একসময় Star Movies, HBO ইত্যাদি চ্যানেল গুলিতে প্রতি রাতেই হলিউডের মুভি দেখতাম। পরে আরো কিছু চ্যানেলে হিন্দি ডাব হলিউড মুভি দেখাতো। সেগুলিও আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। কত শত মুভি দেখেছি তখন!!
কিছু কিছুর নাম মনে আছে, কিছু কিছুর মনে নেই। কোনোটির হয়তো নাম মনে আছে, কাহিনী মনে নেই। কোনটি একাধীকবার দেখা হয়েছে, কোনটি একবার দেখেই আর দেখার ইচ্ছে হয়নি। হলিউডের পুরনো মুভি গুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো যে মুভিটির কথা মনে পরে সেটি হচ্ছে ১৯৭৩ সালে রিলিজ হওয়া হরোর সিনেমা The Exorcist. সেটিকে প্রথম ধরে রিলিজ ডেট হিসাবে আমার দেখা ১১ থেকে ১৫ পর্যন্ত মুভি সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য দিচ্ছি।
১১ : Back to the Future - I (1985)
টাইম ট্রাভেল নিয়ে চমৎকার একটি সাইন্স ফিকশন ক্লাসিক মুভি এই ব্যাক টু দ্য ফিউচার। এর মোট ৩টি পর্ব আছে। ব্যাক টু দ্য ফিউচার ট্রিলজি যে কতোবার দেখেছি তা গুণে রাখি নাই।
মুভিতে ছোট্টো শহর ক্যালিফোর্নিয়ার কিশোর মার্টি ম্যাকফ্লাই তার অদ্ভুত বিজ্ঞানী সিনিয়র বন্ধু ডক ব্রাউন এর আবিষ্কার করা ট্রাইম ট্রাভেল কারে করে প্রায় ৩০-৩৫ বছর অতীতে চলে যায়। সেখানে মার্টি তার পিতামাতার তরুণ বয়সে গিয়ে উপস্থিত হয়। এবার মার্টিকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে করে তাঁর তরুন অবিবাহিত বাবা-মা নিজেদের মধ্যে প্রেমে পড়েন। তা না হলে মার্টির অস্তিত্বই বিলিন হয়ে যাবে। এই সব কিছুর পরে মার্টিকে তার নিজের সময়ে ফিরে আসতে হবে এবং ডক ব্রাউনের জীবন বাঁচাতে হবে।
১২ : Rambo First Blood - II (1985)
ফার্স্ট ব্লাড - ২ মুভিটিও আমি অনেকবার দেখেছি। এটি র্যাম্বো সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা। র্যাম্বো একটি আমেরিকান অ্যাকশন মুভি সিরিজ। এখন পর্যন্ত ৫টি মুভি বেরিয়েছে এই সিরিজে।
দ্বিতীয় পর্বে দেখা যায় জন র্যাম্বো (সিলভেস্টার স্ট্যালোন) জেলে আছে। তার প্রাক্তন বস কর্নেল ট্রাউটম্যান প্রস্তাব নিয়ে আসে র্যাম্বোর কাছে। র্যাম্বো যদি ভিয়েতনামে আমেরিকান যুদ্ধবন্দীদের খুঁজে বের করে উদ্ধার করে আনে তাহলে তার অপরাধ মৌকুফ করে দেয়া হবে। র্যাম্বো প্রস্তাবে রাজি হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে আমেরিকান বাহিনীর কারণে তাঁর ভিয়েতনামী প্রেমিকা, কো বাও (জুলিয়া নিকসন) নিহত হলে প্রতিশোধের আগুণে জ্বলে উঠে র্যাম্বো।
১৩ : Aliens (1986)
অসাধারণ একটি সাইন্স ফিকশন মুভি এই Aliens, আমি অনেকবার দেখেছি।
এটি আসলে ৬টি মুভি নিয়ে এলিয়েন সিরিজের রিলিজ হওয়া দ্বিতীয় মুভি। যারা সাই-ফাই এলিয়েন সিনেমা পছন্দ করেন তারা এই সিরিজটি দেখে নিতে পারেন।
প্রথম মুভি Alien-এ দেখানো সেই গ্রহটিতেই আবারো একটি টিম পাঠানো হয় সেখান থেকে সকল তথ্য উদ্ধার করে আনতে। সেই দলের সাথে যেতে রিপলিকে বাধ্য করা হয়। এবং যথারীতি সেখানে গিয়ে রিপলির টিমের সকলেই মারা পরে এলিয়েনদের হাতে। শুধু রিপলি সেই গ্রহে বেঁচে থাকা একটি বাচ্চা মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারে।
