১। আমার একটা ফেসবুক একাউন্ট খোলার ইচ্ছা হলো। একটা একাউন্ট ছিলো,বেশ আগে। ডিএক্টিভেট করে দিয়েছিলাম। আজকে আবার ইচ্ছে হলো, খুলে ফেল্লাম। বেশি না , ঠিক পনের মিনিট পর এটাও ডিএক্টিভেট করে দিলাম। পুরনো স্মৃতি গুলো সব এক সাথে ভেসে আসতে লাগলো চোখের সামনে।ফেসবুক আমার জন্য না।
"তুমি ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে ''
২। দিনে আমার সবচেয়ে প্রিয় সময়টা হলো নাইট করে এসে বিছানায় আধশোয়া হয়ে চোখ বন্ধ করে থাকা মুহূর্ত গুলো। মরার মতো একটা ঘুম দিয়ে শরীর বেশ ফ্রেশ লাগে।
৩। আমি মেয়ে পটাই্তে পারি না , মেডিকেল লাইফে ব্যাপারটা তেমন পাত্তা দেই নাই। এখন আফসোস হয় , লুল দোস্ত গুলারে পচাইয়া মাটিতে মিশাইয়া ফেলতাম , এখন তারা আমারে পচায়,হায় সময়ের কি প্যাচ।
৪। আমাদের শিক্ষিত সমাজের মাঝেও ডাক্তারদের নিয়ে বেশ বাজে ধারণা বিদ্যমান। এটাকে মিথ্যা বলা যাবে না কোন ভাবেই। আমি নিজেও এই লাইনের লোক হয়েও বিরক্ত হই প্রায়ই। তবে ব্যাপারটা অতিরন্জিত করা হয় বেশ খানিকটা। পরশুদিন হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে এক রোগি ডায়ালাইসিস চলাকালীন হঠাৎ করেই রেসপিরাটরি এরেস্ট এ যায়। রেসপিরেটরি এরেস্ট হলো রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে , যেকোন মোমেন্টে মারা যাবে , অতি দ্রূত কোড ব্লু কল করে সিপিআর শুরু করা হলো। রোগীর ছেলেকে ডাকা হল,কাউন্সিলিং করে পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য। উনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমাদের হোল এক্টিভিটি ভিডিও করছিলেন। রোগী কে ফিরিয়ে আনা যায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে,ভিটি ম্যানেজ করতে দু বার ডিসি শক দিতে হয়। আইসিইউ তে শিফ্ট করার পর রোগীর ছেলে বলে তাকে ঠিক ভাবে সিপিআর দেয়া হয়নি, সে ইউটিউবে দেখেছে সিপিআর কিভাবে দিতে হয়। জাতি এক সাথে গলা মেলায়, হ্যা হ্যা আপনি ঠিকই বলেছেন ,এরা গলা কাটা ডাক্তার।
বি:দ্র:এই রোগিকে তারা ১ দিন আগে নিয়ে গিয়েছিল অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাবে বলে, রিস্ক বন্ড সাইন করে, এক দিন পরে নিয়ে আসে সিভিয়ার রেসপিরেটরি ডিসট্রেস নিয়ে ।
"আমি পাইনা ছুতে তোমায়
আমার একলা ভীষণ লাগে''
গুড নাইট।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:১৬