১৯৮৯ সালে এরকম এক হাইস্কুল থেকে পাশ করা এক গ্র্যাজুয়েট এক ফিউনেরাল শপে এসিস্ট্যান্টের কাজ করত আর শখের বশে বিভিন্ন গান গাওয়ার চেষ্টা করত! ছেলেটার শৈশব ছিল খুব যন্ত্রণাদায়ক, তিন বছর বয়সে বাবামার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর বাবা আর সৎমায়ের কাছে বড় হওয়া, সৎ মায়ের সাথে সম্পর্কও খুব একটা ভালো ছিলনা। একবার কোন এক কাছের রিলেটিভ এবিউজ করেছিল, বাবা-মা বিশ্বাস করেনি সে কথা। এজমার সমস্যা ছিল ছোটবেলা থেকেই, পাঁচবছর বয়সে একবার ক্লিনিকালি ডেড ছিল ছেলেটা কয়েক মিনিটের জন্য। বিশৃংখলায় ভরা শৈশবের একটা টিনএজার কোথায় কি পড়ল আর কোন গান গাইল কে কেয়ার করে?! তো এই ছেলেটাই নিজের প্রতিভার জোড়ে ওয়াল্ডের তাবৎ ন্যুমেটাল আর অল্টারনেটিভ মেটাল মিউজিশিয়ানের গুরু এখন, যাকে সবাই এক নামে চেনে এখন জোনাথন ডেভিস নামে, আরো স্পেসিফিকালি বললে জগৎজোড়া বিখ্যাত মেটাল(!) ব্যান্ড Korn -এর ভোকাল হিসেবে!!
কর্ন! নিজেদের নাম নিজেরা স্টাইল করে লিখে KoЯn. নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে মেইনস্ট্রিমে আসা জাঁনর ন্যু-মেটাল, অল্টারনেটিভ মেটালের কমবেশি সব আর্টিস্টের গুরু কর্ন। ন্যুমেটালের প্রায় সব আর্টিস্ট একবাক্যে বলেছেন ন্যুমেটালের শুরু কর্ন থেকে, অল্টারনেটিভ মেটালের অনেক বড় বড় ব্যান্ডও স্বীকার করেছে আইডল হিসেবে কর্নকে। গান গায় ওরা মেটাল না রক কে জানে, বড় বড় সংগীত বোদ্ধাকেও এখনো দেখি কর্নের নামে পাশে জাঁনরের নাম চেন্জ করে মাসে মাসে, এই মাসে হেভিমেটাল, ন্যুমেটাল তো পরের মাসে অল্টারনেটিভ মেটাল, ন্যুমেটাল আবার পরের মাসে হয়ত রক, হেভি মেটাল........স্হির থাকে না কখনো এদের জাঁনর! আজ পর্যন্ত ৯টা এলবাম বের হয়েছে কর্নের, সারা পৃথিবীতে বিক্রি হয়েছে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি, আর গ্র্যামি পেয়েছে ২টা, একটা সেরা মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে আরেকটা সেরা হেভি মেটাল ক্যাটাগরিতে!!
আবার আসি ব্যান্ডের ফর্মেশনের কাহিনীতে। দুইটা ব্যান্ডের মিলিতরুপ ছিল কর্ন! জোনাথন ডেভিস ছিলেন হাইস্কুলে পড়ার সময়কার ব্যান্ড সেক্সআর্ট-এর ভোকাল অন্যদিকে জেমস শেফার, রেজিনাল্ড আরভিজু আর ডেভিড সিলভারিয়া ছিলেন হেভিমেটাল ব্যান্ড L.A.P.D. এর গীটারিস্ট, বেসিস্ট এবং ড্রামার। একটা বারে সেক্সআর্টের ভোকাল হিসেবে ডেভিসের পারফর্মেন্স দেখে বাকি তিনজন ঠিক করেন নতুন একটা ব্যান্ড বানাবেন ক্রিপ, যার ভোকাল হবেন ডেভিস। ডেভিসকে অফার করার পর তিনি রাজিও হন। কিন্তু দুইমাস পরেও এল.এ.পি.