ডিভিডেন্ট ডিক্লারেশন সব সময়ই শেয়ার বাজারের ঐ শেয়ারের দামের উপর গুরুত্বপূর্ন প্রভাব ফেলে যা খারাপ-ভাল দুই প্রকারেরই হতে পারে। ডিভিডেন্ট ডিক্লারেশন হল একটি কম্পানির স্টেটেজিকাল বিজনেস ডিসিশন ফলে আগে থেকে তা অনুমান করা বেশ দূঃস্বাদ্ধ কাজ (তবে আমাদের দেশে লিকআউটের ঘটনা প্রায়ই ঘটে )। তবে কম্পানির পরিচালনা পরিষদ যদি কোন বিশেষ সিচুয়েশন দ্বারা বায়াসড নায় হয় তবে আপনি বেশ সহজেই ঘোষিত হতে যাওয়া ডিভিডেন্ট সম্পর্কে আগাম ধারনা পেতে পারেন।
আসুন একটি উদাহরনের মাধ্যমে প্রকৃয়াটি দেখি -
Business Segment: Bank (ডিএসই তে লিস্টেড একটি ব্যাংক। নীতিগত কারনে নাম ডিসক্লোজ করতে না পাড়ার জন্য দুঃখিত)
Authorized Capital in BDT* (mn) 5000.0
Paid-up Capital in BDT* (mn) 3822.0
দুটর মধ্যে বেশ বড় ধরনের ব্যবধান করেছে। আবার বেসেল-২ বাধ্যবাদকতার জন্য ব্যাংকের মূলধন বৃদ্ধি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের কেশের পরিবর্তে বোনাস শেয়ার ঘোষনা করার সম্ভবনা প্রবল।
Bonus Issue 30% 2008, 40% 2007, 75% 2006,200% 2005, 100% 2004,25% 2001
---পূর্ববর্তী বছরগুলতেই একই ধারা লক্ষ করা যায়।
সাল - EPS- ডিভিডেন্ট
2001 203.61 25%B
2002 199.11 -
2003 94.92 -
2004 67.35 100%B
2005 143.36 200%B
2006 70.46 75%B
2007 64.45 40%B
2008 51.54 30%B
2009 n/a ?
সাম্প্রতিক বছরগুলতে ঘোষিত ডিভিডেন্ট । যেহে্যু 2001 2002 ও 2003 এর ঘোষিত ডিভিডেন্ট আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ন ফলে তা শোধরাতে 2004 2006 2007 এ অতিরিক্ত ডিভিডেন্ট দেয়া হয়েছে। তাই আমরা 2007 2008 এর ঘোষিত ডিভিডেন্টকে স্টেন্ডার্ড ধরে আমাদের কেলকুলেশন করব -
2007 এ EPS- ডিভিডেন্ট এর অনুপাত 0.62
2008 এ EPS- ডিভিডেন্ট এর অনুপাত 0.58
অতএব এভারেজ অনুপাত 0.60 কে আমরা বেজ ধরমাম 2009 এর জন্য
Basic EPS in BDT* 37.03 (Q3 -9 Month)
এখন প্রতিটি কম্পানি ৩ মাস পর পর তাদের আয়ের হিসার দেয় (যা হল সাম্ভাব্য হিসার ; একুরেট নয়) । ৯মাসের আয়কে (37.03) ১২ মাসে রিফলেক্ট করলে দাড়ায় 49.37।
সুতরাং এই কম্পানির সাম্ভাব্য ডিভিডেন্ট হবে (49.37 * 0.60 ) = 29.6%B
এবার আসুল দেখি আমাদের প্রেডিকশন কতটা সঠিক ছিল। 2009 সালের জন্য কম্পানিটি নিম্নক্ত ডিভিডেন্ট ঘোষনা করেছে
Basic EPS in BDT* (Q4 -12 Month) 54.74
Dividend : 30%B
দেখতেই পাচ্ছেন আমাদের প্রেডিকশন বেশ ভালই ছিল (নিজেকে ত এখন যতিশি যতিশি মনে হচ্ছে । রেজাল্ট দেখে আমি নিজেও একটু অবাক হয়েছি )। আর এর মূল কারন -
১। কম্পানি তার Dividend সংক্রান্ত সাধারন ফর্মূলা থেকে সরে আসেনি।
২। কম্পানির শেষ ৪ মাসের আয় পূর্ববর্তী মাসগুলর মতই সচল ছিল।
৩। কম্পানি আয় সংক্রান্ত অতিরন্জিত/ ভুল কোন সংবাদ পূর্বে প্রকাশ করেনি
** উপরে বর্নিত উপায়টি মূলত সাধারন কেলকুলেশনের উপর ভিত্তি করে রচিত। সব সময় তা ১০০% কারেক্ট হবে তার কোন নিশ্বয়তা নাই তবে অতিপ্রাকৃত কোন ঘটনা না ঘটলে এর একিউরিসি রেট ৮০-৯০%।
অট: এই পর্বের মধ্য দিয়েই শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সিরিজটির সমাপ্তি ঘটছে। জানি না আমার ক্ষদ্র জ্ঞানের কতটুকু পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি। আশা করি আমার এই প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও আপনাদের উপকারে লাগবে। যদি তা সত্যিই আপনাদের কাজে লাগে তবে তাই হবে এই সিরিজের স্বার্থকতা। পরিশেষে সিরিজটির সকল পাঠকের প্রতি রইল শুভ কামনা। সবাই ভাল থাকবেন।
শেয়ার বাজার বিষয়ক সকল পোস্ট একত্রে পেতে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০২