আমি জলিল ভাইজানের ভক্তও নই, আর এগুলোর প্রতি ইন্টারেস্টও কম। কিন্তু তাকে যেভাবে পঁচানো হচ্ছে, তা দেখে মনে হচ্ছে আসলেই বাঙালী নিজের ঘরের খবর সবাইকে জানাতে পছন্দ করে।
যারা অন্যের ভুল নিয়ে হাসে, তাদের যে, কতটুকু ইংরেজী বলার ক্ষমতা তা একটু পরীক্ষা করলেই বুঝা যাবে।
অনন্ত ভাল ইংরেজী উচ্চারন পারেনা সেটা আমিও জানি কিন্তু যারা হাসতেছেন তাদের সংখ্যা নেহায়েত কমনা। কিন্তু আমি অবাক হলাম যে, যে দেশের মানুষ ইংরেজী শিক্ষতে স্কুল ছেড়ে কোচিং এ পড়ে। স্কুলে পড়ার পরও বোম মারলেও ১০ মিনিট ইংরেজীতে কথা বলতে পারেনা (বেশির ভাগ)। তারা এত অন্যের উচ্চারনে ভুল ধরে কিভাবে, আবার হাসা হাসিও করে।
আমি চায়নাতে এসে দেখেছি, চাইনিজদের সাথে শুদ্ধভাবে উচ্চারন করে কথা বললেও ওরা বুঝেনা। ওদের উচ্চারন ভংগী ভিন্ন। যেমনঃ আমরা ৩০ কে বলি থার্টি কিন্তু উরা উচ্চারন করে "ছার্টি"।
তাই অন্যেকে নিয়ে হাসার আগে, নিজেকে প্রশ্ন করুন।
আমি অনন্তের ভক্ত নই, কিন্তু যেভাবে ওনাকে পচানো হয় তা দেখে সত্যিই খারাপ লাগল।
আমাদের বাংলাদেশে কাউকে বড় হওয়ার সুজুগ দেওয়া হয়না, তার ভুল ধরে তাকে পচিয়ে ফেলা হয়।
যেমনঃ ২০ বছর আগে ধোলাইখাল আর চায়না ছিল একই রকম, নকল জিনিস তৈরির কারখানা, আর আমরা ধোলাইখালকে পচিয়েছি, আর চায়না কোথায় পৌছেছে তা নিজেই দেখতেছি!!!
আমি নিজেও অনেক জায়গায় ক্লাস করেছি। আমি দেখেছি বেশির ভাগ লোকজনকে সামনে দাড় করিয়ে ৫ মিনিট কথা বলতে দিলে বলতে পারেনা। তাহলে এত ইংরেজী বলনে ওয়ালা কথা থেকে এল?