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, অধ্যক্ষ ইউসুফ জুলকারনাইন জায়গীরদার, চেয়ারম্যান শহিদ আহমদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থায় শাবি ভিসি শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এরপর এল ভর্তিযুদ্ধ যার ফলাফল গতকাল ঘোষিত হল। যেখানে এ গ্রুপে মেধাতালিকার ১ ও ২ জনই হল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-১২ সেশনে ভর্তি পরীক্ষা মেধা তালিকা ১ম স্থান অধিকার করে পাঠানটুলা জামেয়ার শিক্ষার্থী জামিল আহমদ। গতকাল প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষায় রিজাল্টে তার এ কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য প্রকাশ পায়। জামিলকে তাৎক্ষনিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। জামিল বলেন, শিক্ষার্থীদের এ ফলাফল প্রমাণ করে যে কোন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত অন্তত মেধাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে আরো ভালো অবস্থান তৈরী করে সকল বৈষম্যের জবাব কথায় নয় কাজের মাধ্যমে দেওয়ার আহবান জানান।
প্রাউড টু বি এ মাদ্রাসা স্টুডেন্ট!