হুমায়ূন আহমেদের বইগুলির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক যেটা আমার কাছে মনে হয় তা হচ্ছে "এপিগ্রাম"। আজ পড়ে শেষ করলাম উনার লিখা "হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী"। এই বইয়ের কিছু এপিগ্রাম যা আমার চোখে পড়েছে.....
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী
১। ভালো কাজ চিন্তা ভাবনা করে করতে হয় না। মন্দ কাজ অনেক চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়।
২। সব এসিড ভয়ংকর না। ভিনিগার এসিড হলেও সুখাদ্য।
৩। এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে যে কিছুই জানে না, যেমন চর বছরের নিচের বয়সের শিশু।
৪। মানুষ মীথ তৈরি করতে ভালোবাসে।
৫। পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস কিন্তু আলতাকে সব সময় পায়ে পরে থাকতে হয় এর উপরে সে উঠতে পারে না।
৬। বুদ্ধিহীনরাই তর্কবাজ হয়। বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়।
৭। “বাটারফ্লাই এফেক্ট” নামে একটা বিষয় আছে। পৃথিবীর এক প্রান্তে প্রজাপতির পাখার কাঁপনে অন্য প্রান্তে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হতে পারে এই হলো বাটারফ্লাই এফেক্ট।
৮। হারিয়ে যাওয়া সব সময়ই আনন্দের।
৯। বাঙ্গালী মেয়েরা দামি জিনিস তা সে যতই ক্ষতিকর হোক, ফেলে না। ডেট এক্সপায়ার হওয়া অষুধও জমা করে রাখে।
১০। সাঁতার জেনে মরার চেয়ে সঁতার না জেনে মরে যাওয়া ভালো। অল্প পরিশ্রমে মৃত্যু। বাঁচার জন্যে হাত পা ছুড়ে ক্লান্ত হতে হয় না।
১১। এই পৃথিবীতে সবই সম্ভব আবার সবই অসম্ভব।
১২। বিচিত্র কারণে অন্যের দুর্দশায় আমরা আনন্দ পাই।
১৩। মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক।
১৪। তুচ্ছ ঘটনার বড় পরিবর্তন হয়।
১৫। সুখী সেই জন যার কেউ নাই।
১৬। মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয়। অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালবাসার সন্ধান, ঈশ্বরের সন্ধান।