অনেক দিন আগে পড়া কালো বিড়াল কিছুটা ভৌতিক আবার কিছুটা রহস্য মেশানো সাতটি গল্পের অনুবাদ সংকলন। খসরু চৌধুরীর অনুবাদকৃত বেশ পুরনো এই বইটি অনেকদিন যাবত আমার সংগ্রহে থাকার পরেও পড়া হয়ে ওঠেনি অনেক দিন। আর যখন পড়া শেষ করলা তখন বেশ কিছুটা হতাশ হলাম। গল্পগুলি মনে হয়েছে খুবই সাধারণ ও ম্রিয়মাণ।
প্রথম গল্পটি একজন মানুষ ও তার প্রিয় কালো বিড়ালটিকে নিয়ে। বিচিত্র কোন কারণে লোকটি ধীরে ধীরে তার প্রিয় বিড়ালটিকে আর সহ্য করতে পারে না, এবং এক সময় বিড়ালটিকে নিজ হাতে মেরে ফেলে। কিন্তু তার পর থেকেই কালো বিড়ালের ছায়া তাকে আর শান্তিতে থাকতে দেয় না।
দ্বিতীয় গল্পটির নাম “দ্য ক্যানটারভাইল গোস্ট”। এই গল্পটি বেশ লেগেছে আমার। একটি অসহায় ভূতের করুন কাহিনী, বেচারা অনেক চেষ্টা করেও একটি পরিবারের কোন সদস্যকেই ভয় দেখাতে পারে না। বরং পরিবারের সকল সদস্যের নিদারুণ উপহাস আর টিটকারির জ্বালায় তাকে লুকিয়ে থাকতে হয় সবার কাছ থেকে।
“নিরাপত্তা” ৩য় গল্পটির নাম। ভালো লাগেনি মোটেও। একজন লোকের ঘরের সমস্ত আসবাবপত্রই নিজে থেকে হেঁটে হেঁটে চলে যায় কোথায় যেন, মালিকের চোখের সামনে দিয়েই। পুলিশ কিছুতেই খুঁজে পায়না আসবাব গুলি। অনেক দিন পরে সেই লোকই আর আসবাবগুলি দেখতে পায় একটি আসবাব বিক্রেতার দোকানে। পুলিশের কাছে বিষয়টা জানানোর পর পুলিশ গিয়ে আর সেই আসবাব বা দোকানি কাউকেই খুঁজে পায় না। এবার লোকটি ভয় পেতে থাকে আবার সেই দোকানি তার বাসার সকল আসবাব তার সামনে দিয়েই হাঁটিয়ে নিয়ে যাবে।
৪র্থ গল্পের নাম “ইশকাপনের বিবি”। অদ্ভুত তিনটি কার্ড যা পরপর খেললে জুয়াতে জিতা যাবে নিশ্চিত। কিন্তু এই কার্ডের কথা যে জানবে সে শুধু তার জীবনে পরপর তিনদিন তিনবার এই কার্ডগুলি খেলতে পারবে। এবং তিনদিন খেলা হয়ে গেলে বাকি জীবনে আর কখনোই জুয়া খেলতে পারবেনা।
৫ম হচ্ছে “প্রেমের ভূত”। বই পাগল একজন লোকের উপরে প্রেমের ভূত সওয়ার হয়ে তাকে দিয়ে কিকি করিয়ে নিতে পারে তাই বর্ণনা করা হয়েছে এই গল্পে। ভালো লাগবে আশা করি।
আর দুটি গল্প “আছে কচ্ছপ” ও “সাহস” নামে। তেমন উল্লেখ করার মতো মনে হয়নি আমার কাছে।
তবুও প্রায় প্রতিটি বইয়েই কিছু কিছু উক্তি বা কথা থাকে যা ভালো লাগে, তেমন কিছু উক্তি বইটি থেকে, আমার পছন্দের যা প্রাশিত হবে আগামী পোস্টে…..