
প্রায়ই শোনা যায় গোলাম আযম নাকি মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছেন। আওয়ামী লীগের আগের টার্মে ১৯৯৬ সালের দিকে দৈনিক ইনকিলাব এ বিষয়ে বেশ শোরগোল তুলেছিল। গোআকে ভাষাসৈনিক প্রমাণে তাদের সে কি প্রাণান্তকর চেষ্টা!
তখন সবে মাত্র উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছি। তো একদিন এ বিষয়ে আব্বাকে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন- এইসব তোমাকে বলেছে? আমি অপ্রস্তুতস্বরে ইনকিলাব প্রসঙ্গ তুলেছিলাম। তারপর তিনি হেসেছিলেন এবং বলেছিলেন এখনি তোমার ইনকিলাব পড়ার প্রয়োজন নেই।
বাবা হয়তো ভেবেছিলেন,এইটুকুন বয়সে ঐ রাজকারী পত্রিকা পড়ে বখে যাব। উল্লেখ্য সেইসময় ইনকিলাব ছিল রাজাকারদের অন্যতম মুখপত্র। ইনকিবাল সম্পাদক বাহাউদ্দিন এখন কিছুটা ভোল পাল্টিয়ে ফেলেছেন।
সে প্রসঙ্গে এই পোস্টের সূত্রপাত তা হলো,ইমেইলে ফেসবুকের একটা লিন্ক আসল আমার কাছে। তো এই লিন্কে গিয়ে দেখলাম একজন এই গ্রুপে Professor Ghulam Azam, One of the Soldier of Language Movement আমাকে জয়েন করতে বলেছেন। এই বেজন্মার ছবিটা দেখেই পিত্তি জ্বলে গেল। যে লিন্ক পাঠাল তার প্রোফাইলে গিয়ে চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করলাম। চ আদ্যক্ষরের কিছু কবিতাও উগড়ে দিয়ে আসলাম

এখন প্রশ্ন হলো এই অপপ্রচার আর কতোদিন চলবে? আর কতোকাল এই শুয়োরদের ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ চলবে?