ডি. ভেঙে যায়, ক্রিপে বেশি সময় দেয়ার জন্য। তার পরপরই ব্যান্ডে নতুন যোগ দেন গীটারে ব্রায়ান ওয়েলশ। তখন সবাই স্টেজ কনসার্টেই বেশি মনযোগী ছিলেন, ব্যান্ডের প্রচারের জন্য। গানের ভক্ জুটতে সময় লাগেনি, তখনই এক ভক্ত Corn নামটা অফার করে ব্যান্ডের নাম হিসেবে। প্রস্তাব পছন্দ হয় সবার, কিন্তু কর্নের "C" -এর পরিবর্তে "K" চুজ করেন সবাই। আর ফাইনালি গীটারিস্ট শেফার অফার করেন Korn কে KoЯn লিখতে!! কর্নের বর্তমান আর শুরুর লাইনআপ ছিল -
Current
Jonathan Davis – lead vocals (1993–present)
James "Munky" Shaffer – guitars (1993–present)
Reginald "Fieldy" Arvizu – bass (1993–present)
Ray Luzier – drums, percussion (2007–present)
Former
Brian "Head" Welch – guitars, backing vocals (1993–2005)
David Silveria – drums, percussion (1993–2006)
KoЯn
জোনাথন ডেভিস
“মাংকি”
"হেড"
"ফিল্ডি"
প্রাক্তন ড্রামার ডেভিড
বর্তমান ড্রামার রে লুজিয়ার
এখনকার চারজনের একসাথে আরেকটা,
১৯৯৪ সালে কর্ন বের করে সেলফ টাইটেলড ডেব্যু এলবাম! এবং যাবতীয় কনফিউশন (কর্নের জাঁনর নিয়ে) আর, ন্যুমেটালের শুরু কিন্তু ওখানেই। নিজেরা দাবি করেছিলেন এই এলবামের গানগুলোতে তারা চেষ্টা করেছেন গ্রুভ মেটাল, ফাংক মেটাল, গ্রান্জ, হিপহপ, হার্ডরক আর সবকিছুর মূলে হেভিমেটালকে রেখে কিছু এক্সপেরিমেন্ট চালাতে। হিসেব করে দেখুন, আল্টিমেটলি ওরা কিন্তু ন্যুমেটালের বেসিক এলিমেন্টগুলো নিয়েই কাজ করেছেন, যদিও মেইনস্ট্রিমের ন্যুমেটালের সাথে মিল হিসেবে কমই পাওয়া যাবে ঐ এলবামে। কিন্ত ইনফ্লুয়েন্সড করেছিল একই ধান্দায় এক্সপেরিমেন্ট চালানো আরো বেশ কিছু ব্যান্ডকে- সাপোজ লিম্প বিজকিট, পাপারোচ, স্লিপনটকে। ফাংক মেটালে রেজ এগেইনস্ট দ্যা মেশিনের একটা আলাদা ভূমিকা ছিল সবসময়ই, সেটার জন্যই ওদের (আরএটিএম-এর) ন্যুমেটাল অন্যদের চেয়ে একটু বেশি ফাংক ইনফ্লুয়েন্সড মনে হয়। এলবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাতকারে গীটারিস্ট মাংকি বলেছিলেন এই এলবামে ওদের মেইন ইনফ্লুয়েন্স ছিলেন প্যান্টেরা, এনথ্রাক্স, রেজ এগেইনস্ট দ্যা মেশিন, হেলমেট আর র্যাপ/হিপহপ অংশটুকুর জন্য এসহাম-কে! নিজেদের গানের জাঁনর হিসেবে দাবি করেছিলেন গ্রুভ মেটালকে। চারটা সিঙ্গেলস বের হয়েছিল ঐ এলবাম থেকে ব্লাইন্ড, শুটস এন্ড ল্যাডার, নিড টু, ক্লাউন। এর মধ্যে শুটস এন্ড ল্যাডার ১৯৯৭ সালে হেভিমেটালে গ্র্যামি নমিনেশন পায়। নতুন একটা ব্যান্ডকে ব্যাপক প্রোমট করতে এটা যথেষ্ট!! উল্লেখ্য, "KoЯn" এলবামটিকে ন্যুমেটালের ইতিহাসের প্রথম এলবাম হিসেবে সম্মান জানানো হয় প্রায়ই। শুটস এন্ড ল্যাডারের মিউজিক ভিডিও যোগ করলাম পোস্টে, গানে ব্যাগপাইপের ইউজ আছে!
