somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কষ্ট ভাঙ্গার ব্যর্থ চেষ্টা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইদানিং ভোর ৫টা/৬টার আগে ঘুম আসে না,কিন্তু ঐ দিন ঠিকই ২টায় শুয়ে পরি।৫টার পর চেস্টা করেও বিছানায় থাকতে পারছিলামনা।অবশেষে উঠে নামাজ পরে নেটে বসি।লিখলাম শেষ লেখাটা।পিসি ছাড়ার সময়ও ভাবিনি আর কখনও বসা হবে পিসিতে!!!

বড়কে বিদায় দেয়ার সময়ও ও বোঝেনি আমি কত কষ্ট নিয়ে অজানায় পা বাড়িয়েছি।যখন বললাম কখন ফিরব(যদিও জানতাম আর ফিরবনা) জানিনা।ও ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি।

১০:৩০এ সায়দাবাদ থেকে ফেনীর গাড়িতে।ঢাকা-কুমিল্লার জ্যাম ভেঙ্গে ৩:১৫তে ফেনী।তাও ভাল হিল ভিউ পেয়েছিলাম।পথে শধু ভেবেছিলাম মুনকে গিয়ে বলব বউ অনেকতো হল এবার আমায় একটু ভাব।তুইতো জানিস তোর মত আমিও চাঁদ দেখতে ভালবাসি,ভালবাসি প্রান খুলে হাসতে,দুষ্টুমি করতে,সোনা কত দিন হাসি না,আর চাঁদ সেতো উঠে আর ডোবে আমার হয়না জানা।এমন সময় নিজেকে মেলতে চায় চাঁদ আর আমি হয়ে যাই আরও ম্লান,নিস্প্রভ।ছোট্টোর কলে ভাবনায় ছেদ পরে।গন্তব্যের খুব কাছে চোখ ভিজে যায়।আমিও জানি এ মায়া জানিয়ে ছিন্ন কারা যায়না।লিখি "গন্তব্য অজানা,হয়ত ফেরা হবেনা কোন কালে,ক্ষমা করিস না আমায়"।এরপরই একে একে কল আসে বড়,ছোট,দাদা-বৌদি,আম্মু-আব্বুর ধরিনা কোনটাই।শুধু বড়কে লিখি "তোর পরীক্ষা পড়,ভাল করে আমায় নিয়ে ভাবিস না,আর ক্ষমা করিস না"ও লেখে ভাইয়া তোর কিছু হলে আমি শেষ!


ততক্ষনে আমি ১লিটার কেরসিন নিয়ে ওর বসার রুমে।না বসতে হত না,যদি তুমি আসতে একবার আমার সামনে।শুধু বলতাম মুন কতদিন তুই চাঁদ দেখাস না,আয় আজ চাঁদ দেখি,তোর ছোট্ট শহরটা রিক্সায় করে ঘুড়ে বেড়াই নয়ত তোদের ছাদে বসে চাঁদ দেখি!হায় কিছুই বলা হল না।মা পাঠালেন শ্বশুর মাশাইকে!তিনি রাসভাড়ি লোক,জেলার সবচেয়ে পুরান আইন ব্যবসায়ী,সমিতির বর্তমান সভাপতি............ল কলেজের প্রধান!আমি কি জানিনা?উনার হাত কত লম্বা তা বুঝাতে যদি ওসি,ডিসি,জজ সাথে ব্রিগেড কমান্ডারকে(ও আমার এক শালা আবার সেকেন্ড লেফটেনেন্ট কিনা!) কল করতে হয়,সে কি মুখ্যতা নয়!তাই ওনার কোন হুমকি ধমকিই আমায় সামান্য বিচলিত করে নি।হবই বা কেন আমিতো রাস্তা থেকে উঠে আসিনি,না বলেছি কোন মিথ্যা।আমার কিসের ভয়?

আড়াই বছরের ভালবাসার সম্পর্ক যদি ক্ষমতার জোড়ে ইভ টিজিং এর কলঙ্ক পায় তখন কি আর নিজেকে সামলান যায়?তুই তো জানতি আশিক এমনই।যে জ্বালা তুই নেভালিনা সে আগুনে কেন পুড়তে দিলি না।জানিস মুন এ বুকটা দিয়ে আজ হৃদয় পোড়া গন্ধ বেরয়।তুই কেন পারলিনা ম্যাস কাঠি টা জ্বালিয়ে দিতে!যখন দেখলি সবাই ধরে ফেলছে আশিকের হাত তখন কি তোর উচিত ছিলনা এ যন্ত্রনা থেকে মুক্তির পথ বাতলে দেয়া!

