আমার দেশের পুরনো রিপোর্ট: ১৬ জুন শেখ মুজিবের গণমাধ্যম হত্যা দিবস
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদে শেখ মুজিবুর রহমান পেশকৃত চতুর্থ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্তির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন তথা বাকশাল গঠনের পথ উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং শেখ মুজিব রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। আর এ পদক্ষেপকে শেখ মুজিবুর রহমান তার দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি মানুষের সব মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্তির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশ বলে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) নামে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন। একই সঙ্গে নিজেকে এই দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি দল পরিচালনার ক্ষেত্রেও যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী হন তিনি। প্রেসিডেন্টের এই আদেশের ফলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হয় এবং দেশে বিরাজ করে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল—বাকশাল। এই বাকশালের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক আদেশ বলে দেশের সবক’টি সংবাদপত্র বিলুপ্ত করে বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়। শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার এবং বাংলাদেশ টাইমস—এ চারটি পত্রিকা সাময়িকভাবে প্রকাশনার সুযোগ দেয়া হয়। এসব ঘটনা ওই সময় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে আবার বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু হয়।.. বিস্তারিত পড়নের কাম থাকলে উপ্রে ক্লিক মারেন।
আইজকার খবর:
আমার দেশ: প্রকাশনা বাতিল সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ স্থগিত
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:১১