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
সেকেন্ড এলবাম ছিল ১৯৯৬ সালে বের হওয়া Life Is Peachy. তিন নম্বরে ডেব্যু হয় বিলবোর্ডে, হিট সিঙ্গেলস ছিল "A.D.I.D.A.S" যার পুরা অর্থ "All Day I Dream About Sex". এই এলবামে তাদের এক্সপেরিমেন্টে ফাংক মেটাল আর হেভি মেটালের পরিবর্তে থ্র্যাশ মেটালকে ইউজ করার দাবি শুনা গিয়েছিল! তবে বাস্তবে দেখা যায়, তিন রকমের গান ছিল এলবামে ন্যুমেটাল, অল্টারনেটিভ মেটাল আর র্যাপ মেটাল। এডিডাসের মিউজিক ভিডিও-
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
১৯৯৮ সালে বের হয় অন্যতম সফল এলবাম Follow the Leader. মেইনলি ন্যুমেটালই দাবি করা হয় এলবামটিকে! বিলবোর্ডে নাম্বার ওয়ান হয়ে প্রবেশ করে, সারা পৃথিবীতে বিক্রি হয়েছে আজ পর্যন্ত ৫মিলিয়নেরও বেশি। এলবামের প্রোমোশনে লম্প বিজকিট, আইস কিউব, অরজি, রামস্টেইন, ইনকিউবাসকে নিয়ে প্রথমবারের মত ফ্যামিলি ভ্যালু ট্যুরের আয়োজন করে কর্ন সেবছরই। মোটো ছিল কাছাকাছি টাইপের গান গাওয়া ব্যান্ডগুলোকে নিয়ে ট্যুর! মোটো খারাপ না- সবকটা ব্যান্ডের গানই মুটামুটি তারছিড়া টাইপেরই বলতে গেলে এলবামের সিঙ্গেলস ছিল ৫টা, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্ক করি বা করতে হয় Freak on a Leash-কেই। হার্ড রক আর বেস্ট মিউজিক ভিডিও দুই ক্যাটাগরিতে গ্র্যামি নমিনেশন পেয়েছিল, জেতে মিউজিক ভিডিওর জন্য। জটিল এনিমেশন ইউজ করেছিল ভিডিওতে! এমনিতে এলবামে গেস্ট আর্টিস্ট হিসেবে আরো ছিলেন আইস কিউব, কিড রক, ফ্রেড ড্রাস্ট (লিম্প বিজকিট) বেশ কয়টা গানে! এলবামটা আরেকটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ, জোনাথন ডেভিস এই এলবামের বেশ কয়েকটা গানে স্ক্যাটিং ভোকালে গান গেয়েছেন। পরে বিস্তারিত বলছি এটার ব্যাপারে।
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
পরের এলবাম ছিল ১৯৯৯ এর Issues. এর আগের প্রত্যেকটা এলবামেই কোন না কোন হিডেন ট্র্যাক থাকলেও এটাতেই ফার্স্ট কোন হিডেন ট্র্যাক ছিলনা। লিড সিঙ্গেলস ছিল Falling Away from Me. গানটা মেটালে গ্র্যামি নমিনেশন পেয়েছিল, পায়নি যদিও। গানের মিউজিক ভিডিওর ডিরেকটর ছিলেন ফ্রেড ডাস্ট (লিম্প বিজকিট) আর গানের বিষয়বস্তু ছিল ডোমেস্টিক এবিউজ! এই এলবাম থেকে এদের ন্যুমেটাল থেকে কিছুটা সরে আসতে দেখা যায়। কারণটা কিছুটা গেস করা যায় (পরে এলাবোরেটলি বলছি)! পরিবর্তে আরেকবার হেভিমেটালের দিকে ফিরতে আর নতুন হিসেবে ইন্ড্রাস্টিয়াল মেটালের দিকে খানিকটা ঝোঁক দেখা যায় এই এলবামে! উল্লেখ্য ইস্যুজ-ও বিলবোর্ডে নাম্বার ওয়ান এলবাম ছিল।
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
পরের এলবাম ২০০২ এ বের হওয়া Untouchables. এটা বিলবোর্ডে ২নং পজিশনে ডেব্যু পায়। লিড সিঙ্গেলস ছিল Here to Stay, সেটার জন্য কর্ন মেটালে গ্র্যামি এওয়ার্ড পায়! মিউজিক ভিডিওটা যোগ করলাম।
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
গ্র্যামি পেলেও এক্সপেক্টেশন অনুযায়ি মার্কেট এবং সাড়া না পাওয়ায় ব্যাপক কোমড় বেঁধে লাগে পরের বছর নতুন এলবাম বের করার জন্য। তারই ফলশ্রুতিতে ২০০৩ এ বের করে এলবাম Take A Look In the Mirror. এই এলবামের গানে আর ন্যুমেটালের কোন এলিমেন্ট পাওয়া যায়নি, বরং অল্টারনেটিভ মেটাল আর হেভিমেটালের দিকেই ব্যান্ডের আগ্রহ টের পাওয়া যায়। মুটামুটি এই এলবাম থেকেই কর্নের অল্টারনেটিভ মেটালের দিকে পুরাপুরি বিবর্তন শুরু হয়। লিড সিঙ্গেলস ছিল Did My Time যার মিউজিক ভিডিও বানানো হয় Lara Croft Tomb Raider: The Cradle of Life এর কাটপিস ইউজ করে। গানটা মুভিতে সাউন্ডট্র্যাক হিসেবে ইউজ করায় আগেই রিলিজ করতে হয় সিঙ্গেলস হিসেবে।
