আমাদের কিছু বাঙ্গালীর স্বভাবের ভিতর অন্যতম স্বভাব হলো চুলকানী
দেশে যদি আবার মুক্তিযুদ্ধ হয় তাইলে আমি শিওর দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে ।
একপক্ষ থাকবে যারা সত্যিকার অর্থেই দেশের জন্য আবার ঝাপিয়ে পড়বে তবে এইটা যতদূর আমাদের শিক্ষিতরা কিনা সেই সম্পর্কে শিওর বলতে পারতেছিনা তারা হয়তো অনলাইন সংগ্রামটা করবে তবে এদেরও ব্যাতিক্রম অবশ্যেই আছে । কিছু তরুণ এখনো অস্ত্র নিয়ে লড়াই করবে । তবে সাপোর্ট ব্যাপারটা পাবে অন্যদের কাছ থেকে ।মূলত প্রধান অস্ত্র ধরবে ঐ রিক্সাওয়ালা রাই যাদের আসলে অন্য কোন সম্বল নাই
এবাই আসি সেই চুলকানীদের কথা এরা প্রথম থেকেই থাকবে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে । তারা বলিবে দেশের জন্য যুদ্ধ করে কি লাভ । দেশ আমাকে কি দিয়েছে যে আমি দেশের জন্য লড়বো । সারাজীবন দেশের জন্য মোহাব্বত কই আছিলো যে তোমরা এখন লড়বা । কি দরকার !!!!
কতিপয় কিছু সাধু থাকিবে যারা বলিবে চলো ৭১ এর থেকে বেশী মানুষ নিয়ে আমরা লড়াই করবো আমরা রেকর্ড করবো !!!!
রেকর্ড কথাটা এখন আসলে মহামারীর মত ছড়ায় গেছে ।সবকিছুতেই রেকর্ড চাই । আগে খাবার রেকর্ড থেকে টয়েলেটে আগে বের হবার রেকর্ডও
১৬ ডিসেম্বর
অনেকেই চায় যে সবাই প্রোফাইল পিকচারে দেশের পতাকার ছবি দিবো । উদ্যোগটা ভালো । জিনিসটা ভাবতে ভালোই লাগে সবার প্রোফাইলে জাতীয় পতাকার ছবি থাকবে ।
কিন্তু ঐ চুলকানীরা বলবে সারাবছর দেশপ্রেম কই ছিলো যে এখন পতাকা লাগাবা । আরে ভাই সারাবছর কি ঈদ,পূজা লাইগে থাকে নাকি !! ঈদ,পুজা আসলেই তো মানুষ ঐ সময়ে ঈদ,পূজা পালন করে !!! কেউ দিলে আপনাদের সমস্যাটা কোথায় !! তাতে কি আপনার জাত যাচ্ছে !!! না আপনার সমস্যা !! আপনাকে অনুরোধ করছে আর তো কিছু না ।
কিছু সাধু দৌড়াচ্ছে রেকর্ড এর আশায় । ভাই যারা মরলো যে ৩০ লক্ষ মানুষ তারা কি এই রেকর্ড করার জন্য কিংবা এই রেকর্ড দেখবার জন্য মরছে !!! এই যে সবচেয়ে বড় পতাকার রেকর্ড করলাম আমরা !!! কি হইলো মাত্র ৪ দিনের মাথায় কাতার তা ভেংগে ফেললো !! কোথায় গেলো এই রেকর্ড !!!
লোক দেখানো রেকর্ডের চেয়ে মনের শান্তি সবচেয়ে বড় । রেকর্ড ভাংগা যায় কিন্তু মনের শান্তি ভাংগা যায় না ।