গানের পিছনের গল্প গুলো আসলে বেশ আকর্ষণিয় হয়


একটা গানের কথা বলি আজকে। "আমারে আসিবার কথা কইয়া মান করে রাই রইয়াছ ঘুমাইয়া"
রাধা কৃষ্ণ এই দুইজনকে আমরা সবাই প্রায় চিনি। কিন্তু তাদের প্রেম কাহিনীর মাঝে বেশ মজার কিছু গল্প ছিল।
আগে গানের কথা গুলো বলি। তার পরে গল্প গুলো আলাদা আলাদা করে বলা যাবে।
//আমারে আসিবার কথা কইয়া
মান করে রাই ,রইয়াছো ঘুমাইয়া
রাধেগো
আমার কথা নাই তোর
প্রেম করছো আয়ানের সনে
শুয়া আছো নিজ পতি লয়া
আমি আর কত কাল থাকবো রাধেগো
দুয়ারে দাঁড়াইয়া ।
রাধেগো
দেখার যদি ইচ্ছা থাকে
আইসো রাই যমুনার ঘাটে
কাইল সকালে কলসি কাঙ্খে লয়া
আমি জলের ছায়ায় রূপ হেরিবো গো
কদম ডালে বইয়া
রাধেগো
নারী জাতির কঠিন রীতি
বোঝেনা পুরুষের মতি ,
সদাই থাকে নিজেরে লইয়া
তুমি করছো নারী রুপের বড়াই গো
রাধারমণে যায় কইয়া//
কথা ও সুর সাধক : রাধা রমণ ।
রাধা আর কৃষ্ণের মাঝে কথা আদান প্রদানের উপায় ছিল তাদের দুইজনেরই বন্ধু সুবলের। রাধা একবার সুবলকে দিয়ে খবর পাঠায় কৃষ্ণ কে কুঞ্জ বনে আসার জন্যে। সেই মতন কৃষ্ণ অপেক্ষা রত থাকলেও সেইদিন রাধা আসতে পারে নি কারণ সেইদিন তার স্বামী আয়ান ঘোষ ঘরেই ছিল। বাই দ্যা ওয়ে রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী ছিল মূলত পরকিয়া, এবং রাঁধা সম্পর্কে কৃষ্ণের মামী


"আমারে আসিবার কথা কইয়া মান করে রাই রইয়াছ ঘুমাইয়া"
"আমার কথা নাই তোর মনে
প্রেম করছ আয়ানের সনে
শুইয়া আছ নিজ পতি লইয়া
আমি আর কতকাল থাকবো রাঁধে গো
দুয়ারে দাড়াইয়া"
এই অপেক্ষার পরে কৃষ্ণ সুবলের সাথে কথা বলার সময়ে তাকে দিয়ে আবার খবর পাঠানোর জন্যে বলে
"দেখার যদি ইচ্ছা থাকে আইসো রাই যমুনার ঘাটে
কাল সকালে কলসি কাঁখে লইয়া"
তখন সুবল বলে রাঁধা কলসি কাঁখে যমুনার ঘাটে কৃষ্ণের সাথে দেখা করতে আসলে সে অসতী হিসেবে তার বদনাম হবে। সেই কথার প্রেক্ষিতেই কৃষ্ণ গেয়ে ওঠে আবার
"আমি জলের ছায়ায় রূপ হেরিবো গো
কদম ডালে বইয়া"
পুরো কাহিনীটাই আসলে এমন কিছুই ছিল। সত্য কিংবা মিথ্যা জানা যায় নি। তবে এর চাইতে ভাল কোন ব্যাখ্যাও নেই আমার জানা মতে


"নারী জাতির কঠিন রীতি
বোঝেনা পুরুষের মতি ,
সদাই থাকে নিজেরে লইয়া
তুমি করছো নারী রুপের বড়াই গো
রাধারমণে যায় কইয়া"

এমন অনেক গল্প নিয়েই আসলে এক একটা গানের সৃষ্টি। এর ছিটে ফোটাও হয়তো আমাদের জানা নেই

ডাউনলোড লিংকঃ এইখানে গুতান