somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছাদের তুঁত ফল

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুঁত ফল
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : তিত ফল
Common Name : Mulberry, Red Mulberry, Common Mulberry, Silkworm Mulberry
Scientific Name : Morus rubra এবং Morus nigra



তুঁত বেরি জাতীয় ফল। তুঁত ফলকে ইংরেজিতে Mulberry বলে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত। তুঁত ফল রসাল আর সুস্বাদু হলেও এটি বাংলাদেশে ফলের জন্য কখনো চাষ কারা হয়নি। বরং এই তুঁত গাছ চাষ করা হয় এর পাতার জন্য। কারণ তুঁত গাছের পাতাই রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাবার। আমি যদিও বলছি ফলটি দেখতে সুন্দর, তবে কারো কারো কাছে এটি দেখতে বিছা-ছেঙ্গার মত মনে হয়।





ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো ফল মিলে একটি তুঁত ফল তৈরি করে। বাংলাদেশের তুঁত গাছে সাধারণত সারা বছরই অল্প-বিস্তর ফল হয়। তবে বেশী ফল আসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। ফলগুলি মার্চ-এপ্রিল মাসে পাকে। কাঁচা ফলের রং হয় সবুজ। ধীরে ধীরে ফলটি পাকতে শুরু করলে সেটি লাল রং ধারন করতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ পেকে গেলে কালচে হয়ে যায়। কালচে হয়ে যাওয়া ফলগুলিই খেতে সবচেয়ে রসাল আর সুস্বাদু হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও জুস তৈরি করা যায়।




তুঁত গাছ পত্রঝরা ছোট ঝোপালো আকারের বৃক্ষ। পাতা ঝরে যাওয়ার পরে বসন্তের শুরুতে আবার গাছে নতুন পাতা আসে। পাতা খসখসে, পাতার প্রান্তভাগ করাতের মত খাঁজ কাটা এবং অগ্রভাগ সূঁচাল।

সাধারণত শাখা কলমে চারা করা যায়। তাছাড়া শীতকালে গাছ ছাঁটাই করে ডাল মাটিতে পুঁতে রাখলেই চারা হয়ে যায়। এর ডাল খুবই নরম। এক সময় গ্রামে প্রচুর তুঁত গাছ দেখা যেতো, এখন সংখ্যায় খুব কমে গেছে।



আগেই বছেছি তুঁত গাছের পাতা রেশম পোকার মথের প্রিয় খাবার। এই মথের লালা থেকে রেশমের গুটি তৈরি হয়। সেই গুটি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়া শেষে রেশমি সুতা তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ করা হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তাছাড়া নাটোর, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, সিলেটে ইত্যাদি এলাকাও তুঁত গাছের চাষ হয়। তবে তা ফলের জন্য নয় বরং রেশম পোকার খাদ্যের জন্যই তুঁত গাছ চাষ হয়। একটি গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করা যায়। গাছের উচ্চতা ৬ ফুট হলেই কেটে দিতে হয়, এতে করে গাছে অধিক পাতা পাওয়া যায়। তুঁত গাছ আমাদের রেশম শিল্পের জন্য অপরিহার্য।

শালিক, টিয়া, বুলবুলি, টুনটুনিদের কাছে এই তুঁত ফল খুবই প্রিয়।



ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১১/১২/২০২০ ইং
ছবিগুলি মুঠোফোনের ক্যামেরায় তোলা

=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
ফল ফলাদি - ০১
ফল ফলাদি - ০২
ফল ফলাদি - ০৩
ফল ফলাদি - ০৪
ফল ফলাদি - ০৫
ফল ফলাদি - ০৬ : তুঁত ফল
ফল ফলাদি - ০৭
ফল ফলাদি - ০৮

=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিটিংয়ের জন্য কেন এত তোড়জোড়?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:১২



অর্থাৎ চীনের সহায়তায় লালমনিরহাটের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এয়ার বেইস চালুর চেষ্টা, তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীনকে নিয়ে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ও চীনে গিয়ে ডক্টর ইউনূসের সেভেন সিস্টার্স সম্পর্কিত বক্তব্য ভারতের ভালো লাগেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা এবং বাংলাদেশে এর প্রতিফলন

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:১৮



গত বছরের মতো এবছর আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা জানাননি। রোজার শুরুতেও “রামাদান করিম” শুভেচ্ছাবচনটি কেউ পাঠায়নি। আগে যখন ট্রুডো ঈদের ঠিক আগে আগে সরকারি দপ্তর থেকে কানাডার মুসলিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

ছবিসহ মিনি পোস্টারটি এআই দিয়ে তৈরিকৃত।

থেঁতলানো চোয়াল, ভেঙ্গে গেছে দাঁত, রক্তাক্ত অবয়ব—তবু ৪০ কিমি বাস চালিয়ে যাত্রীদের বাঁচালেন! এই সাহসী চালকই বাংলাদেশের নায়ক... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর পর যা হবে!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪২



বেহেশত বেশ বোরিং হওয়ার কথা।
হাজার হাজার বছর পার করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। দিনের পর দিন একই রুটিন। এরচেয়ে দোজক অন্য রকম। চ্যালেঞ্জ আছে। টেনশন আছে। ভয় আছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফ্যাসিবাদ!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৮



অবকাশের দিনগুলোর ছুটির ফাঁদে নিজেকে নতুন করে চেনাই-
আমার বহুদিনের চেনা শহর।
কতকিছু বদলে গেছে নাকি তারোধিক বদলে গেছে,
সুশীলের আবরণে অসুশীল মানুষ?
শৈশবে শহরটা যাদের কাছে জমা রেখে গিয়েছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×