১। শুরু হয়ে গেছে গদি নিয়ে টানাটানি। সব দলের একই চাওয়া ক্ষমতা। নির্বাচনও সামনে। চিন্তা ছাড়াই চলছে হরতাল, ভাবনা ছাড়াই পুলিশের প্রহার। আমরা সাধারণ জনতার অপরাধ কী? গণতন্ত্রে যদি হরতাল দেয়া অধিকার হয়, গণতন্ত্রে কী ভাত খাওয়ার জন্য রুচি রোজগারের চেষ্টা করা কী অপরাধ! যত্রতত্র পুলিশের বহর দেখে মাঝে মধ্যে ভাবনায় থাকি এটি কী স্বাধীন দেশ? বিরোধীদের হরতালের ভয়, সরকারী দলের পুলিশের ভয়, এত ভয় নিয়ে আমরা কীভাবে থাকি?
২। ছোট্ট একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আমি। প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, সৃজনশীল প্রশ্নের বিকাশ সত্যি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ সব। নতুন কারিকুলামের নতুন বইগুলো কিছু হালকা ভুল-ভ্রান্তি (পরবর্তীতে সংশোধন হবে হয়তো) ছাড়া খুবই যুগোপযোগী। কিন্তু প্রায় দুইমাস পর যদি নতুন মানবন্টন দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এই দুইটি মাস কী পড়লো? দিকহীন পড়াশোনা কী ভাল ফলাফলের জন্য সহায়ক? এর মধ্যে কয়েকদিন হল আসলো সমাপনী পরীক্ষার নতুন মানবন্টন। এমনিতেই নভেম্বর এ পরীক্ষা হওয়ায় এইসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করতে কষ্ট হয় তার উপর যদি ঘন ঘন প্রশ্নপদ্ধতি পরিবর্তন হয় তাহলে কীভাবে তাদের প্রস্তুত করবো? কিছু নতুন বই সংয্ক্তু হয়েছে এবার। কিন্তু সঠিক নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো কতটুকু ভালভাবে পড়ানো সম্ভব হবে?
৩। রাজনীতির কুটকৌশল এসএসসি পরীক্ষার্থীরা টের পেয়েছে হাড়ে হাড়ে। আগে পরীক্ষার সময়, শনিবার এই সব দিন হরতাল হতো না। এবার সম্পূর্ণ বিপরীত। পরীক্ষার মাঝে বন্ধ হলে কেমন লাগে একমাত্র ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরাই তা বুঝে। বুঝে না আমাদের রাজনীতিবিদরা। শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদণ্ড- হয় তবে কী এই মেরুদণ্ড- আমরা ভেঙ্গে দিতে বদ্ধপরিকর?
৪। রাজনীতি কার জন্য? আমি, আপনি, আপনার জন্য। অথচ আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো এভাবে কী পদদলিত হবে? এই দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি? আমরা সাধারণরা কী শান্তিতে থাকতে পারবো? রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করুক, কোন সমস্যা নেই। আমাদের ও একটু শান্তিতে থাকতে দিক। আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করুক। আমরা ঘর থেকে নিরাপদে বাইরে যাই আবার ফিরে আসি আপনালয়ে!
৫। সকল সমস্যা মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ হাসুক তার আপন হাসি, আমরাইতো এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি।