সন্ধ্যার বেশ কিছুক্ষণ পর চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয় স্টেডিয়ামে পৌছুলাম কয়েকজন বন্ধু। চাটগাঁর বাতাসে উড়ছে তখন মাসলম্যান মহিউদ্দীন পরাজিত হচ্ছে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মিডিয়াতে ফলাফল আটকে রাখার কথাটি চাওড় করে দিসেন অলরেডি। রাত আটটার পর থিকাই ফলাফল ঘোষণা স্টপ রাখসে রিটার্নিং অফিসার। ব্যাপার তখনই সন্দেহ হৈসিল। স্টেডিয়ামে বিএনপি সমর্থকদের ব্যাপক ভিড়, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে রাখসে জনপথ। অবিলম্বে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়ে মিছিল শুরু করেছে তারা। তার কিছু পর দেখলাম জড়ো ছাত্রলীগের মারমুখো পোলাপান। জয় বাংলা আর জাহাজ শ্লোগান তারাও দেওন শুরু করসে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে লাগল দ্রুত। ছাত্রলীগের পোলাপান হাতে হকিষ্টিকসহ হালকা যন্ত্রপাতি লই মারমুখো শ্লোগান আর কিছুক্ষণ পর পর বিএনপি সমর্থকদেরকে ধাওয়া। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের পোলাপানের মুখে শ্লোগান শুনলাম: ভোটচুরির নির্বাচন মানি না মানব না। তার কিছু পর দেখলাম ছাত্রলীগের পোলাপান অতিরিক্ত মারমুখো হয়ে বিএনপি কর্মীদের আক্রমণ করে দৌড়ানি দিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে একক অবস্থান নিল। এবং ভোটের ব্যালটবক্স সহ যেসব গাড়ি ঐ এলাকায় প্রবেশ করতে উদ্দত সবগুলিকে আটকে দিল। পুলিশ অনন্যোপায় হয়ে ব্যালট বক্সসমূহ চিটাগাং ক্লাবের সামনের রাস্তায় রেখে ওখানেই নিরাপদ অবস্থান নিল। কিছুক্ষণ পুলিশ বিডিআর আর সেনাবহিনী মিলে আমাদের সকলকে ঐ এলাকা ছেড়ে যেতে নির্দেশ দিল। দেখলাম একটা ব্যালটবক্সের গাড়িতে আগুন দিয়েছে লীগের পোলাপাইন। ফায়ার বিগ্রেডের গাড়ি দেখলাম। এখন সর্বশেষ মহিউদ্দীন চৌধুরী তার কর্মীবাহিনী লই স্টেডিয়ামের সামনে মারমুখো অবস্থান নিয়েছে এবং ঘোষণা দিয়েছে কোন বিরুদ্ধ ফলাফল ঘোষণা দিতে দেওয়া হৈবো না।..
একটু আগের এই খবর।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১:৫০