আমি লেখক নই... হুদাই ব্লগে ব্লগর ব্লগর করি
আমি দাতা হাতেম তাই নই ... কিন্তু ২/৫ টাকা মাঝে মাঝে মসজীদের দান বাক্সে ফেলি পরকালের লাভের আশায়

আবার আমার কোটি টাকাও নাই যে যখন তখন চাইলে ৫,০০০/১০,০০০ টাকা দিয়া দিমু... এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমি আসলে অনেক কিছুই না... এত অসম্পুর্ণতার মাঝেও হুট হাট ফাষ্ট বেঞ্চিতে বসে পরি


বন্ধুরা... এই লাস্ট বেঞ্চে থাকা আমরাই... প্রাপ্তীর জীবন বাঁচিয়ে তুলতে যুদ্ধ করেছি ... আমরা শ্বাশত সত্যর জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছি... আমরা উপমাকে বাচিয়ে তুলতেও লড়ে গেছি... আপনাদের বাড়িয়ে দেয়া হাত ধরে এই প্রাপ্তী... শ্বাশত সত্য... উপমারা আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে... এই স্বপ্ন নির্মাণ কিন্তু আপনাদের হাত ধরেই...
শিখী আমাদের আরেক বন্ধু (বিস্তারিত যীশুর পোস্টে )... ক্যান্সারে জর্জরীত... ধরা পড়ার পর একসপ্তাহের মধ্যে অপরেশন করাতে হলো। মধ্যবিত্ত পরিবার কষ্ট করে অপারেশনের টাকা জোগার করলো, অপরেশন হলো। তবে এখানেই শেষ না, এরপর আছে নিয়মিত থেরাপি নেয়া। প্রতিবার থেরাপি নিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত, মাসে দুইবার। ৩টা থেরাপি নিতে পেরেছে সে, তাতেই আরও লাখ খানেক টাকা লেগেছিলো। সামনে আরও ৯টা বাকি। প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার প্রয়োজন অবস্থা যা দাড়িয়েছে, তাতে এখন সামনের থেরাপির টাকাই জোগাড় করা হয়নি।
আগামী ৩ এপ্রিল, শুক্রবার, সাড়ে ৩ টা থেকে। দুইটা ছবির প্রদর্শনি হবে, অনিমেশ আইচের 'গরমভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প' আর অস্কার পাওয়া 'স্লামডগ মিলিয়নিয়ার'।
এখন যে জিনিসটা করা দরকার তা হলো প্রদর্শনীর টিকেট নিজে কেনা আর সম্ভব হলে বিক্রির ব্যবস্থা করা। টিকিট পাওয়া যাবে শাহবাগ আজিজ মার্কেটের কিংবদন্তিতে (৩য় তলা) ২৯, মার্চ বিকেল থেকে। আর যদি কেউ বেশি করে নিতে চান আরও অনেকের জন্য, আমাদেরি প্রিয় ব্লগার যীশুর সাথে যোগাযোগ করে নিতে পারেন (যীশুর মোবাইল- ০১৭১১৫০৪৬৭৮)। আর শো'এর আগে মিলনায়তনের সামনে তো টিকিট পাওয়া যাবেই।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় শিখীর জন্য চলে আসুন বায়তুল মোকারমের উত্তর পাশে, মৈত্রী মিলনায়তনে (মুক্তি ভবন (৫ম তলা), ২১/২, পুরানা পল্টন, ঢাকা)।
শুক্রবার হোক ব্লগারদের আরেকটা সমাবেশের দিন। বিকেল ৩টায় শিখীর পাশে দাড়িয়ে জীবনের দাবীকে আরেকবার প্রতিষ্ঠিত করি।
প্রতিদিন কত অসহায় মানুষ দেখি আমরা? দশ? বিশ? শ? দেখি হয়তো, গুনি না। ঢাকার ভিক্ষাবৃত্তি একটা পেশা বলে ভিক্ষুকদের জন্য সহমর্মিতা থাকে না, খেটে খাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাড়ায় মধ্যবিত্তদের, নুন আনতে পান্তা ফুরানোদের। অসুস্থ্য হলে ধার করে, বাড়ী বেচে, গয়না বেচে, নিঃস্ব হয়। আমার মা বলেন, স্বর্ণ ঘরে রাখার এই সুবিধা, বিপদের সময় কাজে লাগে। বেশীরভাগ মধ্যবিত্তের সোনার অলংকার প্রীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল আপদকালিন সেভিংস। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট শিখীর মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্যানসার চিকিৎসার ভার বহন করা কেমন দুঃসাধ্য হতে পারে সহজেই বোঝা সম্ভব। প্রথম ধাক্কা সামলাতে সামলাতে সব সেভিংস নিশ্চিহ্ন হয়েছে, তারপরে......চিকিৎসা বাকী রেখে শিখী অভিমানী হবে ইশ্বরের সাথে, পালি ও সংস্কৃতি ভাষার শিক্ষক হবার স্বপ্ন অধরা রেখে নিজেই হয়ে যাবে অপ্রচলিত।
আমাদের চোখের ভেতরে ঢুকে বসে থাকে বুনো বুনো কালসাপ। সব নিরুদ্দেশ যাত্রায় আমরা অন্ধ, সুতীব্র অহংকারে দিকভ্রম। এসব আমাদের মনুষ্য সীমাবদ্ধতা। কিন্তু প্রিয় বন্ধুটি অসুস্থ্য হলে আমরা সহমর্মিতা চাই, নিজের বিপদে চাই অন্যের আবির্ভাব, আয়োজন, সহযোগিতা।
কৃতজ্ঞতা : ব্লগার কৌশিক ও যীশু
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