অন্যান্য নাম : রুক্সিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর।
ইংরেজি ও কমন নাম : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea
আদিভূমি : রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া।
গাছের ধরন : রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ
গাছের উচ্চতা : সাধারণত এরা ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে এরা সর্বচ্চ ১২ ফুটের মত লম্বা হতে পারে।
গাছের বৃদ্ধির হার : কম বর্ধনশীল।
গাছে কাঁটা : নেই।
ফুল : একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির বিন্যাস তারার মতো। রঙ্গনের এক একটি থোকায় প্রায় ১৫ – ৫০ টির তম ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। লাল রঙের থোকার মধ্যে হঠাত হঠাত সোনালী বা ঘিয়ে রঙের একটা দুটা ফুল ফুটে থোকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়।
ফুল ফোটার সময় : সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফুল ফুটলেও সারাবছরই কম বেশী ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বর্ষায় রঙ্গন ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে।
ফুল ফুটার ধরন : দীর্ঘস্থায়ী ফুল, পর্যায়ক্রমে ফুটে।
ফুলের রং : কমলা, কমলা লাল, গোলাপী, হলদে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা।
ফুলের ঘ্রান : সুগন্ধিহীন।
ফল : গাছে ফল হয়।
পাতা : রঙ্গনের পাতার ঘন বিন্যাসের হয়। পাতা সরল, উপবৃত্তাকার প্রায় ৪ ইঞ্চির মত লম্বা হয়। কচি পাতা বাদামি রঙে আর পরিণত পাতা চকচকে, মসৃণ গাঢ় সবুজ রঙের। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ।
আকর্ষিত হয় : হামিংবার্ড, প্রজাপতি।
আরো কিছু তথ্য : রঙ্গনের অপর নাম রুক্মিনী হিন্দু দেবীর নামের থেকে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রঙ্গন ফুলের জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে বৌদ্ধরা রঙ্গনের থোকা থোকা ফুল, ডাল, পাতা সংগ্রহ করে ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বৌদ্ধরা এই ফুলকে বিযু ফুল বলে জানে। বৌদ্ধ মন্দিরে পুজার থালায় শোভাপায় রঙ্গন। ফল থেকেও চারা করা সম্ভব। পরিপক্ক ডাল লাগালে বা কলম করেও চারা তৈরি করা যায়। নিজে নিজে এই গাছ জন্মে না।
তথ্য সূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত। তথ্যে কোন ভুল থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো।
ছবি : বিভিন্ন সময় নানান যায়গায় বেড়াতে গিয়ে এই ছবিগুলি তুলেছি আমি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