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
নাহ, পোস্ট অতিরিক্ত বড় হয়ে যাচ্ছে। দোষ আমার না, কর্নের অতিরিক্ত এলবাম বের করার বদ খাসলত! যাকগে বাকি তিনটা স্টুডিও এলবাম হালকার উপর ঝাপসা মারব তার আগে কর্নের গুনগাণ ইনস্ট্রুমেন্ট আর লিরিকস ধরে ব্যাখ্যার চেষ্টা করি খানিকটা! আনপ্লাগড এলবাম আর ভিডিও এলবামগুলোর কথা পোস্টে আনব না।
প্রথমেই লিরিকস! কর্নের লিরিকস হেভিমেটালের কমন টাইপ, প্রেম/প্রীতি/ভালবাসা নিয়ে কর্নের আগ্রহ কম সবসময়ই। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কর্নের লিরিকস যথেষ্ট এগ্রেসিভ টাইপের, গানের জাঁনরের তুলনায়। প্রথম এলবামে (কর্ন) প্যারেন্টাল এডভাইজরি লেবেল লাগাতে হয়েছিল লিরিকসের আগ্রাসী ভাবের জন্য। হেভিমেটাল গানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য সমাজ পরিবর্তনের গান, কিন্তু কর্ন এখানে আরো সূক্ষ্ণ, সমাজের প্রতিটা সেক্টরকেই তারা কাভার করার চেষ্টা করে। সাপোজ গ্র্যামি জেতা ফ্রিক অন এ লিশ ছিল আমেরিকার মিউজিক ইন্ড্রাস্টির প্রতি খেদের কথা সম্বলিত। চাইল্ড এবিউজ ছিল আরেকটা উপকরণ লিরিকসের যেটা অন্যান্য হেভিমেটাল ব্যান্ডে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়েনা। ডেব্যু এলবামের ড্যাডি গানটা লিখেছিলেন জোনাথন ডেভিস নিজের ছেলেবেলার একটা এবিউজের ঘটনা থেকে। নিজের বাবামাকে বলেছিলেন ঘটনাটা কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। আরেকটা গান কিল ইউ ছিল সৎমায়ের আচরণ থেকে ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে লেখা। সত্যি কথা বলতে কি, ভোকাল জোনাথন ডেভিসের বিশৃংখল শৈশব/অতীত, তাদের বেশিরভাগ লিরিকসেই প্রতিফলিত হয়েছে, সেটা তাদের বানিয়েছে লিরিকসের দিক থেকে এক অসাধারণ জীবনঘনিষ্ঠ ব্যান্ড। তবে মাঝে মাঝে ভুগতে হয়েছে লিরিকসের জন্য, একবার এক স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছিলেন এরা ভালগার, ইনসালটিং লিরিকস লিখে কোমলমতি স্টুডেন্টদের বিপথগামী করছে আরেকবার মাল্টিমিলিয়ন ডলারের ল-স্যুট খেয়েছিল লিরিকসের জন্য পরে আপোসে মিমাংসা হয় ব্যাপারটা।
গানের টাইপ নিয়ে কথা বলা মানে সময় নষ্ট। তবু ইন্টারেস্টিং পার্ট হচ্ছে, ন্যুমেটাল টার্মটা কর্নের কোন মেম্বারের পছন্দ না। যতবার তাদের ব্লেইম করা হয় ন্যুমেটাল ব্যান্ড হিসেবে প্রত্যেকবার তারা সেটা স্বীকারে আপত্তি জানায়। নিজেদের জাঁনর কি, সেসম্পর্কে অবশ্য এলবামভেদে বিভিন্ন কথা বলেছে। তবে ২০০০এর পর থেকে ন্যুমেটাল বা ন্যুমেটাল ইনফ্লুয়েন্সড গান গাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে কর্ন। কারণ যেটা মনে হয়, পাপারোচ, স্লিপনট, লিম্প বিজকিট, লিংকিন পার্কের তখন ন্যুমেটালে জয়জয়কার দশা, নিজেদের আলাদা রাখতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত!!
