বাড়িওয়ালা ভাড়া চায়, অফিস দেয় সেলারী,
যার ইনকাম বেশী সে বড় খিলাড়ী।
ফকির ভিক্ষা চায়, গায় কত গান-
দুই হাতে দান করে কত দয়াবান।
বইয়ের মূল্য হয়, কিতাবের হাদিয়া,
মাস্তান চাঁদা চায় বুকটাতে ঘা দিয়া।
ব্যাংকের সুদ হয়, কেউ খুশি মুনাফায়,
যেই লাউ সেই কদু, যেটা ভেবে মজা পায়।
উপরি কামাই পেতে কেউ বসে খায় ঘুষ,
ব্যাপার না, মনে হবে খাচ্ছে লেবেনচুশ।
অর্থমন্ত্রী বলে, ‘স্পিডমানি ঘুষ না’
উৎকোচ নেয়া তবে এখন আর দোষ না!
শ্রমিক মজুরী পায়, কখনো ওভার টাইম,
কখনো বোনাস আর কখনো হচ্ছে ফাইন।
কখনো কষ্ট লাগে ভেঙ্গে যায় দিলটা,
খাওয়া শেষে যদি আসে খাবারের বিলটা।
কেউ কমিশন চায়, কেউ চায় ডোনেশন,
কেউ তেলবাজি করে নিতে চায় প্রমোশন।
দালাল দালালি করে, বড় তার শোল্ডার,
কিছু ডিভিডেন্ড চায় শেয়ারের হোল্ডার।
গোপন খবর দিয়ে কেউ খোঁজে বখশিশ,
পাছে লোকে বলে, ‘ভাই আসলেই দেখছিস?’
ঈদে-চাঁদে-অকেশনে কেউ চায় সালামী,
কেউ বলে, ‘বিলিভ মি, নেই নাই কাল আমি!’
মোবাইল ফোনের বিল, সার্ভিস চার্জে,
কেউ ধীরে ডুবে যায় দেনা আর কর্জে।
টিউশন ফিস হল যেটা নেয় টিচারে,
ভিজিট না দিলে পরে ডাক্তার কি ছাড়ে!!
অগ্রিম ও বকেয়ায় দেনা আর পাওনা,
টাকার কত্ত নাম যেদিকে তাকাওনা।
কেউ তো বলে না টাকা, তবু চড়া দামে-
ঘুড়ছে আজিব টাকা বিভিন্ন নামে।