জানিস মুন তোর বাসায় বসেও যে মিথ্যা বলতে পারিনি,থানাতে গিয়েও সে মিথ্যা আমায় স্পর্শ করেনি।আমি আমার ভালবাসার সাথে মিথ্যা বলিনি,আর তুই কিনা.............!

শ্বশুর আব্বা যা পারতেন কিন্তু করেন নি
>থানাতে তিনি আমায় একটা ভাঙ্গা দেয়াতে পারতেন,না তিনি সেই নিস্ঠুরতা দেখান নি তবে তা ছিলনা কোন দয়া।
>আর মামালা?মুন কোনটা করবে?টিজিং সেতো শুরুতেই বাতিল।ছিল আত্মহত্যা চেষ্টা,তাহলে যে প্ররচনার মামলা আসে নিজের ঘারে।
মুন আর এতো কখনই আত্মহত্যা ছিল না।ছিল নির্মম হত্যা প্রচেষ্টা!মুন আমি কাকে জানাই নি বল?মা,ইয়ামিন আপু,আরিফ,আসিফ কৈ কেউতো হাত বাড়ায় নি!জানিস মুন মানুষ মৃতকে নিয়ে প্রলাপ করতে ভাqলবাসে কিন্তু জীবিতকে বাঁচতে দিতে চায় না।
জানিস মুন আদালতে অন্যের মেয়ে কিংবা স্ত্রীকে পুন ধর্ষন করে বিকৃত সুখ পাওয়া যায় বটে কিন্তু নিজের মেয়েকে?ততটা নির্বোধ তিনি ছিলেন না কোন কালে।
তাই কলিগদের সামনে চেইন খুলে যাবার পর নিজের প্যান্ট হারানোর ঝুকি তিনি নেন নি।

মুন গত জানুয়ারীতে যখন আসলাম তখনও ছিল শীত,তুই সেদিন ভালবাসার চাঁদরে জড়িয়ে ছিলি আমায় আর আজ?নারে,না পারতি ভালবাসার চাঁদর পাঠাতে ঘৃনার চাঁদর তো পাঠাতে পারতি অনায়াসে।হয়ত পঁচন ধরতনা সারা শরীরে,ভালবাসার দগদগে খত হতনা।হায় ভালবাসা!

মুন সে যাই বলিস,তোদের থানা থেকে যে ব্যবহার পেয়েছি ভুলব না কোন দিন।কেন পেয়েছি জানিনা?হয়ত খোরশেদ সাহেবের জামাই বলে,নয়ত তোর আশিক তাই,নয় অনেক অনেক অনেক কিংবা তারও অধিক ভাল বলে।

গিয়েছিলাম পূর্নিমার চাঁদ দেখতে,তুমি দেখতে দাও নি!দেখেছি ফিরে নতুন সূর্য,ভোরের সূর্য্য।
৪৫৬ বার পঠিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এক্স লইয়া কি করিব

লিখেছেন আনু মোল্লাহ, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

যাচ্ছিলাম সেগুনবাগিচা। রিকশাওয়ালার সিট কভারটা খুব চমৎকার। হাতে সেলাইকরা কাঁথা মোড়ানো। সুন্দর নকশা-টকশা করা। নর্মালি এররকম দেখা যায় না। শৈল্পিক একটা ব্যাপার। শুধু সিটকভার দেইখাই তার-সাথে কোন দামাদামি না কইরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইলিশনামা~ ১

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


১৯৮৫ সালে ডক্টর মোকাম্মেল হোসাইন ‘ ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে যেই রিসার্চ পেপারটা( থিসিস – এম এস এর জন্য) জমা দিয়েছিলেন সেটা এখানে মিলবে;
[link|https://open.library.ubc.ca/cIRcle/collections/ubctheses/831/items/1.0096089|Spawning times and early life history of... ...বাকিটুকু পড়ুন

৯০% মুসলমানের এই দেশ? ভারতে কতগুলো মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করা হয়েছে? গতকালও ভারতে মসজিদের পক্ষে থাকায় ৩ জন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার | SAD

লিখেছেন আজব লিংকন, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩



শীতকালীন সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, কনজাংকটিভাটিস, নিউমোনিয়া কিংবা খুশকি মতো কমন রোগের কথা আমরা জানি। উইন্টার ডিসঅর্ডার বা শীতকালীন হতাশা নামক রোগের কথা কখনো শুনেছেন? যে ডিসঅর্ডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি

লিখেছেন শান্তনু চৌধুরী শান্তু, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮



আজ চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা নানান গুজব ও ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা এড়াতে প্রকৃত ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×