ব্যান্ডের স্বর্ণসময়ে গীটারে ছিলেন মাংকি আর হেড। হেড ব্যান্ড ছেড়েছেন ২০০৫এ। দুজনেই সাত তারের গীটার ইউজ করতেন, নিজেদের জন্য সিগনেচার গীটার অবশ্যই। মাংকি আর হেড নামকরণের কারণ বেশ মজার। জেমস পা দিয়ে বানরের (মাংকি) হাত চেপে রাখতে পারেন বলে এই নাম আর ব্রায়ান নিজের মাথা বেশি বড় এই দাবি করে নিজের নাম হেড নিয়ে নিয়েছেন। দুজনেই প্রচুর ইফেক্ট ইউজ করেন গীটারের সাউন্ডে বৈচিত্র্য আনতে, আর হেড পছন্দ করতেন বিভিন্ন কোম্পানির পেডালের এক্সপেরিমেন্ট চালাতে- স্টুডিওতে। দুজনেই আইবানেজের এনডোর্সড। তবে একটা মজার ব্যাপার কি, কর্নই সম্ভবত একমাত্র মেটাল জাঁনরের ব্যান্ড যাদের গানে কোন গীটার সোলো পাওয়াটা খুবই রেয়ার। ব্যান্ডে কোন টার্নটেবল বা ডিজের ইউজ নেই, ঐ টাইপের স্ক্র্যাচিং বা মিক্সিং-এর সাউন্ডগুলো হেড আর মাংকি ভাগ করেই সামলাতেন। এমনিতে রিফের জন্য দুজনেই ডাউনটিউনড গীটার ইউজ করতেন, ভারি রিফ কর্নের জন্যও কমন টাইপ। কর্নের গানগুলোতে ফাংক, জ্যাজ, হেভিমেটাল সবকটার স্বাদই পাওয়া যায় অনেকসময় এবং এর উৎস দুই গীটারের মিলিত সাউন্ড। দুই লিডের কাজ সচারচর পুরা টাইম জুড়ে দেখা যায়না, মাংকি আড় হেডের আমলে কর্নে সেটা অহরহ দেখা যেত। ইদানিং অবশ্য মাংকি বেশ বিপদে আছেন হেড-কে ছাড়া, একা গীটারের কাজ করতে তো হয়ই আর নতুন গানের সুর, লিরিকস সব একারই করত হচ্ছে। আর কেউ না চাক, মাংকি অধীর আগ্রহে আরেকজন গীটারিস্ট চাচ্ছেন ব্যান্ডে। ও ভাল কথা, গীটার ওয়াল্ড ম্যাগাজিনের চোখে মাংকি আর হেড সবসময়ের শ্রেষ্ঠ ১০০ মেটাল গীটারিস্টের লিস্টে ২৬ নাম্বারে আছেন যৌথভাবে।
বেসিস্ট রেজিনাল্ড "ফিল্ডি" আরভিজু। ফিল্ডি নামকরণের কারণ ব্যান্ডের ভেতরের কোন ফান যেটা তারা বলতে রাজি হননি কখনো। তার আরেকটা ডাকনাম হচ্ছে "গফার"। ব্যান্ডের গানে হিপহপ বা র্যাপের যে ইনফ্লুয়েন্স দেখা যায় তার জন্য এককভাবে দায়ি এই ফিল্ডি মিয়া। পাঁচ তারের বেস বাজান, আইবানেজের সিগনেচার বেস (এনডোর্সডও)। পিক ইউজ করেননা, স্ট্যান্ডার্ড ফিংগার প্লাকিং করে বাজান, বাম হাত মিউট রেখে- এটাই র্যাপ ইনফ্লুয়েন্সড সাউন্ডের মেইন সোর্স কর্নের। প্রচুর স্ল্যাপিং করেন গানে। ফিল্ডির স্ট্যান্ডার্ড টিউনিং হচ্ছে A, D, G, C, F. সত্যি কথা বলতে কি ফিল্ডির বেস ধরার স্টাইলটাও খানিকটা (না পুরাপুরিই?!) হিপহপারদের মতই। কনসার্ট বা মিউজিক ভিডিওতে এরকম ফকিন্নির মত থাকেন, এমনিতে তিনি যথেষ্ট ফ্যাশনসচেতন, নিজের নামে ড্রেসলাইন আছে। হাত থেকে ঘাড় পর্যন্ত যে পরিমাণ ট্যাটু করা আছে শার্ট না পড়লেও কেউ টের পাবেনা বেস বাজানো ছাড়া এমনিতে ফিল্ডি কর্নের অন্যতম প্রধান গীতিকার, এবং ব্যান্ডের মার্চেন্ডাইজের কাজটাও মেইনলি তিনি দেখেন। দুইদিন পরপর ইনবক্সে কর্নের গেন্জী বেঁচার মেইল আসলে নিশ্চিন্তে ফিল্ডিকে গালি দিয়ে মেইল করতে পারেন!
প্রাক্তন ড্রামার ডেভিড সিলভারিয়া ব্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন কর্ন যখন ফরম করে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে কর্নে ঢুকেন। ২০০৬এ ব্যান্ড ছাড়ার আগ পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথেই পালন করে গেছেন। সিম্পল ড্রামস টেকনিক ইউজ করতেন, ডাবল বেসড ড্রামিং কখনো করেননি, অবশ্য কর্নের কোন গানেই ব্লাস্ট বীটের কোন ইউজ নেই। ড্রামসে সিসটেমদের সাথে কর্নের বিশাল পার্থক্য কারণ, কর্নের বেশিরভার গানই ভার্স/কোরাস স্ট্রাকচার বেস করে বানানো, ড্রামসে ডেভিডকে ডালমায়ানের মত সমস্যায় পড়তে হয়নি কখনো। ডেভিড টামা ড্রামস ইউজ করতেন, নিজের জন্য সিগনেচার স্নেয়ার ছিল। ২০০৬এর পর সবধরণের মিউজিক থেকেই রিটায়ার করেছেন ডেভিড। মাঝে ২০০৮/০৯ পর্যন্ত কর্নের ড্রামসে ঠেকা বেঠেকায় কাজ চালিয়ে যেতেন স্লিপনটের জোয়ে জর্ডিসন। ২০০৯ এ একজন প্রফেশনাল ড্রামারকে ব্যান্ডের রেগুলার ড্রামার হিসেবে ডিক্লায়ার করা হয়, রে লুজিয়ার। রে লুজিয়ার এর আগে স্টোন টেম্পল পাইলট, আর্মি অফ এনিওয়ানের আর বিভিন্ন আর্টিস্টের ড্রামার ছিলেন। ইনি আর্টিস্টের অবস্হা (গানের ধরণ বুঝে আরকি) ড্রামসের ব্যান্ড এবং সেটিংস চুজ করেন, এখন অবশ্য এনডোর্সড আছেন পার্ল ড্রামসে। দেখা যাক, কর্নে কি দেখান রে লুজিয়ার।
