তিতীয় কিস্তি ।। প্রথমকথা
কলেজে যাওয়ার জন্য যথা নিয়মে প্রস্তুত হচ্ছে শকুন্তলা ,মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে অলক আর নন্দিনীর চিন্তা,কি করে মিলিয়ে দেয়া যায় তাদের এবং তাদের সৃষ্ট ভালবাসার।কিন্তু কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। আনমনা হয়ে ছুটছে কলেজের দিকে হঠাৎ ফোনের ক্রিং ক্রিং আওয়াজ।
অপূর্বর ফোন-
শকুন্তলা ফোন ধরল।
অপূর্ব শকুন্তলাকে জিজ্ঞাসা করলো কলেজে আসছো কি?
উত্তরে বলল পথে।
কলেজে দেখা হবে।
ঠিক আছে বলে লাইন কেটে দিল অপূর্ব।
মন খুব বিষণ্ণ শকুন্তলার,অপূর্বের ফোনে কি যেন বলতে চেয়েছিল , কিন্তু বলল না।আসলে কি ঘটছে বন্ধুদের মাঝে , কেন এই রমম হচ্ছে?সব কিছু যেন অন্য রকম লাগছে।আজ কাল ভাললাগা ভালবাসায় দারুণ তফাৎ খুজে , খুজে স্বার্থপরের মত ভালবাসা।সহজে একজন অন্যকে ভুল বুঝে কারণ খুঁজে যত অসঙ্গতির।
যা শুধু প্রত্যেকে তার নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করে ।
আজ নিজেকেও খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছে কেন জানি।
কি আজেবাজে চিন্তা করছি।
কলেজের প্রায় কাছাকাছি এসে গেছে অপু।বন্ধুকে দেখবে বলে খুব উত্তেজিত কিন্তু কোথায় দেখা হবে বন্ধুর সাথে। বিভিন্ন চিন্তায় মাথা ঝিম ধরে আছে,সামনে পরিক্ষার চিন্তায়ও অস্থির সব মিলিয়ে
সময় খুব ভাল যাচ্ছেনা তার উপর অলক এসেছে তাই নতুন চিন্তা।
কলেজে এসে কমনরুমের সামনে দিয়ে হাঁটছে আনমনে
অপু বলে পিছন থেকে মমিতা ডাকল-
কি রে বন্ধু আজ কাল খুব মন মরা দেখাচ্ছে তোকে, কি হয়েছে ?
কোন সমস্যা ?
মমিতার কথা শুনে অপু হতবাক,মানুষের চিন্তা যে তার মুখে শরীরের চাপ পরে তা সে বিশ্বাস করতো না,আজ তা সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করল।
হ্যাঁ মমিতা কিছুটা আপসেট, বন্ধু !
কি খবর ক্লাস কি রকম চলছে ,
মিত্রার কি খবর ?
মমিতা বলল-আমাদের পাশের বাসার মিত্রা !
অপু বলল, হ্যাঁ।
খুব ভাল আছে এখন পড়ালেখায় খুব মনোযোগী।এবার এস এস সি দেবে।
মমিতা অপুকে জিজ্ঞাসা করলো?শুনেছি অলক এসেছে গতকাল আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে।নন্দিনীর সাথে কথা হয়েছে , কি হয়েছে বলবি আমায়।
অপু দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল-
আমি ও তাই জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছিলাম তোদেরকে।আমিও শুনেছি অলক ফিরে এসেছে,আমার সাথে দেখা হয়নি।
দুইজনের মধ্যে অনেক ক্ষণ কথা হল।দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল দুইজনই।
কলেজের ঘণ্টার ঢং ঢং আওয়াজে সবায় ক্লাসের দেখে চলে গেল।মমিতা খুব বিষণ্ণতায় ভুগতে লাগল।বারবার নন্দিনী আর অলকের কথা চিন্তায় ফেরেশান।ক্লাসে মন বসছেনা।মনে হচ্ছে এই মহুত্তে নন্দিনীর কাছে ছুটে যাই।কি করা ক্লাস চলছে , কলেজ ছুটির পরে দেখা করবে বলে মনস্থির করল।
ক্লাসে কিচিরমিচি আওয়াজের মাঝে হঠাৎ নিরবতা,মোহ ভাঙ্গল মমিতার।শ্রেণী শিক্ষক এসেছেন-
তিনি সবায়কে বোর্ডের দিকে তাকানোর জন্য বললেন।একটা গুরুত্বপূর্ণ নোট দেবেন।নমিতা মনস্থির করতে পারছেনা কোনমতে!চোখের সামনে ভাসে অলক আর নন্দিনীর সাজানো ভালবাসা
চলবে........................।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