ছবিটি ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যায় ,রাবার ও রাবারের সংযোগ স্থান আলাদা হয়ে গেছে। হতে পারে পানির চাপে অথবা বালুর ড্রেজার নামানোর সময় রাবার আটকে ড্রেজারে শক্তির প্রয়োগে। কারণ যেটাই হোক মূল কারণ রক্ষনাবেক্ষনের অবহেতাই প্রধান কারণ (চিরে যাওয়া অংশ দেখলে তাই প্রমান হয় )
মূল সংবাটি হলো :-
রাবার ড্যাম ছিঁড়ে যাওয়ায় বোরো ধানে ক্ষতির আশঙ্কা নয়,সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাঘগুজারায় মাতামুহুরী নদীর ওপর বোরো চাষের জন্য নির্মিত রাবার ড্যামের একটি স্প্যানের রাবার ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। এতে রাবার ড্যামের ওপর দিকের আটকানো মিঠাপানি সমুদ্রের দিকে নেমে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে লবণাক্ত পানি ঢুকে চকরিয়া-পেকুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার বোরো চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়,
২০১২ সালে সরকার মাতামুহুরী নদীর মিঠা পানি আঁটকিয়ে শুস্ক মৌসুমে বোরো চাষের জন্য এ নদীর পেকুয়া-চকরিয়া অংশে চকরিয়ার পালাকাটা, পেকুয়ার বাঘগুজারা ও পেকুয়া ভোলা খালে পৃথক তিনটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করে।
মাতামুহুরী নদীতে এ রাবার ড্যামগুলো নির্মাণ করার মাধ্যমে প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে চকরিয়া পেকুয়ায় প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে ইরি বোরো চাষ ও রবি শষ্যের চাষ হয়ে আসছে।
ইরি বোরো চাষ শেষে প্রতি বছরের মে মাসের শুরুর দিকে রাবার ড্যামগুলোর রাবার ব্যাগ আবার নামিয়ে দিয়ে মাতামুহুরী নদীর পানি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়ীত্বে থাকা হোমরা চোমড়াদের বক্তব্য :-
ভোর রাতের কোনো একসময় ড্যামের ওই অংশের রাবার ব্যাগ ছিঁড়ে যায়। তারা জোয়ারের পানিতে ছিঁড়ে গেছে বলে ধারণা করেছেন।
ভুক্তভুগি ও এলাকাবাসীদের`র বক্তব্য :-
এলাকাবাসী জানান, রাবার ড্যামের ওপরের দিকে বেশ কয়েকটি বালি তোলার কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার আটকে আছে। রাবার ড্যাম নামিয়ে দিয়ে আটকে পড়া ওই ড্রেজারগুলো বের করে নেওয়ার জন্য ড্রেজার মালিকেরা বেশ কিছুদিন ধরে তদ্বির চালিয়ে আসছেন। এলাকাবাসির মতে পানির চাপে নয়, এমনও হতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল হয়তো রাবার ছিঁড়ে দিয়েছে; যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।
প্রশাসনের বক্তব্য :-
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা জামাল মুরশেদ বলেছেন, ওই ড্যামের দুই নাম্বার স্প্যানের ব্যাগের উপরের অংশ সোমবার ভোর রাতের কোনো এক সময় ছিঁড়ে গেছে। এটি মেরামত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বালি তোলার ড্রেজার বের করে নেওয়ার জন্য ড্যামে কোনো নাশকতা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান।
আমাদের কোনো বক্তব্য নেই ,কারণ বক্তব্য শুনার লোক নেই ,আমরা একটা মতামত জানাতে পারি ,তা হলো :-
তদন্ত হবে , হয়তো বিচার হবে সাজা বা খালাস পাবে কিন্তু ৬০ হাজার একরের জমির ফসল যে কৃষকদের নষ্ট হলো তারা এখন কি করবে (!?)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:১৭