ভোকাল জোনাথন ডেভিসকে নিয়ে মুটামুটি মেজর অংশটাই বলা হয়ে গেছে। ডেভিসের গলা ঠিক যেন হেভিমেটালের উপযোগী না, আবার রকের জন্যও যথেষ্ট স্মুথ না। কিন্তু হেভিমেটালে কিন্তু ভালই দক্ষতা দেখিয়েছেন মাঝে মাঝে। কর্নের প্রায় সবকটা গানেই মনে হয় ভোকাল নিজের কোন কষ্ট প্রকাশ করছেন গান গেয়ে। এর ষোলআনা কৃতিত্ব ডেভিসকে দিলে খুব বেশি ভুল হবে কি? কর্নের বেশ কিছু অল্টারনেটিভ মেটাল আছে যেগুলো অন্য যে কোন আর্টিস্ট গাইলে শিওর অল্টারনেটিভ রক বড়জোড় রক বলা যেত! হিট প্যারাডারসের সবসময়ের সেরা ১০০ মেটাল ভোকালের লিস্টে ডেভিসের পজিশন ১৬ নাম্বারে। জোনাথন ডেভিসের গানের আরেকটা অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্ক্যাটিং ভোকালে গান গাওয়া। অর্থহীন শব্দ দিয়ে গানের অংশবিশেষে হেভি রিফ দেয়া, এটা কর্নের ফলো দ্যা ল্যাডার এলবামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। ডিস্টার্বডের ডেভিড ড্রেইম্যান এই টেকনিকটা বেশ কিছু গানে ইউজ করেছেন জোনাথন ডেভিসকে বাদ দিলে, আদারওয়াইজ রক/মেটাল গানে মনে হয়না তেমন একটা ইউজ আছে এই জিনিষের। ডেভিস কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ইনস্ট্রুমেন্টের ইউজও করেন গানে। বেশ কিছু গানে তাকে ব্যাগপাইপ বাজাতে দেখা গেছে, ব্যাগপাইপই তার স্পেশাল মার্কড ইনস্ট্রুমেন্ট কনসার্টে। এছাড়া মাঝে মাঝে হারমোনিকা আর পিয়ানোও বাজাতে দেখা গেছে ডেভিসকে!
ব্যান্ডমেম্বারদের স্টেজ এবং মিউজিক ভিডিওতে এপিয়ারেন্স নিয়ে আরো দুচারটা কথা বলি। নব্বইয়ের দশকের যেটাইমে কর্ন ফরম করে সেই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিল বেশ কটা রক জাঁনরের জন্য। ন্যুমেটাল ফরম করছে তখন, অল্টারনেটিভ মেটাল ফরম করছে তখন, পোস্ট গ্রান্জের শুরুটা দেখিয়ে গেছেন কুর্ট কোবেইন। কিন্তু হেভিমেটালের মত ঐ জাঁনরগুলোর নিজস্ব কোন ফ্যাশন ছিলনা, ছিলনা কোন স্পেশাল স্টাইল। এই জায়গাটাতে কর্নের খানিকটা ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না। হার্ডরকের স্কীনটাইট জিনস-বুট আর হেভিমেটাল, এক্সট্রিম মেটালগুলোর চামড়ার ড্রেসের বাইরে বেশ কিছু ন্যুমেটালের আর্টিস্টের জন্য একটা কমন আউটফিট দাড়িয়ে গিয়েছিল- কার্গো প্যান্টস, হিপহপ গুষ্ঠীর আউটফিটগুলো (সব ব্যান্ডের জন্য না)। এই ভূমিকাটা অনেকাংশে ছিল কর্নের মেম্বারদের আর লিম্প বিজকিটের ফ্রেড ডাস্টের। কর্নের শুরুর দিকে জোনাথন ডেভিসের ড্রেস থাকত এডিডাসের বিভিন্ন ট্র্যাকস্যুট (রেগুলার এবং কিছু নিজের ডিজাইন করা)। ব্যান্ডে হিপহপ ইনফ্লুয়েন্সড বেসিস্ট ফিল্ডি-কে সবসময় দেখা যায় হিপহপারদের আউটফিটেই। এখনো!! অন্যগুলো অবশ্য কর্নের অবদান না, যেমন: পিয়ারসিং। ট্যাটু তো কমবেশি বাকি সবাইকে করতেই দেখি। তবে লিংকিন পার্কের চেস্টার বেনিংটন আর লিম্প বিজকিটের ফ্রেড ডার্স্টকে ট্যাটু শিল্পের আইডল ধরা যায়, ফ্রেডের তো মনে হয় এখনো ট্যাটু আর পিয়ারসিং করানোর দোকানটা আছে নিউইয়র্কে।
