১৩ আর ১৪ই ফেব্রুয়ারি শুধুই সুন্দর কথা লিখতে হবে
এমন চিন্তা করে লেখালেখি থেকে নিজেকে বিরত রাখলাম।
‘ভালোবাসা দিবস’ এ সকালে উঠে প্রথম মনে হলো
মহা বিপদে আছি তো! আজ শুধু ভালো কথাই লেখা যাবে!
তারপরে ভাবলাম -
সূর্য মামা একটু প্রখর হও তারপরে লেখালেখি আপাতত গান শুনি...
সত্যিকারের ভালোবাসা-বাসি হোক প্রতিদিন।
যে কথাগুলো সে সময় মনে এসেছিলো তা এরকম –
• দাবা আর তাস খেলার অভিজ্ঞতা নাই
তবে যারা খেলেন তারা যে হিসাবে পাকা তা বুঝতে পারি।
• ‘ঘোমটা’ও বসন্তকাল আর ভালোবাসা দিবস চেনে।
• এই দু’দিনে ভার্চুয়াল জগতে যে বিষয়টি লক্ষ্য করেছি –
কিছু মানুষ প্রতিদিন পেট্রোল বোমা, মানুষের আহাজারি নিয়ে লেখালেখি করছিলেন তাঁরা আনন্দ সংবাদ নিয়ে ব্যস্ত, এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি, নিজের উপলব্ধির সাথে আমাদের লেখালেখির যোগসূত্র নিয়ে ভেবেছি অনেক...
লাল গোলাপ, কার্ড, পারফিউম গিফট পাওয়ার মাঝে আমার নিজের হিসাব -বিশিষ্ট অনুবাদক ওসমান জামাল (ভাই) খুব সুস্থ্য নন। তিনি বিশিষ্ট লেখক শওকত ওসমানের লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। পার্টিতে সবাই যখন আনন্দ, খাওয়া দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত, তিনি আমাকে ডেকে স্বভাবসুলভ মৃদুস্বরে বললেন, ‘তোমার একটা কিংবা দু’টা কবিতা আমি অনুবাদ করবো...’
তাঁর শরীরের যে অবস্থা তিনি আদৌ পারবেন কিনা আমি জানিনা
তবে -
ভালোবাসা দিবসে এটাই ছিলো আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।
দিনটিতে কষ্টদের মধ্যে ছিলো – জুতার ভেলক্রো তে ড্যামেজ হয়েছে বোনের দেয়া দোয়েল সিল্কের সবুজ শাড়ির খানিকটা অংশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