সাই-ফাই মুভি সিরিজ Alien পোস্টে আমি এই সিরিজ সম্পর্কে প্রায় সকল তথ্য জানিয়েছি।
১৪ : The Fly (1986)
সাই-ফাই হরর মুভি এটি। ১৯৮৯ সালে এই মুভির একটি সিকুয়াল রিলিজ হয়।
বিজ্ঞানী সেথ ব্র্যান্ডেল (জেফ গোল্ডব্লাম) একটি টেলিপোর্টেশন ডিভাইস তৈরি করার চেষ্টা করতে থাকে। ঠিক তখন তার সাথে ভাব হয় বিজ্ঞান সাংবাদিক ভেরোনিকার (জিনা ডেভিস)। ব্র্যান্ডেল ভেরোনিকাকে তার ল্যাবরেটরিতে নিয়ে আসে এবং তার যন্ত্রের মাধ্যমে একটি মোজা টেলিপোড করে দেখায়। কিন্তু যখন যন্ত্রটি দিয়ে একটি বেবুনকে টেলিপোর্ড করার চেষ্টা কর তখন দেখা যায় বেবুনের শরীরটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। পরে ব্র্যান্ডেল তার যন্ত্রটির ত্রুটি দূর করে এবং নিজেই সেটি দিয়ে সফলভাবে টেলিপোর্ড হয়। ব্র্যান্ডেল ও ভেরোনিকার মধ্যে ভালোবাসা ও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই ব্র্যান্ডেল শরীরে নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তখন সে বুঝতে পারে টেলিপোর্ড হওয়ার সময় তার সাথে একটি মাছি ও ঢুকে গিয়ে ছিলো। ফলে তার শরীরে মাছির ডিএনএ ঢুকে গেছে। ধীরে ধীরে সে মাছিতে পরিনত হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সে আবার সুস্থ হওয়ার একটা উপায় খুঁজে পেলেও তা কাজে লাগাতে পারে না।
১৫ : Top Gun (1986)
টপ গান হলো আমেরিকান অ্যাকশন ড্রামা মুভি। এই কিছুদিন আগে ২০২২ সালেই এই মুভির একটি সিকুয়েল বেরিয়েছে।
মাভেরিক (টম ক্রুজ) একজন অস্থির, অতি আত্মবিশ্বাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা নেভাল ফাইটার পাইলটদের একজন।
উচ্চতর প্রসিক্ষণের জন্য তাকে পাঠানো হয় ক্যালিফোর্নিয়ার নেভাল ফ্লাইং স্কুলে। সেখানে তার পরিচয় হয় রূপসী অ্যাস্ট্রোফিজিক্স প্রশিক্ষিকা শার্লট ব্ল্যাকউডের সাথে। দুজনের মধ্যে চমৎকার একটি সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। কিন্তু মাভেরিকের বেপরোয়া আচরন, কমান্ড না মানার প্রবনতার কারণে তার উর্ধতন কর্মকর্তারা তাঁকে অপছন্দ করতে থাকে। অন্যদিকে সেরা হওয়ার দৌড়ে আকাশে তার সাথে প্রতিযোগীতা শুরু হয় আরেক তুখর পাইলট আইসম্যানের সাথে। অন্যদিকে তাঁর ফাইটার পাইল বাবার রহস্যময় অকাল মৃত্যু তাকে এখনও তাড়া করে ফেরে। মাভেরিককে মর্যাদাপূর্ণ টপ গান ট্রফি জিততে হলে এই সব কিছুর সাথে লড়াই করতে হবে। দমন করতে হবে তাঁর নিজের বেপরোয়া মনোভাব।
=================================================================
সিনেমা নিয়ে আমার আরো কিছু পোস্ট -
আমার দেখা হলিউড মুভি - ০১
আমার দেখা হলিউড মুভি - ০২
The Invisible Guest
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ১
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ২
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ৩
জনি ডেপের সিনেমা "Nick of Time"
টাইম-লুপ নিয়ে হিন্দি সিনেমা Looop Lapeta
আইনি ড্রামা সিনেমা - জয় ভীম (Jai Bhim)
সাই-ফাই মুভি সিরিজ Alien
২০২১ সালের বলিউডের যে হিন্দি সিনেমা গুলি দেখেছি
=================================================================