আমাকে প্রতি মাসেই ১৩টি বিদ্যুৎ বিল দিতে হতো। লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিতাম ব্যাংকে, অনেক সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিল দিয়ে আসতো। ডেসকো এক সময় পোস্ট-পেইড মিটার পালটিয়ে নতুন প্রি-পেইড মিটার লাগিয়ে দিয়ে গেলো। ভাবলাম এবার থেকে ঝামেলা কমলো। আসলে নতুন ঝামেলা যুক্ত হলো সেটা প্রথমে বুঝে উঠতে পারি নাই। প্রতি মাসে ১৩টি মিটারের বিল দেয়া নিয়ে নানান ঝামেলা হয়। কমন কিছু ঝামেলা আছে যা প্রায় সকলেই ফেস করেন। আজকে সেই সব কিছুর কথা বলবো না।
গত মাসে হঠাত করেই আমার একটি মিটারে অতিরিক্ত টাকা কাটা শুরু করলো। আমি একে একে ৮ বারে প্রায় ৬,৭০০ টাকা লোড করলাম। এই মিটারটি দিয়ে একটি পানি উঠানোর মটর, রাতের বেলা ঘন্টা খানেকের জন্য একটি দেড়টন এসি, একটি লাইট ও একটি ফ্যান চলে। প্রতি মাসে শীতের সময় ১,২০০ থেকে ২,০০০ টাকা এবং গরমের সময় ২,০০০ থেকে ৩,৩০০ টাকার মতো খরচ হয়।
কিন্তু গত মাসে এমন অস্বাভাবিক বিলের কারণে আমি একটু রাগারাগি করি বাসার লোকদের। আজকে আবার মিটারটির টাকা শেষ হয়ে গেলো। তাই আবার ১,০০০ টাকা লোড করে ডেসকোর ওয়েবসাইটে আমার মিটারটিতে ঢুকে দেখি গত ২৪শে জুন তারিখে ২৩.১ ইউনিট ব্যবহার হয়েছে, এবং সেই ২৩.১ ইউনিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৪,৫০৩.৯৭ টাকা। এমনটা হওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
আমি ডেসকোর হেলপ লাইনে কল করে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা কোনো সমাধান দিতে পারে নাই। তারা বাড্ডা জোনের একটি মোবাইল নাম্বার ধরিয়ে দিয়েছে। সেই নাম্বারটি বর্তমানে বন্ধ আছে। ঈদের ছুটি ওদের শেষ হয়েছে কিনা তাও জানি না। এবার হয়তো আফতাব নগরের অফিসে গিয়ে ধন্না দিতে হবে। অন্য কোনো উপায় কারো জানা থাকলে জানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