হৃৎপিন্ড চিরে। লাল রক্তিম পলাশের আল্পনায়
কিংবা, দেহের বিন্দু-বিন্দু রক্তকণা দিয়ে
হে-মহামানব- তোমাকে জানাই শত কোটি
শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কি লিখব তোমাকে নিয়ে আজ! কি লেখা যায়!
সবিতো ১৫ই আগষ্টে দিয়েছিল সীমারেখা
রক্ত গঙ্গার বুকে জলাঞ্জলি।
আজি আকাশে বাতাশে ধ্বণিত বিলাপ রোল!
এ-তো রাসেলের আত্মার তীব্র প্রতিধ্বনি।
যে ছিল শিশু, বুক ছেড়া ধন, মা-বাবার নয়ন
মণি।
শত কষ্টের তীব্রতায়, সুরের মূর্ছনায়-
করুণ হাহাকার! ক্রন্দণে! চিৎকারে।
কবরখানি ও আজ থর থর কম্পিত।
গোটা বিশ্বকে আজ জাগিয়ে দেব
ওরা, হয়ে যায় যেন চমকিত।
হে মহামানব কি দেবো তোমায়?
তোমাকে যারা বাংলার বুক থেকে চিরতরে দিয়েছে
রক্তগঙ্গায় জলাঞ্জলী-
আমি, সেই-সব নরপশুদের মুখে থুঃ থুঃ ছিটিয়ে
তোমাকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তোমার গৌরবে, সৌরভ মাখা সুরভীতে--
লাখো জনতা ঢলে বছরের পর বচর তব
সমাধিতে
শত-শত কত পুষ্পাঞ্জলি
আর আমি তোমার হত্যার বিচার চেয়ে
রচনা করব, গীতি-কাব্যে। গীতাঞ্জলি।