বৃর্ষা আগমনে উল্লসিত ধরনী;
কেটেছে মৌনতা তব-
ঝিরিঝিরি স্পন্দনে,,,,
আজ নিয়ে গত চার দিন ধরে বৃষ্টি পড়ছে। জানালা দিয়ে প্রতিবার বাইরে তাকাই মনটা যেন কোথায় হারিয়ে যায়। ছুটির দিন গুলোতে এভাবে ঘরে বসে থাকা যে কি কঠিন বিষয় তা বলে বোঝানো যাবে না। বাইরে যাওয়াই যায়, কিন্তু আমরা তো মর্ডান যুগের মানুষ, একটু বৃষ্টিতেই ভয় পেয়ে যাই, এই বুঝি ঠান্ডা লেগে গেল। তবে আমি আজ একটা ঝুকি নিয়ে-ই ফেললাম। ট্রাওজার, টি-সার্ট, আর হুডি পরে চলে গেলাম ট্রেল পার্কে। গিয়ে দেখি কেও-ই নাই, বাইরে তখন ঝুরি ঝুরি বৃষ্টি, যা কিনা বাঙ্গালীর ভাষায় বলে ইলশে গুড়ি বৃষ্টি। উফ্ কি যে মজা, এরকম একটা বৃষ্টির মাঝে হেঁটে বেরানো। আমার তখন মনে হচ্ছিল, ইস্ একটু জোরে বৃষ্টি নামুক, আমি তাহলে, মাঠের মধ্যে গিয়ে পানির মাঝে পা দিয়ে ঝাপা ঝাপি করতে পারব। আমার মনে আছে, আমার স্কুলের মাঠে এরকম বৃষ্টির দিনে পানি জমে থাকতো, আর আমরা ছুটির পরে ওখানে গিয়ে ঘাসের ফাকে জমে থাকা পানি গুলোতে পা দিয়ে খুব খেলতাম, ওটা ছিল এক অন্যরকম মজার খেলা। এখন সেসব আর করা হয় না। আমরা বড় হয়ে গেছি কিনা, আর তার ওপরে মর্ডান মানুষ, পানি লাগলেই, হয়ে যাবে সদ্দি । । যাইহোক, এরকম ভাবতে ভাবতেই মনে পড়ে গেল মজার মজার সব বাঙ্গালী খাবার। কি করা যায়, কিছুক্ষন হেঁটে চলে গেলাম বাজারে, ওখানে গিয়ে তো দেখি, এ এক বিশাল অবস্থা, মানুষ বৃষ্টি বাইরে বের হোক বা না হোক, বাজারে ঠিকই এসে হাজির। আমি তো পেয়ে গেলাম দিগুন উৎসাহ্, লেগে পরা রমনী, কোমরে আচল গুজিয়া, যা মন চা তা নিয়া বাসায় চল, আজকে হবে, মহা আয়োজনে খানা দানা। তাই হলো, একগাদা বাজার করে নিয়ে এসে চুলায় বসালাম রান্না। বাঙ্গালী তো, এক পদে তো হয় না। মেনু হয়ে গেল রাধঁতে রাঁধতে পাট পাতা দিয়ে চিংরি, একটু মাছের ভর্তা, বাটারমিল্ক মাছ ফ্রাই, আবার সঙ্গে পায়েশ। পায়েশ টা যখন রান্না শেষ হলো, মনে মনে বললাম, হায়রে বাঙ্গালী, বৃষ্টির দিন গুলোতে-ই বুঝি মন অনেক উদার হয়ে যায়, তখন মনে পরে একটু মজার মজার রান্না বোধহয় প্রিয় মানুষদের কে নিয়ে খুব মজা করে খাওয়া যায় ,তাই না!!!