somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ৩ এবং ২৫

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু



আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটির ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে -

২-৩ : গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। (অনুবাদ : আল-বায়ান)

২-৩ : যারা গায়বের প্রতি ঈমান আনে, নামায কায়িম করে এবং আমি যে জীবনোপকরণ তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। (অনুবাদ : তাইসিরুল)

২-৩ : যারা অদৃশ্য বিষয়গুলিতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছি তা হতে দান করে থাকে। (অনুবাদ : মুজিবুর রহমান)

২-৩ : যাহারা ইমানের কাজ করে গায়েবের সহিত এবং কায়েম করে সালাত এবং তাহা হইতে, যাহা আমরা রেজেক দিয়াছি তাহাদের, তাহারা ব্যয় করে। (হুবহু অনুবাদ : ডা. জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী)

উপরে সূরা বাকারার ৩ নাম্বার আয়াতের ৪টি অনুবাদ দিয়েছি। প্রথম তিনটি অনুবাদে বলা হয়েছে গায়েবের প্রতি ঈমান আনতে, আর শেষের হুবহু অনুবাদে বলা হয়েছে গোপনে ইমেনের কাজ করতে

এখানে স্প্রিং মোল্লা চিন্তায় পরে যায় কি করবে!! স্প্রিং মোল্লাতো আরবী ভাষার পন্ডিত না, কি করে বুঝবে কোনটি সঠিক?

আবার প্রথম তিনটি অনুবাদে রেজেক বা রিজিক দেয়ার সময় আল্লাহ বলেছেন "আমি", আর শেষের হুবহু অনুবাদে আল্লাহ বলেছেন "আমরা"। আল্লাহর এই আমি আর আমরা বলার চমৎকার একটি ব্যাখ্যা নেটে সামান্য খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে সুফিবাদে আল্লাহর এই "আমরা" বলার ব্যাখ্যা অন্যরকম।

এখন স্প্রিং মোল্লার মনে প্রশ্ন যাগে - কোরআনের আমরাকে আমি হিসেবে অনুবাদ করার অধিকার কে দিলেন?
আরেকটি বিষয়, এই ৩ নাম্বার আয়াতেই (সিরিয়ালের দিক দিয়ে কোরআনে প্রথম) সালাত কায়েম করার কথা বলা হলো।
স্প্রিং মোল্লা মনে মনে খুশী হয়, নামাজ পড়া বা আদায় করার কথা বলে নাই, বলেছে সালাত কায়েম করার কথা। নামাজ পড়া আর সালাত কায়েম করার মধ্যে পার্থক্য কি কি সেইটা ভিন্ন বিষয়।



এবার আসি ২৫ নাম্বার আয়াতে।
২-২৫ : যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই তাদেরকে জান্নাত থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে, ‘এটাই তো পূর্বে আমাদেরকে খেতে দেয়া হয়েছিল’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে হবে স্থায়ী। (অনুবাদ : আল-বায়ান)

আমরা দেখতে পাচ্ছি এই আয়াতে বলা হচ্ছে জান্নাত রয়েছে একাধীক। সেই সব জান্নাতের তল দিয়ে প্রবাহিত হবে অনেকগুলি নদী। জান্নাতীদের খেতে দেয়া হবে ফল, যা দেখতে হবে পৃথিবীর ফলের মত, এবং তাদের দেয়া হবে একাধীক হুর বা স্ত্রী অনন্তকালের জন্য।

এই ২৫ নাম্বার আয়াত পড়ে স্প্রিং মোল্লা মনে মনে ভাবে জান্নাতে যাওয়ার টিকিট পেলেন "যারা ইমান এনেছেন এবং নেক কাজ করেছে"। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজীরা বাদ পরে গেলো !!



বিশেষ ঘোষণা :
স্প্রিং মোল্লা কি : গাড়ির ড্যাশবোর্ডে ছোট কিছু পুতুল রাখে অনেকেই, যেগুলির ঘাড়ে স্প্রিং লাগানো থাকে। একটু নাড়া খেলেই মাথাটি ডাইনে-বামে-সামনে-পিছে দুলতে থাকে। স্প্রিং মোল্লার অবস্থা তেমনই। একটু নাড়া খেলেই টালমাটাল হয়ে যায়।


স্প্রিং মোল্লা কে : এখানে কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীকে কটাক্ষ করে স্প্রিং মোল্লা বলা হয় নাই। স্প্রিং মোল্লা বিশেষ একজন ব্যক্তি।
স্বীকারোক্তি : স্প্রিং মোল্লা আরবী ভাষার কিছু জানে না। সে কোরআনের বাংলা অনুবাদ পাঠ করে মাত্র।

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭
১৩টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শেখ হাসিনার শেষের ঘন্টা ও কিছু কথা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে আজ অনেক ঘটনাই মনে পড়ছে, কোনটা রেখে কোনটা লিখি তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে! তবে প্রথম যে ঘটনা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পলায়নের শেষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি নিষিদ্ধ

লিখেছেন আজব লিংকন, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১

আমি নিষিদ্ধ! হইলেও হইতে পারি!
শুনছি নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ। দূর থেইক্কা আপনি আমারে দেখেন। টুকটাক আমার লেখালেখি পড়েন। কই কখনো তো আপনারে লাইক কমেন্ট কিংবা খোঁচা মারতে দেখলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি।। আমি পদত্যাগ করিনি , ডাইনী করেছে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানা আপু

লিখেছেন সোহেল ওয়াদুদ, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

শুভ জন্মদিন আপু! আপনার জন্মদিনে সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন কামনা করছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আপনি এবং দুলাভাই অনেক প্রজ্ঞাবান মানুষ। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পদ ত্যাগ না করলেও ছেড়ে যাওয়া পদ কি শেখ হাসিনা আবার গ্রহণ করতে পারবেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯



তিনি ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে পদ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন। পদের লোভে তিনি আবার ফিরে এসে ছাত্র-জনতার হাতে ধরাখেলে তিনি প্রাণটাই হারাতে পারেন। ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেলেও তাঁর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×