কবি আল মাহমুদ যুদ্ধাপরাধী জামাতের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সম্বর্ধনা নিয়েছেন । সকালে পত্রিকা আর এখন ব্লগে এসে দেখি এই নিয়ে হুলস্থুল ! যাক, বেশি প্যাচাবো না.. সহজে বলি...
আল মাহমুদের বর্তমান জামাত-ঘেষা প্রকারান্তরে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সখ্যের কারনে তার মুক্তিযুদ্ধকালীণ ভুমিকার কোন মূল্য নাই । সেলিব্রেটী ব্লগাররা ব্ব্লগে ব্লগে আল মাহমুদের স্বরচিত জীবনে ঘেঁটে তাকে রাজাকার আখ্যা দেবার ও চেষ্টা করতেছেন । এবং সেলিব্রেটী ব্লগারদের অনুগামী পাতি ব্লগাররা মন্তব্যের ঝড় তুলে মুক্তিযোদ্ধা কবি আল মাহমুদকে রাজাকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেই ফেলছেন । এই ঘৃনার একমাত্র কারন , একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় যোদ্ধা আল মাহমুদের বর্তমান ভুমিকা সেই সময়ের স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষের একজন হিসেবে ।
একাত্তরের নরঘাতক জামাতীরা ৭৫ এর পরে পুনপ্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এই স্বাধীন রাষ্ট্রটার প্রতি আর তো কোন রাষ্ট্রদ্রোহিতামুলক কাজ করতে দেখিনাই । স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্তবিরোধী কথা-কাজ যতটুকু হয়েছে পুরোপুরি করেছে আওয়ামী নেতা আর মন্ত্রী-এম্পিরা ! আপাত ভন্ডামী আর আত্মরক্ষার প্রয়োজনে হলেও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধিত করছে এই জামাতিরাই । তাদের ছেলেপেলের পড়াশুনার জন্য বৃত্তি দিতেছে আল-বদর ছাত্রসংঘের পরিবর্তিত সংস্করন ছাত্রশিবির !
অতএব, আমরা কি জামাত-শিবিরের স্বাধীনতা পরবর্তী এই ভূমিকার কারনে তাদের একাত্তরের নয় মাসের কার্যকলাপের কথা ইতিহাস থেকে মুছে দিবো ? যেমনটা মুছে দিচ্ছি একজন মুক্তিযোদ্ধা কবির গৌরবের ইতিহাসকে ?
অথবা যারা বললেন, তার একাত্তরের ভুমিকার কথা অস্বীকার করিনা, কিন্তু বর্তমান ভূমিকা ঘৃণিত..তাদের কি এই কথা বলার রূচী আছৈ যে , জামাতের একাত্তরের ভূমিকা অস্বীকার করিনা, কিন্তু তাদের বর্তমান ভূমিকা প্রশংসিত ????