somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কে বা কারা যুদ্ধাপরাধী সেটা কীভাবে নির্ণয় করা যাবে-একটি অনবদ্য বিশ্লেষন!!!

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কে বা কারা যুদ্ধাপরাধী সেটা কীভাবে নির্ণয় করা যাবে এ ব্যপারে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্দদ গোলাম রাব্বানী চমত্কার বিশ্লেষন করেছেন। পাঠকদের জন্য চুম্বক অংশ তুলে ধরছি।

"মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন কোন ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত ছিল তার তথ্য পাওয়া যাবে তত্কালীন প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথিগুলোয়। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সে সময় কারা, কিভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করেছ, তার রিপোর্ট প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত ইসলামাবাদে ঊর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠাত এবং সেগুলোর কপি এখনকার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যাবে। একটি আইনি প্রশ্ন উঠতে পারে যারা এই দলিলগুলো তৈরী করেছিলেন কিংবা এগুলোয় যাঁদের স্বাক্ষর আছে তাঁদের না পাওয়া গেলে তাঁদের স্বাক্ষর ছাড়া দলিলগুলো কীভাবে বিচারকালে প্রমাণিত হবে। প্রশ্নটির উত্তর হচ্ছে স্বাক্ষ আইনের ৯০ ধারায় এগুলো বিচারকালে উপস্হিত করা মাত্র আপনা আপনি একজিবিট বা প্রদর্শন হিসেবে চিহ্নিত হবে। স্বাক্ষ আইনের ৯০ ধারায় বলা হয়েছে, কোন দলিল ৩০ বছরের পুরোনো হলে আদালত এই অনুমিতি নেবে যে দলিলটির স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর সঠিক এবং দলিলটি সঠিকভাবে তৈরী করা হয়েছিল। তত্কালে প্রচারিত লিফলেট ও সংবাদপত্রে ছাপা বিবৃতি প্রমান হিসেবে উপস্হিত করা যাবে। এ গুলো স্বাক্ষ আইনের ১৭ ধারা, যেখানে স্বীকারোক্তির সংগা দেওয়া আছে, তার আওতায় স্বাক্ষ হিসেবে গ্রহনযোগ্য হবে"।

বিচারপতি রাব্বানীর মতে যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের ফৌজদারি আদালতের কাঠগড়ায় উঠানোর জন্য বাংলাদেশ দন্ডিবিধির ১২১, ১২১ক, ১২২ ও ১২৩ক ধারা চারিটই যথেষ্ট। তিনি আরও বলেছেন যে, বিশেষ ক্ষমতা আইনের (১৯৭৪ সালের ১৪ নং আইন)-এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী গঠিত বিশেষ ট্রাইবুনালে দন্ডবিধির উপিরউক্ত ১২১, ১২১ক, ১২২ ও ১২৩ক ধারায় অভিযুক্তদের বিচার হবে।

চমত্কার আইনি পথ বাতলে দেয়ার পর বিচারপতি রাব্বানী উপসংহার টেনেছেন আরও চমত্কার করে:

"প্রিয় পাঠক, দেখা যাচ্ছে: এক. যুদ্ধাপরাধীদের নির্ণয় করতে যে দলিলসংক্রান্ত প্রমানগুলো, যেগুলো অত্যন্ত নির্ভরযোগ্যও বটে, সেগুলো সরকারের হেফাজতে আছে। দুই. যে কোন গুরুতর অপরাধের বিচারে আদালতের সামনে রাষ্ট্রকেই বিচারপ্রার্থী হতে হয়"।

তথ্যসুত্র: ৬ নভেম্বর ২০০৭, দৈনিক প্রথম আলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৯
২১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরাকানে 'স্বাধীন মুসলিম রাজ্য' প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১২


বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি একটি ‘স্বাধীন মুসলিম রাজ্য’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা আসলে হাস্যকর এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি , এবং চীনের ভূ-রাজনীতির ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

১০০ টা নমরুদ আর ১০০ টা ফেরাউন এক হলেও একজন হাসিনার সমান নৃশংস হওয়া সম্ভব ছিলো না!!

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫২

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্য কবর খুঁড়তে হয়েছিলো ২ টা।
একটা না।
ফাঁসির ৪ ঘন্টা আগেও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী জানতেন না, আজকেই তাকে যেতে হবে।
ফ্যামিলি যখন শেষবারের মতো দেখা করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিন নিয়ে এতো লাফালাফির কি আছে?

লিখেছেন অপলক , ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:১০

ফিলিস্তিনে গত ৩ বছরে মারা গেছে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫১ হাজার। বাংলাদেশে ১৯৭১এ মাত্র ৯মাসে মারা গেছে ৩ লক্ষ, যদিও শেখ মুজিব বলেছিল, ৩০ লক্ষ।
কোথায় ৫১ হাজার কোথায় ৩০ লক্ষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন ...

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৯





****
আরো দেখতে চাইলে ভেতরে আসেন ...







...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুগে-গুজবে বাংগালী....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

হুজুগে-গুজবে বাংগালী....

"হুজুগে-গুজবে বাংগালী"- বলে আমাদের একটা দুর্নাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। গুজব আর হুজুগ যমজ ভাই।
গুজব বা হুজুগের সবকিছু মানুষ কিনতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্যোতনা দেয় অন্ধ বিশ্বাস।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×