শুভ নববর্ষ। স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪২৯
বাংলা নববর্ষ ও ছায়ানট এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে দুটি কথা বলবো।
ছায়ানট বাংলাদেশের অন্যতম সংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬১ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করা ছাড়াও পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ রমনার বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
১৯৬১ সালে একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন কয়েকজন সংগঠক। তাদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান (সিধু ভাই নামে পরিচিত), শামসুন্নাহার রহমান, সুফিয়া কামাল, ওয়াহিদুল হক অন্যতম। সাঈদুল হাসানের প্রস্তাবে সংঠনটির নামকরণ করা হয় ছায়ানট।
মঙ্গল শোভাযাত্রা -পাপেড ,মূর্তি ,মুখোশ পরে যাত্রা ১লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা তার অংশ চারুকলার সামনে থেকে র্যালি শুরু কে বলা হয়
একটু পিছনে তাকাই :-
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ,মঙ্গল শোভাযাত্রা পূর্বে এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। সেই সময়ের সংবাদপত্রের খবর থেকেও এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়। সংবাদপত্র থেকে যতোটা ধারণা পাওয়া যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম লাভ করে।
১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে চারুপীঠ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল - পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যযন্ত্রসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
এগুলোতো বললাম ৩৫ বছর আগের কথা। শত বছরের কৃষকের কথা নাই বললাম ,যাদের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবে শুরু হয়েছিল এই আনন্দ বা মঙ্গল যাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রার বিবর্তন
১৯৮৯ সালে প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে
রমনা বটমুল ও ছায়ানট নিয়ে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি চাওয়া বা আবেদন করা উচিত ছিল। এরাই বর্ষবরণকে জাতীয় ঐক্কে নিয়ে এসেছে ,এখানেই সবাই একত্রীত ।
[তাহলে কি মলিন হয়ে যাচ্ছে বটতলা ছায়ানট !?]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৬