গত ক'বছর যাবৎ মিড়িয়ার গুনে আমরা একটি বিশেষ সমাজের সাথে বেশ পরিচিত হতে শুরু করেছি, আর তা হলো তথাকথিত সুশীল সমাজ। হেন কোন বিষয় নেই যে তারা সামান্য সুযোগে জাতীকে বিনামূল্যে অকৃপন হাতে উপদেশ না বিলান। সাংবাদিক / ক্যামেরা এসব তাদের বিশেষ উপজিব্য, সভা-সেমিনার, গোল কিংবা চৌকোনা টেবিল বৈঠকে তাদের হন্বি তন্বির জুড়ি মেলা ভার। সবজান্তা এসব সুশীলরা নিরপেক্ষতার ভান করতে কতনা কসরত করেন .... । বহুজাতিক কোম্পানির / সংস্থার বেতনভুক্ত এসব দালাল দেশের দূর্দিন ঘুচাতে নয় বরং দূর্নাম রটাতে ব্যস্ত। দেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্র আখ্যা দিতে তাদের সে কি প্রানান্তকর চেষ্টা! পাঠকদের নিশ্চয় মনে আছে। ১/১১ এর পেছনের কাহিনী, পটভুমি রচয়িতা কারা ... আজ তা সবার জানা।
এই সুশীল সমাজের কথিত নেতা ডঃ মোজাফফর আহমদ (নিন্দুকের ভাষায় মীর জাফর আহম্মক) সাম্প্রতিক বক্তব্যে বলেছেন, "১৮ ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে দেশে গনরোষ সৃষ্টি হতে পারে", ভাবতে অবাক লাগে এই অতিমাত্রায় সুশীল ব্যাক্তিটি বিগত ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিলেন। অথচ এখন তিনি দেশের বৃহত্তম জোটকে বাইরে রেখে নির্বাচন করার পক্ষে আর বলছেন নির্বাচন না হলে গনরোষের সৃষ্টি হতে পারে। তিনি কি মনে করেননা বিএনপি সহ চার দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে দেশে গনরোষ গনআন্দোলন হতে পারে, বিগত সংসদে যাদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাঘরিষ্টতা ছিল ?
আরেক সুশীল আকবর আলী খান, বেটার বিজনেস ফোরামের কর্তা ব্যক্তি হবার সুবাধে সরকারি কোষাগারের মোটা অংক গচ্চা দিয়ে সম্প্রতি দীর্ঘ্য সময় বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে দেশে এসেছেন জাতীকে উদ্বার করতে। তার ব্ক্তব্য আরো ইন্টারেষ্টিং, যিনি উপদেষ্টা থাকাকালীন কাজের চেয়ে কথাই বেশী বলতেন আর নানা বিতর্কের সৃষ্টি করতেন এবং শেষ পর্যন্ত আওয়ামিজোট কে নির্বাচনের বাইরে রাখার প্রতিবাদে উপদ্ষ্টো পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আর তিনিই এখন একদলিয় নির্বাচনের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছেন, ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন না হলে এই সরকার অবৈধ হয়ে যাবে .... কোন গ্রহনযোগ্যতা থাকবেনা ..... বিএনপি নির্বাচনে না এলে তাতে বিএনপি'রই ক্ষতি হবে .... ইত্যাদি ..ইত্যাদি ।
এই নির্লজ্জ গবেটগুলো নিজেদের কি মনে করে জানিনা, তবে জনগন তাদের এরকম ডাবল ষ্টান্ড়ার্ড ভুমিকা দেখে নিশ্চয় সংকিত হয়। ১/১১ এর ভয়াবহ পরিস্থিতি, গনত্ন্ত্রহীন ২ টি বছর, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ধ্বংসের, বেকারত্ত্ব বৃদ্বির দায় কি এরা নেবেন? নাকি সুবিধালোভী দলবাজ কুশিলবরা জনগনের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবেন আজীবন!!
২২শে জানুয়ারির নির্বাচন আর ১৮ ই ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্যে গুনগত কোন পার্থক্য নেই, পার্থক্য শুধু পজিশন অপজিশনের, ২২ শে জানুয়ারির নির্বাচন করা যদি অগ্রহনযোগ্য হতো তবে একই কারনে ১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনও অগ্রহনযোগ্য। তথাকথি সুশীল নামক বর্নচোরা আওয়ামি দালালদের স্বরূপ আজ উম্মোচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