জোনাথন ডেভিসের একটা স্পেশাল মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছে যেটা তার জন্য ডিজাইন করেছিলেন সুইস আর্টিস্ট H. R. Giger, প্রায় সব মিউজিক ভিডিওতে এবং কনসার্টে দেখা যায় স্ট্যান্ডটা। ভাল কথা জোনাথন ডেভিসের আরেকটা জনপ্রিয় আউটফিট আছে, স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ছেলেদের স্কার্টের সাথে স্লিভলেস টিশার্ট পড়ে অনেক গানে কনসার্টে পারফর্ম করেছেন তিনি। তবে পুরান কর্নের ভক্তদের কাছে এডিডাসের সেই ট্র্যাকস্যুট এখনো কর্নের জন্য তাদের ইউনিফর্ম, কনসার্টে পুরান লয়াল ফ্যানরা এখনো সেই এডিডাসের ট্র্যাকস্যুটেই যায়।
এডেমার নাম শুনেছেন কখনো? হার্ডরক, অল্টারনেটিভ মেটালে একটা সময় খুব নাম করেছিল। এডেমার ভোকাল মার্ক শেভেজ আমাদের এই জোনাথন ডেভিসের সৎভাই। এটা কর্নের আরেকটা দিক। সমসাময়িক সবকটা ব্যান্ডের সাথেই কর্নের সম্পর্ক চমৎকার। গীটারিস্ট অসুস্হ, দেখা যায় কোন না কোন ফেমাস ব্যান্ডের নামকরা গীটারিস্ট সুন্দর ঠেকার সময় ব্যাকাপ দিয়ে যায়। কর্নের ভক্ত বেশি কিন্তু বড় বড় ব্যান্ডগুলোতেই বেশি। কোরে টেইলর (স্টোন সাওয়ার/স্লিপনট), এমি লি (ইভানসেন্স), এম শ্যাডোস (এভেন্জড সেভেনফোল্ড), ফ্রেড ডার্স্ট (লিম্প বিজকিট), মরেনো (ডেফটোনস)....এই প্রত্যেক দিকপালের সাথে কর্নের সম্পর্ক এতটাই চমৎকার যে ভোকাল ডেভিস অসুস্হ থাকলে ভোকালের কাজও করে দিয়ে যেতে এদের কোন আপত্তি নেই। একবার ডাউনলোড ফেস্টিভালে ডেভিস হাসপাতালে, নো প্রবলেম; কোরে টেইলর, ফ্রেড আর শ্যাডোস কর্নের মোট ১২টা গান প্লে করে দিয়েছিলেন। ফ্রেড ডার্স্ট নিঃসন্দেহে একজন পার্ভার্ট এবং মুডি পাবলিক, ফ্রেডের সাথে ভাল বনে মনে হয় এই কর্নের আর অল্প কয়েকটা ব্যান্ডের। এটা একদিক থেকে খুবই ভাল, আমেরিকান মিউজিক ইন্ড্রাস্টিতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থ দেখছে ভালভাবেই। স্লিপনটের বেসিস্ট পল গ্রের মৃত্যুর পর কর্নের সব মেম্বার একসাথে মিডিয়াতে শোক প্রকাশ করেছিল নিজেদের এলবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে। এমনিতে কর্নকে গুরু মানা ব্যান্ডের লিস্ট লিখতে গেলে দুই পৃষ্ঠা লাগবে!!
ন্যুমেটাল নিয়ে তো অনেক কথাই হল পোস্টে। আরেকটা জিনিষ যোগ করে দেই, কর্নের প্রথম এলবাম ২টার প্রডিউসার ছিলেন রস রবিনসন। রস রবিনসনের ভূমিকাও বাদ দেয়া যায়না ন্যুমেটালের উথ্থানে। রস রবিনসন প্রডিউসার ছিলেন কর্নের সাথে লিম্প বিজকিট, স্লিপনট, মেশিনহেড, সেপালচুরা, আমেন এই ব্যান্ডগুলোর। ন্যুমেটালের গোড়ার দিকের সবকাজে জড়িত ছিলেন বলে রস রবিনসনকে ন্যুমেটালের গডফাদার ডাকা হয়।
ওকে, বাকি তিনটা এলবামের কথা শর্টকাটে সারি। ২০০৪ এ বের হওয়া Greatest Hits, Vol.1 ছিল আগের ৬টা এলবামের সবচেয়ে হিট হওয়া গানগুলোর কালেকশন হিসেবে। ২০০৯ পর্যন্ত এলবামটা দেড় মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে আমেরিকায়। এই এলবামের পরপরই গীটারিস্ট হেড ব্যান্ড ছেড়ে দেন। হেডকে ছাড়া প্রথম এবং ড্রামার ডেভিডকে নিয়ে লাস্ট এলবাম ছিল See You on the Other Side। জটিল একটা এলবাম ছিল। বিলবোর্ডের টপ ১০০ এলবামের লিস্টে টানা ৩৪ সপ্তাহ ছিল এলবামটা। লিড সিঙ্গেলস ছিল টুইস্টেড ট্রানজিস্টর আর কামিং আনডান। পয়লাটার ভিডিওটা বানানো হয় কর্নের মেম্বারদের বিভিন্ন তারছিড়া কর্মকান্ডকে অন্য মডেলের সাহায্যে শো করে। পরে জানতে পেরেছি গানের মডেলরা নাকি সব কজন মারদাঙ্গা ফেমাস র্যাপ আর্টিস্ট! কামিং আনডানের ভিডিওটাও সুন্দর!
