অনেক দিন আগে পড়েছিলাম হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের অসাধারণ এক বই ক্লিওপেট্রা এর বইটির বাংলা অনুবাদ। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশীত বইটির অনুবাদ করেছেন সায়েম সোলায়মান।
বইটি পড়ার সময় অনেকগুলি এপিগ্রাম চোখে পড়েছিল আর আমার স্বভাব মত সেগুলি দাগিয়ে রেখেছিলাম। আজ সেগুলিই শেয়ার করছি।
১/ নারীর জিভ ছাড়া পৃথিবীর আর সব কিছুকেই বোধহয় বেঁধে রাখা সম্ভব।
২/ কেবলমাত্র বোকা আর মূর্খরাই গোপন কথা বলে দেয়। জ্ঞানী আর সাহসীরা চুপ থাকে, উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করে।
৩/ সৌন্দর্যের দংশনে বিষধর সাপে কাটা মৃত মানুষের মতো স্থির হয়ে গেলাম আমি।
৪/ ফলের পোকার মতো কাজ করতে হবে আমাদের। যে পোকা ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে ফলকে, কিন্তু বাইরে থেকে বুঝা যায়না ব্যাপারটা।
৫/ কোনো মেয়ে যদি তোমাকে ভালো না বাসে বা অন্ততপক্ষে পছন্দ না করে, তাহলে ওকে বিশ্বাস কোরো না। ওদের মতিগতির কোনো ঠিক নেই-ওদের আবেগ সমুদ্রের ঝড়ের মতো। কখন আসে, কখন যায়, টের পাওয়া যায় না।
৬/ তাড়াহুড়ো কতরে গিয়ে ভুল লোককে বেছে নেবেন না দয়া করে।
৭/ নর-নারীর ভালোবাসার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। ওই আবেগ শুরু হয় পাহাড়ের বুকে জন্ম নেওয়া ঝরনার মতো-ছোট্ট একটা জলধারা, যাকে গুরুত্বই দেয় না কেউ। আর শেষ হয় বিরাট কেনে নদীর মোহনায়, অথবা হয়তো কারও ক্ষেত্রে সমুদ্রে। সাঁতার না জানলে ডুবে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না প্রেমিকের।
৮/ আমার মতে ভালোবাসা হচ্ছে আশার সমাধি, বিশ্বাসের ধ্বংসস্তূপ।
৯/ যতদিন আঘান না আসে, ততদিন প্রেম খুবই মধুর।
১০/ সুখ কি, তা না জেনেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
১১/ সময়ের চেয় বড় চিকৎসক আর নে্ই। মনের ঘা, শরীরের ঘা দুটোই একসময় শুকিয়ে দেয় সে।
১২/ যতটুকু পাই, ঠিক ততটুকুই চাই; আবার যতটুকু চাই, ঠিক ততটুকুই পাই।
১৩/ ভাগ্যকে দোষ দিয়ে আমরা পাপীরা নিজেদেরকে হালকা করতে চাই। অথচ একই পাপ আরেকজন করলে ওকে অপবাদ দিতে, সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে বাধে না আমাদের। ভাগ্যে লেখা ছিলো- বলে ক্ষমা করে দেই না লোকটাকে।
১৪/ পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত আবেগের নাম প্রেম এবং একমাত্র কোকারাই সেই আবেগে আক্রান্ত হয়।
১৫/ অকাজে বীরত্ব অপচয় করার চেয়ে আর বড় অপচয় নেই এই পৃথিবীতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