আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটির ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে -
২-৩ : গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। (অনুবাদ : আল-বায়ান)
২-৩ : যারা গায়বের প্রতি ঈমান আনে, নামায কায়িম করে এবং আমি যে জীবনোপকরণ তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। (অনুবাদ : তাইসিরুল)
২-৩ : যারা অদৃশ্য বিষয়গুলিতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছি তা হতে দান করে থাকে। (অনুবাদ : মুজিবুর রহমান)
২-৩ : যাহারা ইমানের কাজ করে গায়েবের সহিত এবং কায়েম করে সালাত এবং তাহা হইতে, যাহা আমরা রেজেক দিয়াছি তাহাদের, তাহারা ব্যয় করে। (হুবহু অনুবাদ : ডা. জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী)
উপরে সূরা বাকারার ৩ নাম্বার আয়াতের ৪টি অনুবাদ দিয়েছি। প্রথম তিনটি অনুবাদে বলা হয়েছে গায়েবের প্রতি ঈমান আনতে, আর শেষের হুবহু অনুবাদে বলা হয়েছে গোপনে ইমেনের কাজ করতে।
এখানে স্প্রিং মোল্লা চিন্তায় পরে যায় কি করবে!! স্প্রিং মোল্লাতো আরবী ভাষার পন্ডিত না, কি করে বুঝবে কোনটি সঠিক?
আবার প্রথম তিনটি অনুবাদে রেজেক বা রিজিক দেয়ার সময় আল্লাহ বলেছেন "আমি", আর শেষের হুবহু অনুবাদে আল্লাহ বলেছেন "আমরা"। আল্লাহর এই আমি আর আমরা বলার চমৎকার একটি ব্যাখ্যা নেটে সামান্য খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে সুফিবাদে আল্লাহর এই "আমরা" বলার ব্যাখ্যা অন্যরকম।
এখন স্প্রিং মোল্লার মনে প্রশ্ন যাগে - কোরআনের আমরাকে আমি হিসেবে অনুবাদ করার অধিকার কে দিলেন?
আরেকটি বিষয়, এই ৩ নাম্বার আয়াতেই (সিরিয়ালের দিক দিয়ে কোরআনে প্রথম) সালাত কায়েম করার কথা বলা হলো।
স্প্রিং মোল্লা মনে মনে খুশী হয়, নামাজ পড়া বা আদায় করার কথা বলে নাই, বলেছে সালাত কায়েম করার কথা। নামাজ পড়া আর সালাত কায়েম করার মধ্যে পার্থক্য কি কি সেইটা ভিন্ন বিষয়।
এবার আসি ২৫ নাম্বার আয়াতে।
২-২৫ : যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই তাদেরকে জান্নাত থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে, ‘এটাই তো পূর্বে আমাদেরকে খেতে দেয়া হয়েছিল’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে হবে স্থায়ী। (অনুবাদ : আল-বায়ান)
আমরা দেখতে পাচ্ছি এই আয়াতে বলা হচ্ছে জান্নাত রয়েছে একাধীক। সেই সব জান্নাতের তল দিয়ে প্রবাহিত হবে অনেকগুলি নদী। জান্নাতীদের খেতে দেয়া হবে ফল, যা দেখতে হবে পৃথিবীর ফলের মত, এবং তাদের দেয়া হবে একাধীক হুর বা স্ত্রী অনন্তকালের জন্য।
এই ২৫ নাম্বার আয়াত পড়ে স্প্রিং মোল্লা মনে মনে ভাবে জান্নাতে যাওয়ার টিকিট পেলেন "যারা ইমান এনেছেন এবং নেক কাজ করেছে"। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজীরা বাদ পরে গেলো !!
বিশেষ ঘোষণা :
স্প্রিং মোল্লা কি : গাড়ির ড্যাশবোর্ডে ছোট কিছু পুতুল রাখে অনেকেই, যেগুলির ঘাড়ে স্প্রিং লাগানো থাকে। একটু নাড়া খেলেই মাথাটি ডাইনে-বামে-সামনে-পিছে দুলতে থাকে। স্প্রিং মোল্লার অবস্থা তেমনই। একটু নাড়া খেলেই টালমাটাল হয়ে যায়।
স্প্রিং মোল্লা কে : এখানে কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীকে কটাক্ষ করে স্প্রিং মোল্লা বলা হয় নাই। স্প্রিং মোল্লা বিশেষ একজন ব্যক্তি।
স্বীকারোক্তি : স্প্রিং মোল্লা আরবী ভাষার কিছু জানে না। সে কোরআনের বাংলা অনুবাদ পাঠ করে মাত্র।
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