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে (Twisted Transistor)
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে (Coming Undone)
সি ইউ অন দ্যা আদার সাইডের পর বের হয় কর্নের আনপ্লাগড এলবাম। পুরান ফেমাস কয়েকটা গানকেই আনপ্লাগড, এক্যুস্টিক ভার্সনে গায়, গেস্ট আর্টিস্ট ছিলেন বেশ কয়েকজন সাথে। পুরা অনুষ্ঠানটা ধারণ করা হয় নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়্যারে এমটিভির স্টুডিওতে। ফ্রিক অন এ লিশ গানে ডেভিসের সাথে ভোকাল হিসেবে ছিলেন ইভানসেন্সের এমি লি। এই প্রোগ্রামের পর বের হওয়া এলবামটাই ছিল কর্নের প্রথম এলবাম ড্রামার ডেভিডকে ছাড়া।
আট নম্বর এলবামটা ছিল আনটাইটেলড। আগের ন্যুমেটাল ইনফ্লুয়েন্স আর নেই এখন, বরং পুরা অল্টারনেটিভ মেটাল আর রক গানে ভরা। লিড সিঙ্গেলস ছিল এভালুশন। উল্লেখ্য তখন রেগুলার ড্রামার কেউ ছিলনা, স্লিপনটের জোয়ে জর্ডিসন ঠেকার কাজ চালিয়ে দিয়ে যান, ইভেন মিউজিক ভিডিওতেও। জর্ডিসন যদিও আনমাস্কড ছিলেন মিউজিক ভিডিওতে, কিন্তু তার চেহারা সরাসরি একবারও ফোকাস করা হয়নি! ভিডিওটার টপিকস খুব ইন্টারেস্টিং এবং মজার। বিবর্তনবাদ হচ্ছে সাবজেক্ট!!
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
আর এবছরই বের হয়েছে নাইনথ এলবাম Korn III: Remember Who You Are. মাঝের মন্দা কাটাতে আবার নিয়ে এসেছে পুরান প্রডিউসার রস রবিনসনকে, এবং এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে হিউজ স্কেলে। গানগুলো লেখা হয়েছে সব মেম্বারকে একসাথে নিয়ে বেসিস্ট ফিল্ডির গ্যারাজে বসে। রাতের পর রাত ভোকাল ডেভিস সুর করা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন, গীটার আর বেস নিজে বাজিয়ে ড্রামসের জন্য সফটওয়ার ইউজ করে চেক করেছেন সুর। এবং এলবামের সবকটা গান রেকর্ড করা হয়েছে এনালগ মেশিনে! দেখা যাক আউটকাম কি আসে! এখন পর্যন্ত একটা সিঙ্গেলসের খবরই পেয়েছি, Oildale (Leave Me Alone) শুনে বেশ খানিকটা হেভিমেটালের ইনফ্লুয়েন্স পেলাম গানে।
ইউটিউব লিংক, বড় করে দেখতে
সবকটা শুনতে পারলে বুঝা যাবে কপাল ফিরেছে কিনা কর্নের!
কর্ন কনসার্ট মাতাতে অসাধারণ একটা ব্যান্ড, স্লিপনটের মত আলাদা স্ট্যান্টবাজির দরকার পড়েনা। ডেভিসের পাগলামিই যথেষ্ট স্টেজ আর অডিয়েন্স গরম করতে যাই হোক, কনসার্টে কি করে তার এক্সাম্পল দেই দুয়েকটা! ২০০৭-এর রক এম রিঙ-এ পারফরম করা ব্লাইন্ড আর টুইস্টেড ট্রানসিস্টর!
Blind
Twisted Transistor
Montreux-এ ২০০৪ সালে পারফর্ম করেছিল Falling Away From Me. এদের দুজন মেম্বার এখন আর নেই
Falling Away From Me; Montreux, 2004
এম.পি.থ্রী ডাউনলোড লিংক
Blind, Shoots and Ladders, Need To, Clown
A.D.I.D.A.S.
Freak on a Leash
Falling Away from Me
Here to Stay
Did My Time
Twisted Transistor, Coming Undone
Evolution
Oildale (Leave Me Alone)
****সিরিজের আগের ব্যান্ড ছিল SlipKnot, System of A Down এবং সিরিজ শুরু হয়েছিল Mudvayne দিয়ে।