We are all Khaled Said পেইজটার কথা সবার মনে আছে? এই এক ফেসবুক পেইজ থেকে শুরু হওয়া দাবানল একটা বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশেও কি সেরকম কিছু হতে যাচ্ছে? দিনমজুর হচ্ছে এদেশের ওয়েবোস্ফিয়ারে এক কিংবদন্তীর নাম। আজ সে জেলে। ভাবতে অবাক লাগে। এই বালের "বাম্পন্থী" সরকার ইন্টারনেট এক্টিভিস্ট তরুনদের ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় আসল। কথা দিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। সেই বিচারের নামে কিছু পাকা গুপ্তকেশ ছিড়ল। নিজের স্বার্থে যখন যতটুকু দরকার ততটুকু শো অফ করল আর বিরোধিদের দমন করল। আর আজকে আনু মুহাম্মদ কে যখন মঞ্চায় রাস্তায় ফেলায়া পিটায়, ধরে থানায় নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের তরুনদের ইন্টারনেট এক্টিভিজম একটা নতুন মাত্রা পেয়ে গেছে। আজকের দিন থেকে আগের দিনগুলোকে আলাদা করে দেখতেই হবে। আজকেই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো ইন্টারনেট এক্টিভিস্টকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আমরা জানিনা দিনমজুর এখন কোথায় আছে কেমন আছে। যে বাকশাল পুলিশ মাথার চুল নিতম্বে লাগাইলে রিমান্ড চায় সেই পুলিশ দিনমজুরের সাথে কেমন আচরন করছে তা হিসাব করতে ক্রিমিনলোজিস্ট হইতে হয়না। খুব অবাক হওয়ার মত সময় কি আমাদের হাতে থাকবে যদি পত্রিকায় দেখি দিনমজুর রেব এর সাথে ক্রসফায়ারে মারা গেছে?
এখন কথা হল আমাদের দেশের জন্য খালিদ সাইদ মোমেন্ট এসে হাজির। আমরা কি পারব এই আন্দোলনকে জাতীয় চরিত্র দিতে? আমরা কি পারব মিশরিয় তরুনদের মতই নিজেদের সংকীর্ন মতপার্থক্য ভূলে গিয়ে এক হাতে হাত রাখতে? পাশাপাশি পথ চলতে? নাকি বুড়ো ভূত এসে আবার আমাদের পথ ভোলাবে? আমাদের কাছে এখন আদর্শের কপচানি মূল্যহীন। ফারুক ওয়াসিফের ভাষায় সংবিধান দিয়ে জুতা মোছা হবে না টুপি পড়া হবে তা আমাদের কাছে অপ্রাসংগিক। আমাদের গন্তব্য হচ্ছে নিজেদের সম্পদের উপর নিজেদের স্বাধীনতা। এই অধিকার আদায়ে আমরা সকল ব্লগার আস্তিক, নাস্তিক,বাম, ডান, ছাগু, ভাদা সবাই একাট্টা হতে না পারলে কখনই আমাদের পক্ষে একাত্ন হওয়া সম্ভব না। আজ যদি এক হতে না পারি তাহলে আনু স্যারের ভাষায় দেশে ডাকাত পড়লেও আমরা পাকা গুপ্তকেশে তা দেব।