গতি ৬০-৬৫ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি হঠাৎ একটা শব্দ বুঝতে পারলাম আমি ছিটকে পড়ে যাচ্ছি! এক সময় মনে হলো আমি হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছি.... এক সময় আবিস্কার করলাম একটা ফার্মেসীর বেডে আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে তারেক এবং চিৎকার করে ডাকছে : সুমন! এই সুমন উঠ! আমি চোখ মেলে তাকালাম। কিছুটা প্রশান্তি মনে হয় সে পেল বলল- তুই কি ঠিক আছিস? আমি শুধু হ্যা সূচক মাথা নাড়ালাম তারপর আবার ঢলে পড়লাম। এরপর কয়েকবার নাকি আমার জ্ঞান ফিরে এসেছিলো কিন্তু কিন্তু কাউকে চিনতে পারিনি, শুধু তাদেরকে বলেছিলাম- কে তোমরা!? আমি কোথায়? ওরা খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলো। যখন আমি বুঝতে পারলাম আমাকে সিএনজি দিয়ে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন বললাম, কিরে আমরা কোথায় যাচ্ছি? ওরা দুজনের মুখ উজ্জল হয়ে এল বলল, আমাদের চিনতে পারছিস। বললাম- হ্যা, কেন? বলল- কিছুক্ষন আগে আমাদের চিনতে পারিস নাই। আমি আবার প্রশ্ন করলাম আমরা কোথায় যাচ্ছি। রিপন বলল- মেডিকেল। আমি আস্তে করে উঠতে যাবো দেখলাম বাম হাত নাড়াতে পারছি না ব্যাথাট ঠন ঠন করছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ছুলেটুলে একাকার। একটুর জন্য চোখ বেঁচে গেছে, মুখ প্রায় বিকৃত আকার ধারন করছে। খেয়াল করে দেখলাম বা কান থেকে রক্ত ঝরছে মাথায় প্রচন্ড আঘাতের ফলে কান দিয়ে রক্ত বের হলো। তারপর মেডিকেলে গিয়ে ড্রেসিং করে হাত এক্সরে করলাম, সোল্ডারের হাড় ভেঙ্গে গেছে অন্তত একমাস বিস্রাম ইত্যাদি ইত্যাদি।
উদ্দেশ্য ছিল মোগলাবাজারে যাব। আমরা তিন বন্ধু তারেক, রিপন এবং আমি ড্রাইভিং এ ছিলাম আমি খালের মুখ বাজার ক্রস করার পরই সামনের চাকা পটাশ করে ফেটে গেল ব্যস কয়েক সেকেন্ডর মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। বর্তমানে বাসায় আছি অনেক সুস্থ কিন্তু কানের এখনও কোন গতি হয়নি। হাত আস্তে আস্তে নাড়াতে পারছি। ধন্যবাদ আল্লাহ কে আমার আরো অনেক কিছুই হতে পারত তিনি রক্ষা করেছেন।