ভারতের টিভি সিরিয়াল আর আমাদের ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ্রদের সার্বক্ষণিক ভারত বন্দনার কারণে চরম ধর্মীয় বিদ্বেষ পরায়ন দেশ ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ এবং চরম ধর্মীয় সহনশীল দেশ বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের দেশ হিসাবে ভাবতে শুরু করেছে সাধারন মুসলমানেরা।
বাংলাদেশের মুসলমানেরা কতখানী ধর্মীয় সহনশীল সেটা বুঝতে হলে শুনতে হবে এক কট্টর ইসলাম বিরোধী হিন্দু পিযুষ বন্দোপাধ্যায় এর স্বরচিত কবিতা ( http://www.divshare.com/download/24252978-111 )।
চরম ইসলাম বিদ্বেষী ঐ কবিতা লেখার পরও তার এফ ডি সির ডিজি হিসেবে সরকারী চাকুরী বহাল থাকে এবং আরো ২ বৎসরের জন্য নবায়ন করা হয়।
অথচ একাজটি যদি ভারতে কোন মুসলমান করতো তবে সেখানকার হিন্দুরা ভারতের মুসলমানদের জন্য দুনিয়াতেই জাহান্নামের আয়োজন করতো।
যেখানে কারণে অকারণে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারা হয়। ( https://www.facebook.com/notes/439664022820636/ )
জোর করে হিন্দু করানো হয় । ( Click This Link )
গরুর গোশত খাওয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয় ( Click This Link )
ঐদেশে ৪০% মুসলমান অথচ সরকারী চাকুরীতে ওদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ২% তাও আবার নিম্ন শ্রেণীর পদমর্যাদায়। কোন জন্মসূত্রে মুসলমান যদি নিজেকে নাস্তিক অথবা ইসলাম বিদ্বেষী বলে প্রমান দিতে পারে তবেই তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভবনা।
ধর্মনিরপেক্ষতার ঢোল বাজানোর জন্য মাঝে মধ্যে একজন তথাকথিত মুসলমানকে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করে। ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ৪০% তবে গরীব জনগণের ৯৫%ই মুসলমান।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলছে হিন্দু তোষণ আর ভারতের রাজনীতিতে চলছে মুসলমান দমন। ভারতে সরকারী দলের নেতাদের বক্তব্য, ভারতে কোন ভিন্ন ধর্মের লোক থাকতে পারবে না। সকলকে হতে হবে হিন্দু।
মৃত মুসলমান মেয়েদের কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করতে হবে। ( Click This Link )
প্রতিটি মসজিদে গণেশ ও কথিত মা দুগ্গার মুর্তি রাখতে হবে ( Click This Link )।
এই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের ধর্মীয় সহনশীলতা। এদিকে মৌলবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন ”মা দূর্গা গজে চড়ে এলে দেশে ভাল ফসল হয়” তথাকথিত মুসলমান মন্ত্রী বলে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।” ( http://amader-kotha.com/page/85066 )।
অর্থাৎ কথিত মা দূর্গা কথিত মা সরস্বতী কিংবা শিবলিঙ্গ পুজার সময় ধূপের কলকী হাতে নিয়ে মুসলমানরাও নাচতে পারে, আনন্দ করতে পারে, উৎসব করতে পারে, কারণ ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তবে হ্যা কোন হিন্দু বৌদ্ধ কিংবা খৃষ্টান মুসলমানদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পারেনা ।কারণ ঐ সমস্ত উৎসব শুধু মুসলমানরাই পালন করে। হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ আর কত বিচিত্র এই দেশের গন্ডমূর্খ রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় থাকার জন্য এই দেশের রাজনৈতিক নেতারা ধর্মের অপব্যবহারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান । এক দিকে চলছে সৌদি রাজার ওহাবী মগজ ধোলাই অন্য দিকে চলছে নাস্তিকতার মগজধোলাই।
এই উপমহাদেশের মুসলমানদের উপর কখন বসনিয়া হারজেগোভিনার মুসলমানদের মতো ভয়ংকর গজব নাযিল হবে তাই এখন দেখার বিষয়। ব্যাপকহারে গণহত্যা গণধর্ষণ ও গণকবর যেন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। উপমহাদেশের হিন্দুরা এখন সেরকম একটি সময়ের জন্য অপেক্ষায় আর উপমহাদেশের মুসলমানেরা হারজেগোভিনার মুসলমানদের মত গভীর নিদ্রায় মগ্ন। দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক মগজধোলাইয়ের কারনে, ব্যপক রক্তক্ষরন ব্যতিত এই ঘুম ভাংগার আপাত কোন সুযোগ নেই।