ঢাকা, মে ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতের টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাঁধও নির্মাণ করা হবে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।
তবে এতে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে তিনি দাবি করেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী আফসারুল আমিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, "টিপাইমুখ হচ্ছে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এটি ফারাক্কার মতো সেচ প্রকল্প নয়। তাই এখানে পানি বেশি সময়ের জন্য আটকে রাখা হবে না। সামান্য কিছু পানি আটকানো হলেও দ্রুতই তা ছেড়ে দেওয়া হবে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনেই এটি করা হবে। তাই এতে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন আশংকা নেই।"
পিনাক রঞ্জন জানান, টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছে। এটি অনেক পুরোনো প্রকল্প। ভারতীয় পানি সম্পদ মন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশকে টিপাইমুখ বাঁধ দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ টিম পাঠালেই ভারত এর নকশাসহ যাবতীয় তথ্য টিমকে দেখাবে।
টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী নিজেও।
আফসারুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, "ফারাক্কার সময় আর এখনকার সময় এক নয়। এখন দিন অনেক বদলেছে। বাঁধ দিয়ে ফারাক্কার মতো পানি আটকানোর চেষ্টা করা হলে আমরাও বিষয়টি দেখবো। তবে এ প্রকল্পে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না।"
তিনি জানান, সরকার নদীগুলোতে আসা পানি সংরক্ষণে নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে আর 'পানি আসলে বন্যা, আর না আসলে খরা' পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। এজন্য সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইতোমধ্যে ড্রেজার কেনার জন্য ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও আরো নয়টি ড্রেজার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, "টিপাইমুখে ভারত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করবে বলেই আমরা জানি। এখানে কোন বাঁধ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ অবহিত নয়। যদি সেখানে কোন বাঁধ দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে।"
তিনি জানান, টিপাইমুখ বাঁধে পানি আটকানো হবে কিনা, সে ব্যাপারে নকশা ও অন্য বিষয়গুলো দেখতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
টিপাইমুখ বাঁধে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করা হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন বলেন, এটা হতে পারে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ ভাগাভাগির মতো কোন ব্যবস্থা নেই। অথচ ভারতের সঙ্গে শ্রীলংকার পানির নিচে দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। এছাড়াও নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে গ্রীডলাইন রয়েছে। তা দিয়ে ওইসব দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার জানান, ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনাল বা নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবহার করতে চায়। এক্ষেত্রে যদি বন্দরের সুবিধা দেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে ভারত তা ব্যবহার করবে।
এছাড়াও নদী খনন, নদী খনন বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক কারিগরি কমিটির কর্মকান্ড, নৌ-ট্রানজিট ও নৌ-পথে নতুন রুট এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের মতো বিকল্প স্থান নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পিনাক দাদা কি ভুলে গেছে তার দেশ বাংলার হিস্যা মত পানি কখনও দেয় না, অদুর ভবিষতে দিবে বলে কেউ মনে করে না।
সেই দেশ বামগলার ভালো চায় এটাও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





